০৫ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমানতদারী রোযার রক্ষাকবচ

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২২, সোমবার
  • / 65

প্রতীকী ছবি

মাওলানা আবদুল মান্নানঃ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন যে, ‘রোযা একটি আমানত সদৃশ’। সবারইও আমানত রক্ষা করা চাই। প্রসঙ্গত তিনি কুরআন মাজিদের এই আয়াত পাঠ করেন, যার অর্থ হচ্ছে , ‘আমানত তার হকদারকে প্রত্যাপর্ণ করার জন্য আল্লাহ্ তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন।’ (সূরা নিসা– আয়াত : ৫)

পবিত্র কুরআন মজীদের দুই জায়গায় প্রকৃত ঈমানদার ব্যক্তির গুণাবলীর কথা উল্লেখ করে আল্লাহ্তায়ালা বলেন : ‘এবং যারা নিজেদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে।’ (সূরা মুমিনুন, আয়াতঃ ৮)

আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে স্টেশন, রোযাদারদের হাতে ইফতারের সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন প্রাক্তন হকি আম্পায়ার

‘এবং যারা আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে, যারা স্বাক্ষ্য দানে অটল এবং নিজেদের নামাযে যত্নবান তারাই সম্মানি হবে জান্নাতে।’ (সূরা মা’আরিজ, আয়াত : ৩২-৩৫)

আরও পড়ুন: রোযা রাখার ৮টি স্বাস্থ্য উপকারিতা

আমানতদারী ঈমানের আলামত। এই প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ্ সা. বলেছেন: ‘যার মধ্যে আমানতদারী নেই, তার ঈমান নেই এবং যে অধিকার রক্ষা করে না, তার মধ্যে দ্বীন নেই।’ (বায়হাকী, মিশকাত)

আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যে আজ শুরু রোযা

আমানতের খেয়ানত (বিশ্বাস ভঙ্গ, তছরুপ) করা মোনাফেকের আলামত। নবী করীম সা. বলেন: ‘মুনাফিকের আলামত তিনটি। যথা, ১) যখন সে কথা বলে মিথ্যা বলে। ২) ওয়াদা করলে তার বরখেলাপ করে বা প্রতিশ্রুতিভঙ্গ করে। ৩) আমানত রাখলে এতে বিশ্বাস ভঙ্গ করে।’ (বুখারী, মুসলিম)

সিয়াম বা রোযা হচ্ছে আল্লাহর আমানত। রমযান মাসের রোযা মানুষকে কঠিন আমানতদারী শেখায়। দিনের বেলা রোযাদার আহার পানীয় ও স্ত্রী সম্ভোগের সুযোগ থাকা সত্বেও একমাত্র আল্লাহর ভয়ে এগুলো থেকে বিরত থেকে আল্লাহর আমানতকে রক্ষা করে। তেমনিভাবে চোখের দৃষ্টি অবনত রাখা , মন্দ বিষয় বা কুদৃশ্যের প্রতি দৃষ্টিপাত না করা এবং আল্লাহর স্মরণ থেকে উদাসীন করে এমন বিষয় বস্তু দেখা থেকে বিরত থাকাই হল রোযা।

হযরত সুফিয়ান সাওরী রহ. বলেন, যে ব্যক্তি রোযা রেখে মিথ্যা কথা, অশ্লীল কথা, পরানিন্দা ও পরচর্চা করল তার রোযা বিনষ্ট হয়ে গেল। কেননা, রসনা আল্লাহর আমানত, সে খেয়ানত করল।

হযরত মুজাহিদ রা. বলেন : দুইটি কাজ রোযা নষ্ট করে দেয়। ১) পরনিন্দা করা ২) মিথ্যা বলা, এই দু’টি বিষয় থেকে রোযাদারকে সতর্ক থাকা উচিত।

 

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আমানতদারী রোযার রক্ষাকবচ

আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২২, সোমবার

মাওলানা আবদুল মান্নানঃ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন যে, ‘রোযা একটি আমানত সদৃশ’। সবারইও আমানত রক্ষা করা চাই। প্রসঙ্গত তিনি কুরআন মাজিদের এই আয়াত পাঠ করেন, যার অর্থ হচ্ছে , ‘আমানত তার হকদারকে প্রত্যাপর্ণ করার জন্য আল্লাহ্ তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন।’ (সূরা নিসা– আয়াত : ৫)

পবিত্র কুরআন মজীদের দুই জায়গায় প্রকৃত ঈমানদার ব্যক্তির গুণাবলীর কথা উল্লেখ করে আল্লাহ্তায়ালা বলেন : ‘এবং যারা নিজেদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে।’ (সূরা মুমিনুন, আয়াতঃ ৮)

আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে স্টেশন, রোযাদারদের হাতে ইফতারের সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন প্রাক্তন হকি আম্পায়ার

‘এবং যারা আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে, যারা স্বাক্ষ্য দানে অটল এবং নিজেদের নামাযে যত্নবান তারাই সম্মানি হবে জান্নাতে।’ (সূরা মা’আরিজ, আয়াত : ৩২-৩৫)

আরও পড়ুন: রোযা রাখার ৮টি স্বাস্থ্য উপকারিতা

আমানতদারী ঈমানের আলামত। এই প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ্ সা. বলেছেন: ‘যার মধ্যে আমানতদারী নেই, তার ঈমান নেই এবং যে অধিকার রক্ষা করে না, তার মধ্যে দ্বীন নেই।’ (বায়হাকী, মিশকাত)

আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যে আজ শুরু রোযা

আমানতের খেয়ানত (বিশ্বাস ভঙ্গ, তছরুপ) করা মোনাফেকের আলামত। নবী করীম সা. বলেন: ‘মুনাফিকের আলামত তিনটি। যথা, ১) যখন সে কথা বলে মিথ্যা বলে। ২) ওয়াদা করলে তার বরখেলাপ করে বা প্রতিশ্রুতিভঙ্গ করে। ৩) আমানত রাখলে এতে বিশ্বাস ভঙ্গ করে।’ (বুখারী, মুসলিম)

সিয়াম বা রোযা হচ্ছে আল্লাহর আমানত। রমযান মাসের রোযা মানুষকে কঠিন আমানতদারী শেখায়। দিনের বেলা রোযাদার আহার পানীয় ও স্ত্রী সম্ভোগের সুযোগ থাকা সত্বেও একমাত্র আল্লাহর ভয়ে এগুলো থেকে বিরত থেকে আল্লাহর আমানতকে রক্ষা করে। তেমনিভাবে চোখের দৃষ্টি অবনত রাখা , মন্দ বিষয় বা কুদৃশ্যের প্রতি দৃষ্টিপাত না করা এবং আল্লাহর স্মরণ থেকে উদাসীন করে এমন বিষয় বস্তু দেখা থেকে বিরত থাকাই হল রোযা।

হযরত সুফিয়ান সাওরী রহ. বলেন, যে ব্যক্তি রোযা রেখে মিথ্যা কথা, অশ্লীল কথা, পরানিন্দা ও পরচর্চা করল তার রোযা বিনষ্ট হয়ে গেল। কেননা, রসনা আল্লাহর আমানত, সে খেয়ানত করল।

হযরত মুজাহিদ রা. বলেন : দুইটি কাজ রোযা নষ্ট করে দেয়। ১) পরনিন্দা করা ২) মিথ্যা বলা, এই দু’টি বিষয় থেকে রোযাদারকে সতর্ক থাকা উচিত।