অ্যান্টি র্যাগিং নিয়মাবলি পালন না করা তালিকায় শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও
- আপডেট : ২৯ জুন ২০২৫, রবিবার
- / 12
পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ দেশের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে একাংশ যথাযথভাবে অ্যান্টি র্যাগিং নিয়মাবলি পালন করে না। সাম্প্রতিককালে ইউজিসির প্রকাশিত ৮৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে আইআইটি-আইআইএমের মতো বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি। ফলে প্রশ্ন উঠছে, একরাশ স্বপ্ন নিয়ে পড়তে আসা মেধাবী পড়ুয়ারা এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে আদৌ সুরক্ষিত?
৮৯ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে নাম রয়েছে চারটি আইআইটি ক্যাম্পাসের-বম্বে, খড়গপুর, হায়দরাবাদ এবং পালাক্কাড়। এছাড়াও তিনটি আইআইএম রয়েছে এই তালিকায়- বম্বে, রোহতক এবং তিরুচিরাপল্লি। সেই সঙ্গে এইমস রায়বরেলি, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ দিল্লির মতো একাধিক নামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও রয়েছে যারা অ্যান্টি র্যাগিং নিয়ম পালনে ব্যর্থ। ইতিমধ্যেই এই ৮৯ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নোটিস ধরিয়েছে ইউজিসি। সেই তালিকায় রয়েছে কলকাতার ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউট, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ও।
অভিযোগ উঠেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে বারবার ইউজিসির তরফে সতর্ক করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও পড়ুয়াদের এবং প্রতিষ্ঠানের তরফে র্যাগিং বিরোধী নিয়মাবলি পালনের কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি। র্যাগিংবিরোধী নিয়ম পালন করার এফিডেভিট জমা দেওয়ার বিষয়টিকে মোটেও গুরুত্ব দেয়নি এই ৮৯ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি। ইউজিসির মতে, র্যাগিংয়ের সমস্যা বাড়ছে সর্বত্র। ক্যাম্পাসে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এহেন পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির এমন গাফিলতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। অ্যান্টি র্যাগিং নিয়মাবলি না মানলে বড়সড় ফল ভুগতে হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে। অনুদান বন্ধ হতে পারে, বাতিল হতে পারে গবেষণার ফান্ডও।
উল্লেখ্য, প্রত্যেক শিক্ষাবর্ষের শুরুতে পড়ুয়াদের র্যাগিং বিরোধী একটি হলফনামা জমা দিতে হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। একইভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিও একটি হলফনামা জমা দেয়। কিন্তু এই ৮৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তা করেনি বলেই ইউজিসির অভিযোগ। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করলে শাস্তি পেতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি।