দুর্যোগস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ধীরগতিতে উদ্ধারকাজ চলার কথা মেনে নিলেন এরদোগান

- আপডেট : ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বৃহস্পতিবার
- / 8
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিপর্যস্ত তুরস্ক। ধবংসস্তূপ থেকে বের করা হচ্ছে একের পর এক লাশের সারি। এখনও পর্যন্ত বহু মানুষের আটকে থাকার সম্ভাবনার পাশাপাশি জীবিত অবস্থায় মানুষকে উদ্ধারের আশা ক্ষীণ হতে শুরু করেছে।
আর্তনাদ পেলেও বহু মানুষকে উদ্ধার করা হচ্ছে না বলে অভিযোগের সুর তুলেছেন স্থানীয়রা। এই অবস্থায় দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ ত্যইয়েপ এরদোগান। স্থানীয়দের শোকে সমব্যথী হয়ে এরদোগান জানিয়েছেন, প্রবল তুষারপাতের কারণে ধীরগতিতে উদ্ধারকাজ চললেও বিপযর্য় মোকাবিলা বাহিনীরা বিরুদ্ধ পরিস্থিতি উপেক্ষা করেও উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বিপর্যয়কর ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে সামাল দেওয়া অসম্ভব ছিল।
এরদোগান তুরস্কবাসীর উদ্দেশে বলেন, একটি মহা বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে দেশ। এই বিশাল ক্ষয়-ক্ষতি ক্রমশই দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতির উপরে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলছে। কিছু সমস্যার কথা মেনে নিলেও সার্বিক পরিস্থিতি এখন তার সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করেছেন এরদোগান।
কিন্তু এর মধ্যেই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তুরস্কের বিরোধী দলের প্রধান কামাল কিলিচদারোগ্লু। তিনি বলেন, এজন্য যদি একজন দায়ী থাকেন, তিনি হলেন এরদোগান। সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে সাংবাদিকদের প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, দুর্যোগের পর ঐক্যের প্রয়োজন ছিল। এমন মুহূর্তে আমি রাজনৈতিক স্বার্থে বিরুদ্ধ প্রচার চালানো মানুষজনের উদ্দেশে নেতিবাচকমূলক আচরণ করতে পারি না। উদ্ধারকাজে দেরি হওয়ার জন্য এরদোগান ক্ষতিগ্রস্ত বিমানবন্দর ও রাস্তাঘাটকে দায়ী করে বলেছেন, উদ্ধারকাজ এখন স্বাভাবিকভাবেই চলছে। তবে শুরুতে বিমানবন্দর ও সড়কে কিছু সমস্যা ছিল। রান ওয়ে, যোগাযোগকারী রাস্তাঘাট সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি অনেক সহজ হয়ে এসেছে। আশাকরি পরিষেবা দু-একদিনে আরও স্বাভাবিক হবে।
মোট পাঁচবার কম্পন আর ১,১১৭টি আফটারশকে বিধ্বস্ত তুরস্ক ও সিরিয়া। মৃত্যুর সংখ্যা কোথায় গিয়ে থামবে তা প্রশ্নের মুখে। ২০ হাজার ছুঁইছুঁই মৃত্যুর সংখ্যা। প্রশাসনের আশঙ্কা আরও বাড়তে পারে মৃত্যুর সংখ্যা।