০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পড়ুয়াদের বিষপ্রয়োগের ঘটনায় বিদেশি শত্রুরা জড়িত: রাইসি

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৫ মার্চ ২০২৩, রবিবার
  • / 11

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ইরানে স্কুল শিক্ষার্থীদের বিষপ্রয়োগ ইস্যুতে প্রথমবারের মতো মুখ খুলেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এ ঘটনার  সঙ্গে ‘বিদেশি শত্রুরা’ জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এ দিকে, এ ঘটনার সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশন।

 গতবছর নভেম্বরে ইরানের কওম শহরের কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পানিতে বিষ মেশোনোর খবর সম্প্রতি সামনে আসে। এখনও পর্যন্ত চারটি শহরের ৩০টিরও বেশি স্কুলে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। এতে, অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। এরই জেরে অনেক অভিভাবক তাদের  সন্তানদের স্কুলে পাঠানোও বন্ধ করে দিয়েছেন।

এ ইস্যুতে প্রথমবারের মতো মুখ খুলেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। শুক্রবার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে রাইসি বলেন, ‘বিষ প্রয়োগের সঙ্গে জড়িতরা ইরানের শত্রু। দেশের অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলা তৈরি ও অভিভাবক-শিক্ষার্থীদের মাঝে ভীতি তৈরি করতেই এমন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হচ্ছে।’

তবে কারা এই শত্রু সে-বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি রাইসি। মনে করা হচ্ছে, এ অভিযোগের তির আমেরিকা ও ইসরাইলের দিকেই তাক করেছে তেহরান। এর আগে গত সপ্তাহে ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বিষপ্রয়োগের ঘটনায় বিভিন্ন স্কুলের শত শত শিক্ষার্থী আক্রান্ত হয়েছে। তাছাড়া কয়েকজন  মন্ত্রীও হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

এ দিকে শুক্রবার জেনেভায় এ ঘটনার স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশন। তদন্তের ফল জনসমক্ষে আনার পাশাপাশি জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা উচিত বলেও উল্লেখ করেন কমিশনের কর্মকর্তারা। এ সময় মেয়ে ও নারীদের ওপর যেকোনও ধরনের সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানান তারা।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পড়ুয়াদের বিষপ্রয়োগের ঘটনায় বিদেশি শত্রুরা জড়িত: রাইসি

আপডেট : ৫ মার্চ ২০২৩, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ইরানে স্কুল শিক্ষার্থীদের বিষপ্রয়োগ ইস্যুতে প্রথমবারের মতো মুখ খুলেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এ ঘটনার  সঙ্গে ‘বিদেশি শত্রুরা’ জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এ দিকে, এ ঘটনার সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশন।

 গতবছর নভেম্বরে ইরানের কওম শহরের কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পানিতে বিষ মেশোনোর খবর সম্প্রতি সামনে আসে। এখনও পর্যন্ত চারটি শহরের ৩০টিরও বেশি স্কুলে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। এতে, অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। এরই জেরে অনেক অভিভাবক তাদের  সন্তানদের স্কুলে পাঠানোও বন্ধ করে দিয়েছেন।

এ ইস্যুতে প্রথমবারের মতো মুখ খুলেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। শুক্রবার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে রাইসি বলেন, ‘বিষ প্রয়োগের সঙ্গে জড়িতরা ইরানের শত্রু। দেশের অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলা তৈরি ও অভিভাবক-শিক্ষার্থীদের মাঝে ভীতি তৈরি করতেই এমন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হচ্ছে।’

তবে কারা এই শত্রু সে-বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি রাইসি। মনে করা হচ্ছে, এ অভিযোগের তির আমেরিকা ও ইসরাইলের দিকেই তাক করেছে তেহরান। এর আগে গত সপ্তাহে ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বিষপ্রয়োগের ঘটনায় বিভিন্ন স্কুলের শত শত শিক্ষার্থী আক্রান্ত হয়েছে। তাছাড়া কয়েকজন  মন্ত্রীও হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

এ দিকে শুক্রবার জেনেভায় এ ঘটনার স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশন। তদন্তের ফল জনসমক্ষে আনার পাশাপাশি জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা উচিত বলেও উল্লেখ করেন কমিশনের কর্মকর্তারা। এ সময় মেয়ে ও নারীদের ওপর যেকোনও ধরনের সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানান তারা।