১৩ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

Famine in Gaza: গভীর উদ্বেগ প্রকাশ সউদি আরবের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৩ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার
  • / 435

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : গাজার ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ (Famine in Gaza) নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করল সউদি আরব। শুক্রবার সউদি বিদেশ মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্ভিক্ষ (Famine in Gaza) ঘোষণার ঘটনা শুধু ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ই নয়, বরং ইসরাইলের সেনাদের হাতে সাধারণ মানুষের ওপর চালানো গণহত্যার প্রমাণ।

সউদি বিদেশ মন্ত্রকের অভিযোগ, আন্তর্জাতিক মহলের নীরবতা আর দায় এড়ানোর কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তারা বলেছে, গাজার এই মানবিক বিপর্যয়ের (Famine in Gaza) জন্য দায়ী মূলত আন্তর্জাতিক আইনের কোনও কার্যকরী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না থাকা। ইসরাইলি দখলদার বাহিনী বারবার যুদ্ধাপরাধ করেছে, অথচ শাস্তির মুখ দেখেনি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই দুর্ভিক্ষ আর গণহত্যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিবেকের উপর এক স্থায়ী দাগ হয়ে থাকবে। বিশেষ করে  রাষ্ট্রসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যরা যদি দ্রুত হস্তক্ষেপ না করে যুদ্ধ থামায় ও দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধে পদক্ষেপ না নেয়, তবে এই দায় তাদের ঘাড়েও বর্তাবে।

এই তীব্র সমালোচনার প্রেক্ষাপট, ‘ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন’ -এর সর্বশেষ রিপোর্ট। ওই রিপোর্টেই প্রথমবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে, গাজা শহরে দুর্ভিক্ষ (Famine in Gaza) চলছে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এই প্রথম আন্তর্জাতিক সংস্থা এত স্পষ্ট ভাষায় গাজার খাদ্যাভাবকে দুর্ভিক্ষ হিসেবে ঘোষণা করল।

Tag :

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

Famine in Gaza: গভীর উদ্বেগ প্রকাশ সউদি আরবের

আপডেট : ২৩ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : গাজার ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ (Famine in Gaza) নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করল সউদি আরব। শুক্রবার সউদি বিদেশ মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্ভিক্ষ (Famine in Gaza) ঘোষণার ঘটনা শুধু ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ই নয়, বরং ইসরাইলের সেনাদের হাতে সাধারণ মানুষের ওপর চালানো গণহত্যার প্রমাণ।

সউদি বিদেশ মন্ত্রকের অভিযোগ, আন্তর্জাতিক মহলের নীরবতা আর দায় এড়ানোর কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তারা বলেছে, গাজার এই মানবিক বিপর্যয়ের (Famine in Gaza) জন্য দায়ী মূলত আন্তর্জাতিক আইনের কোনও কার্যকরী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না থাকা। ইসরাইলি দখলদার বাহিনী বারবার যুদ্ধাপরাধ করেছে, অথচ শাস্তির মুখ দেখেনি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই দুর্ভিক্ষ আর গণহত্যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিবেকের উপর এক স্থায়ী দাগ হয়ে থাকবে। বিশেষ করে  রাষ্ট্রসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যরা যদি দ্রুত হস্তক্ষেপ না করে যুদ্ধ থামায় ও দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধে পদক্ষেপ না নেয়, তবে এই দায় তাদের ঘাড়েও বর্তাবে।

এই তীব্র সমালোচনার প্রেক্ষাপট, ‘ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন’ -এর সর্বশেষ রিপোর্ট। ওই রিপোর্টেই প্রথমবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে, গাজা শহরে দুর্ভিক্ষ (Famine in Gaza) চলছে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এই প্রথম আন্তর্জাতিক সংস্থা এত স্পষ্ট ভাষায় গাজার খাদ্যাভাবকে দুর্ভিক্ষ হিসেবে ঘোষণা করল।