০৬ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হায়দরাবাদ থেকে ইতিহাস: আমেরিকার নির্বাচনে বিজয়ী প্রথম মুসলিম মহিলা গাজালা হাশমি

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ৫ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার
  • / 100

পুবের কলম, হায়দরাবাদ: নিউ ইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত জোহরান মামদানি। অন্যদিকে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন ভার্জিনিয়ার ডেমোক্র্যাট প্রার্থী গাজালা হাশমি। তিনি লেফটেন্যান্ট গভর্নর নির্বাচিত হয়েছেন। গাজালাই আমেরিকার প্রথম মুসলিম মহিলা যিনি দেশটির কোনও সরকারি পদে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। মঙ্গলবার বিজয় ভাষণে তিনি বলেন, “এই দেশে এবং এই কমনওয়েলথে উপলব্ধ সুযোগের গভীরতা এবং প্রশস্ততার কারণে এটি সম্ভব হয়েছে।” ৬১ বছর বয়সী হাশমি ভারতের হায়দরাবাদে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। পরে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ পাড়ি দেন। ছোটবেলায় তাঁর মা এবং ভাইয়ের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। তাঁর বাবা সাভানার জর্জিয়া সাউদার্ন ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেন। পরে তিনি এমোরি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাহিত্যে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ভার্জিনিয়ায় অধ্যাপক এবং কলেজ প্রশাসক হিসেবে প্রায় তিন দশক কাটিয়েছেন। জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে রাজনৈতিক জীবনে পা রাখেন হাশমি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে রিপাবলিকান দলের হয়ে স্টেট সিনেটের আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি ওই নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে। ভার্জিনিয়া স্টেট সিনেটে দায়িত্ব পালনকারী প্রথম মুসলিম মহিলা তিনিই। হাশমি বলেন, “প্রথমে আমি বাধ্য হয়েছিলাম নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে। কারণ আমি প্রান্তিক সম্প্রদায়কে লক্ষ্যবস্তু এবং বলির পাঁঠা বানানো নিয়ে লড়াই করতে চেয়েছিলাম। আমি সরকারী পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, কারণ এই দেশের কাউকে জেনো, তাদের আশেপাশে বা তাদের নিজস্ব সম্প্রদায়ে বৈষম্যের শিকার হয়। সবাই জেনো তাদের স্বাগত জানায়।” প্রসঙ্গত, তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার সময় হাশমি এবং নিউ ইয়র্ক সিটির মুসলিম মেয়র জোহরান মামদানির সাথে ইসলামোফোবিক শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের দু’জনকেই অনেক আক্রমণের মুখোমুখি হতে হয়েছে। যা নিয়ে তিনি এবং ভার্জিনিয়া জুড়ে মুসলিম নেতারা তীব্র নিন্দা জানিয়েছিলেন। আজ সেসব বাধা পেরিয়ে ইতিহাস তৈরি করলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত আরেক কন্যা গাজালা হাশমি।

আরও পড়ুন: জর্জিয়ার প্রতিনিধি পরিষদে নির্বাচিত প্রথম মুসলিম নারী

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হায়দরাবাদ থেকে ইতিহাস: আমেরিকার নির্বাচনে বিজয়ী প্রথম মুসলিম মহিলা গাজালা হাশমি

আপডেট : ৫ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার

পুবের কলম, হায়দরাবাদ: নিউ ইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত জোহরান মামদানি। অন্যদিকে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন ভার্জিনিয়ার ডেমোক্র্যাট প্রার্থী গাজালা হাশমি। তিনি লেফটেন্যান্ট গভর্নর নির্বাচিত হয়েছেন। গাজালাই আমেরিকার প্রথম মুসলিম মহিলা যিনি দেশটির কোনও সরকারি পদে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। মঙ্গলবার বিজয় ভাষণে তিনি বলেন, “এই দেশে এবং এই কমনওয়েলথে উপলব্ধ সুযোগের গভীরতা এবং প্রশস্ততার কারণে এটি সম্ভব হয়েছে।” ৬১ বছর বয়সী হাশমি ভারতের হায়দরাবাদে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। পরে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ পাড়ি দেন। ছোটবেলায় তাঁর মা এবং ভাইয়ের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। তাঁর বাবা সাভানার জর্জিয়া সাউদার্ন ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেন। পরে তিনি এমোরি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাহিত্যে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ভার্জিনিয়ায় অধ্যাপক এবং কলেজ প্রশাসক হিসেবে প্রায় তিন দশক কাটিয়েছেন। জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে রাজনৈতিক জীবনে পা রাখেন হাশমি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে রিপাবলিকান দলের হয়ে স্টেট সিনেটের আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি ওই নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে। ভার্জিনিয়া স্টেট সিনেটে দায়িত্ব পালনকারী প্রথম মুসলিম মহিলা তিনিই। হাশমি বলেন, “প্রথমে আমি বাধ্য হয়েছিলাম নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে। কারণ আমি প্রান্তিক সম্প্রদায়কে লক্ষ্যবস্তু এবং বলির পাঁঠা বানানো নিয়ে লড়াই করতে চেয়েছিলাম। আমি সরকারী পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, কারণ এই দেশের কাউকে জেনো, তাদের আশেপাশে বা তাদের নিজস্ব সম্প্রদায়ে বৈষম্যের শিকার হয়। সবাই জেনো তাদের স্বাগত জানায়।” প্রসঙ্গত, তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার সময় হাশমি এবং নিউ ইয়র্ক সিটির মুসলিম মেয়র জোহরান মামদানির সাথে ইসলামোফোবিক শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের দু’জনকেই অনেক আক্রমণের মুখোমুখি হতে হয়েছে। যা নিয়ে তিনি এবং ভার্জিনিয়া জুড়ে মুসলিম নেতারা তীব্র নিন্দা জানিয়েছিলেন। আজ সেসব বাধা পেরিয়ে ইতিহাস তৈরি করলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত আরেক কন্যা গাজালা হাশমি।

আরও পড়ুন: জর্জিয়ার প্রতিনিধি পরিষদে নির্বাচিত প্রথম মুসলিম নারী