০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
BRAKING :
দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক দৃঢ় করতে ৬ দিনের ভারত সফরে ইজিপ্টের গ্র্যান্ড মুফতি শাওকি

ইমামা খাতুন
- আপডেট : ২ মে ২০২৩, মঙ্গলবার
- / 7
পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ৬ দিনের ভারত সফরে এসেছেন ইজিপ্টের গ্র্যান্ড মুফতি শাওকি ইব্রাহিম আবদেল করিম আল্লাম। সোমবার দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও আন্তঃদেশীয় সম্পর্ক আরও ভালো করতে বৈঠকের মাধ্যমে এই যাত্রা শুরু করেন তিনি। সূত্রের খবর অনুসারে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা দিল্লির ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশন্স এর আমন্ত্রণে ভারত সফর এসেছেন শাওকি। এদিন নয়া দিল্লিতে বৈঠকের পাশাপাশি আলিগড়, জয়পুর, হায়দরাবাদ ভ্রমণের ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন তিনি। পরিকল্পনামাফিক মঙ্গলবার আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে যান মুফতি। সেখানে ভাইস চ্যান্সেলর মোহাম্মদ গুলরেজের সঙ্গে দেখা করেন শাওকি। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ভাষণও দেন তিনি।
ঘটনাপ্রসঙ্গে আইসিসিআর সভাপতি বিনয় সহস্রবুদ্ধে জানিয়েছেন, ভারত ও মিশরের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে এই সফরের আয়োজন করা হয়েছে। এদিন মুফতি শাওকির সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, প্রায় তিন মাস আগে প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে ভারত সফরে এসেছিলেন মিশরের রাষ্ট্রপতি আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। সেই ঘটনার পর এই প্রথম ভারতে এসেছেন শাওকি ইব্রাহিম আবদেল করিম আল্লাম। গ্র্যান্ড মুফতির এই সফর প্রভাবশালী মুসলিম দেশগুলির আলেমদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য ভারতীয় পক্ষের একটি প্রচেষ্টা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
গত নভেম্বরে নয়াদিল্লি সফরের সময়, ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মোহাম্মদ মাহফুদ মাহমুদিন এবং তার ভারতীয় প্রতিপক্ষ অজিত ডোভাল দুই দেশের মুসলিম আলেমদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং সন্ত্রাসবাদ এবং বিচ্ছিন্নতাবাদের মতো বিষয় নিয়ে আলোচনাও করেন। গ্র্যান্ড মুফতির এই সফরটি এমন সময় ঘটেছে যখন কেন্দ্রীয় সরকার ভারতের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোণঠাসা করছে। তাই মুফতি শাওকির এই সফরটি তাৎপর্যপূর্ণ হবে বলে মনে করছে অনেকে। এক সংবাদ বিবৃতিতে মুফতির সিনিয়র উপদেষ্টা ড. ইব্রাহিম নেগম জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের উপর জোর দিতে এবং শান্তি ও ধর্মীয় সহযোগিতার সেতু নির্মাণ করতে মুফতি শাওকির এই সফর অন্য এক মাত্রা ধারণ করবে। প্রসঙ্গত, শাওকি ইব্রাহিম আবদেল করিম আল্লাম মিশরের ১৯ তম গ্র্যান্ড মুফতি। তাঁর অফিস দার আল-ইফতা আল-মিসরিয়াকে সরকারের প্রথম এবং ধর্মীয় কর্তৃত্বের প্রাথমিক উৎস হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং সরকারের প্রতীকী ধর্মীয় প্রতিনিধি হিসাবে দেখা হয়।
শাওকি আল্লাম ১৯৬১ সালের ১২ আগস্ট বেহিরার নীল ডেল্টা গভর্নরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৬ সালে আইনশাসন ও শরিয়া আইন আল আজহার বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর নিয়োগের আগে তিনি আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের তন্ত শাখায় স্কুল অফ শরিয়ায় আইনশাসন বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।