০৯ মে ২০২৫, শুক্রবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৬ ইসরাইলি জিম্মিকে ছাড়ল হামাস, জেলমুক্তির অপেক্ষায় ৬০০ ফিলিস্তিনি

সুস্মিতা
  • আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, শনিবার
  • / 35

গাজা: যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে বন্দিবিনিময় চলছে। জানা গেছে, শনিবার ছয় ইসরাইলিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। এর বিনিময়ে ইসরাইল থেকে মুক্তি পাবেন ৬০২ ফিলিস্তিনি। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের কর্মকর্তাদের মতে, গত মাসে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তানুসারে প্রথম ধাপে ৩৩ জন জীবিত জিম্মিকে হস্তান্তর করার কথা ছিল। এরই মধ্যে বেশির ভাগ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বাকি ছয় জীবিত জিম্মিকে আজ স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে আটটার দিকে হস্তান্তর করা শুরু হয়। মুক্তি পাওয়া ছয় ইসরাইলি হলেন, ওমের ওয়েনকার্ট, ওমের শেম তোভ, এলিয়া কোহেন, তাল শোহাম,আভেরা মেংগিস্তু ও হিসাম আল-সায়েদ ।
এদের মুক্তির বিনিময়ে এদিন ৬০২ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে ইসরাইল। যার মধ্যে ৫০ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। আল-জাজিরার খবর বলছে, ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার আগ পর্যন্ত ব্যাপক নির্যাতন চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। অন্যদিকে, শুক্রবার রাতে ইসরাইলের কাছে হঠাৎ করে একটি মরদেহ পাঠিয়েছে হামাস। রেডক্রস গাজার খান ইউনিস থেকে হামাসের কাছ থেকে মরদেহটি নিয়ে সেটি ইসরাইলি সেনাদের কাছে হস্তান্তর করে। হামাস জানায়, মরদেহটি ইসরাইলি জিম্মি শিরি বিবাসের। পরে ওই জিম্মির পরিবার জানিয়েছেন, নতুন করে হামাস যে মরদেহটি ফেরত পাঠিয়েছে, তা শিরি বিবাসেরই।
গাজায় হামাসের হাতে এখনও ৫৯ জিম্মি রয়ে গেছে, যাদের অর্ধেক সংখ্যকই মারা গেছে। যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের সময়সীমা আগামী ২ মার্চ শেষ হওয়ার কথা। দ্বিতীয় ধাপের ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে। হামাস জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর আলোচনায় বসতে ও সব জিম্মি এবং মৃতদেহ মুক্তি দিতে প্রস্তুত। দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে মিসরের রাজধানী কায়রোতে যাবে দু’পক্ষের প্রতিনিধি দল। নেতানিয়াহু প্রতিনিধি পাঠাতে অস্বীকৃতি জানানোর পর প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হচ্ছে বলে জানিয়েছে আলজাজিরা।

আরও পড়ুন: ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে আমেরিকা ও ইসরাইল

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

৬ ইসরাইলি জিম্মিকে ছাড়ল হামাস, জেলমুক্তির অপেক্ষায় ৬০০ ফিলিস্তিনি

আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, শনিবার

গাজা: যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে বন্দিবিনিময় চলছে। জানা গেছে, শনিবার ছয় ইসরাইলিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। এর বিনিময়ে ইসরাইল থেকে মুক্তি পাবেন ৬০২ ফিলিস্তিনি। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের কর্মকর্তাদের মতে, গত মাসে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তানুসারে প্রথম ধাপে ৩৩ জন জীবিত জিম্মিকে হস্তান্তর করার কথা ছিল। এরই মধ্যে বেশির ভাগ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বাকি ছয় জীবিত জিম্মিকে আজ স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে আটটার দিকে হস্তান্তর করা শুরু হয়। মুক্তি পাওয়া ছয় ইসরাইলি হলেন, ওমের ওয়েনকার্ট, ওমের শেম তোভ, এলিয়া কোহেন, তাল শোহাম,আভেরা মেংগিস্তু ও হিসাম আল-সায়েদ ।
এদের মুক্তির বিনিময়ে এদিন ৬০২ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে ইসরাইল। যার মধ্যে ৫০ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। আল-জাজিরার খবর বলছে, ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার আগ পর্যন্ত ব্যাপক নির্যাতন চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। অন্যদিকে, শুক্রবার রাতে ইসরাইলের কাছে হঠাৎ করে একটি মরদেহ পাঠিয়েছে হামাস। রেডক্রস গাজার খান ইউনিস থেকে হামাসের কাছ থেকে মরদেহটি নিয়ে সেটি ইসরাইলি সেনাদের কাছে হস্তান্তর করে। হামাস জানায়, মরদেহটি ইসরাইলি জিম্মি শিরি বিবাসের। পরে ওই জিম্মির পরিবার জানিয়েছেন, নতুন করে হামাস যে মরদেহটি ফেরত পাঠিয়েছে, তা শিরি বিবাসেরই।
গাজায় হামাসের হাতে এখনও ৫৯ জিম্মি রয়ে গেছে, যাদের অর্ধেক সংখ্যকই মারা গেছে। যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের সময়সীমা আগামী ২ মার্চ শেষ হওয়ার কথা। দ্বিতীয় ধাপের ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে। হামাস জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর আলোচনায় বসতে ও সব জিম্মি এবং মৃতদেহ মুক্তি দিতে প্রস্তুত। দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে মিসরের রাজধানী কায়রোতে যাবে দু’পক্ষের প্রতিনিধি দল। নেতানিয়াহু প্রতিনিধি পাঠাতে অস্বীকৃতি জানানোর পর প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হচ্ছে বলে জানিয়েছে আলজাজিরা।

আরও পড়ুন: ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে আমেরিকা ও ইসরাইল