২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেঙ্গালুরুতে ভারী বৃষ্টি, মৃত ৩

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২০ মে ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 210

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সোমবার বেঙ্গালুরুতে ১৫ বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রায় ১০৫.৫ মিমি। যার জেরে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। ৬৩ বছরের এক ব্যক্তি এবং ১২ বছর বয়সী এক ছেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন। অন্যদিকে অত্যাধিক বৃষ্টিতে দেওয়াল ধসে ৩৫ বছরের এক গৃহকর্মী মারা গেছেন।

রাস্তার জলে ডুবে থই থই করছে। এছাড়া বাড়ি-ঘর, আবাসন প্লাবিত। যানবাহন জলে ডুবে গেছে। গাছ উপড়ে পড়েছে। শহরজুড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং যানজট দেখা দিয়েছে। রাত দুটো নাগাদ বৃষ্টি শুরু হয়। এবং সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত বৃষ্টি চলে। বৃষ্টিপাতের ফলে অস্টিন টাউনের ভ্যানারপেট, এজিপুরার অশ্বিনী লেআউট, কোরামঙ্গলার এসটি বেড, উইলসন গার্ডেন, নীলসান্দ্রা, আনেপাল্যা, বিটিএম লেআউট, সিল্ক বোর্ড, এইচবিআর লেআউট, এইচএসআর লেআউট, হেন্নুর, কেআর পুরমের সাই লেআউট, পানাথুর, নাগাওয়ারা, মান্যতা টেকপার্ক এবং বেলান্দুর এলাকায় জল জমে যায়।উদ্ধারকারী দল নৌকা, ট্রাক্টর এবং মাটি সরানোর যন্ত্র ব্যবহার করে আটকে পড়া জনসাধারণকে উদ্ধার করেছে।

আরও পড়ুন: গভীর নিম্নচাপ, কলকাতা-সহ বাংলায় ভারী বৃষ্টি

জানা গিয়েছে, সোমবার প্রায় সারাদিনই বেঙ্গালুরুতে ভারী বৃষ্টি হয়। যার জন্য শহরের একাধিক রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এ দিন বেঙ্গালুরুর সেই অ্যাপার্টমেন্টের নীচেও জল জমে। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ অ্যাপার্টমেন্টে জমে থাকা জল বৈদ্যুতিক মোটর দিয়ে বের করতে গিয়েছিলেন সেখানকার বাসিন্দা মনমোহন কামাথ। আর তাঁকে সেই কাজে সাহায্য করছিলেন সেই অ্যাপার্টমেন্টে কর্মরত নেপালি নাগরিক ভরতের ছেলে দীনেশ।

আরও পড়ুন: আষাঢ়স্য প্রথম দিবস…

প্রসঙ্গত, এ দিন সকালে বেঙ্গালুরুতে একটি বাড়ির দেওয়াল ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে শশীকলা (৩৫) নামে একজন মহিলার। সোমবার সকালে কাজে বেরিয়ে তিনি দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। ধ্বংসস্তূপ থেকে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন: লাগাতার বৃষ্টিতে বিপুল ক্ষতির মুখে কৃষকরা

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বেঙ্গালুরুতে ভারী বৃষ্টি, মৃত ৩

আপডেট : ২০ মে ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সোমবার বেঙ্গালুরুতে ১৫ বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রায় ১০৫.৫ মিমি। যার জেরে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। ৬৩ বছরের এক ব্যক্তি এবং ১২ বছর বয়সী এক ছেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন। অন্যদিকে অত্যাধিক বৃষ্টিতে দেওয়াল ধসে ৩৫ বছরের এক গৃহকর্মী মারা গেছেন।

রাস্তার জলে ডুবে থই থই করছে। এছাড়া বাড়ি-ঘর, আবাসন প্লাবিত। যানবাহন জলে ডুবে গেছে। গাছ উপড়ে পড়েছে। শহরজুড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং যানজট দেখা দিয়েছে। রাত দুটো নাগাদ বৃষ্টি শুরু হয়। এবং সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত বৃষ্টি চলে। বৃষ্টিপাতের ফলে অস্টিন টাউনের ভ্যানারপেট, এজিপুরার অশ্বিনী লেআউট, কোরামঙ্গলার এসটি বেড, উইলসন গার্ডেন, নীলসান্দ্রা, আনেপাল্যা, বিটিএম লেআউট, সিল্ক বোর্ড, এইচবিআর লেআউট, এইচএসআর লেআউট, হেন্নুর, কেআর পুরমের সাই লেআউট, পানাথুর, নাগাওয়ারা, মান্যতা টেকপার্ক এবং বেলান্দুর এলাকায় জল জমে যায়।উদ্ধারকারী দল নৌকা, ট্রাক্টর এবং মাটি সরানোর যন্ত্র ব্যবহার করে আটকে পড়া জনসাধারণকে উদ্ধার করেছে।

আরও পড়ুন: গভীর নিম্নচাপ, কলকাতা-সহ বাংলায় ভারী বৃষ্টি

জানা গিয়েছে, সোমবার প্রায় সারাদিনই বেঙ্গালুরুতে ভারী বৃষ্টি হয়। যার জন্য শহরের একাধিক রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এ দিন বেঙ্গালুরুর সেই অ্যাপার্টমেন্টের নীচেও জল জমে। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ অ্যাপার্টমেন্টে জমে থাকা জল বৈদ্যুতিক মোটর দিয়ে বের করতে গিয়েছিলেন সেখানকার বাসিন্দা মনমোহন কামাথ। আর তাঁকে সেই কাজে সাহায্য করছিলেন সেই অ্যাপার্টমেন্টে কর্মরত নেপালি নাগরিক ভরতের ছেলে দীনেশ।

আরও পড়ুন: আষাঢ়স্য প্রথম দিবস…

প্রসঙ্গত, এ দিন সকালে বেঙ্গালুরুতে একটি বাড়ির দেওয়াল ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে শশীকলা (৩৫) নামে একজন মহিলার। সোমবার সকালে কাজে বেরিয়ে তিনি দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। ধ্বংসস্তূপ থেকে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন: লাগাতার বৃষ্টিতে বিপুল ক্ষতির মুখে কৃষকরা