প্রয়াত ঐতিহাসিক রণজিৎ গুহ, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর
পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: জীবনাবসান হল ইতিহাসবিদ রণজিৎ গুহর। আগামী ২৩ মে ১০০ বছর পূরণ করার কথা ছিল তাঁর। তার আগেই চলে গেলেন প্রবাদ প্রতিম মানুষটি। নিম্নবর্গের ইতিহাস সাধনার সম্রাট মনে করা হত তাঁকে । অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা উডসের বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুর সময়ে পাশে ছিলেন বিদেশিনী স্ত্রী মেখঠিল্ড।
রণজিৎ গুহ ২৩ মে, ১৯২৩ সালে বাংলাদেশের বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। দেশভাগের সময় স্বপরিবারে কলকাতায় চলে আসেন। ১৯৫৯ সালে তিনি ভারত থেকে ইংল্যান্ডে পাড়ি দেন এবং সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে রিডার পদে যোগ দেন। জীবনের শেষ সময়ে তিনি অস্ট্রিয়ার ভিয়েনাতে বসবাস করছলেন। আর সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
পরাধীন ভারতে কৃষক বিদ্রোহ নিয়ে তাঁর ‘আকর গ্রন্থে’ দেশের গণতান্ত্রিক বোধে কৃষকের ভূমিকা মেলে ধরেন রণজিৎ। আমৃত্যু জ্ঞানচর্চার পথই আঁকড়ে ছিলেন তিনি। তাঁর ছাতার নীচেই দীপেশ চক্রবর্তী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্ঞানেন্দ্র পাণ্ডে, শাহিদ আমিন, গৌতম ভদ্র, গায়ত্রী স্পিভাক চক্রবর্তী প্রমুখ নিম্নবর্গের ইতিহাস চর্চায় ব্রতী হয়েছিলেন।
এদিন রণজিৎ গুহর মৃত্যু সংবাদে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে তিনি জানিয়েছেন, রণজিৎ গুহ ভারতের কৃষক আন্দোলন নিয়ে সূদূরপ্রসারী কাজ করেছেন। তিনি নিম্নবর্গীয় ইতিহাস চর্চার ধারা গড়ে তোলেন এবং বেশ কিছু সমমনোভাবাপন্ন তরুণ ঐতিহাসিককে নিয়ে একটি শক্তিশালী ঐতিহাসিক গোষ্ঠী গড়ে তোলেন। এই নিম্নবর্গীয় ইতিহাস চর্চার প্রভাব পড়ে সারা পৃথিবীতে। ঐতিহাসিক গুহ পৃথিবীর নানা জায়গায় পড়িয়েছেন, নানা জায়গায় তাঁর ছাত্র ও অনুরাগীরা আছে। ঐতিহাসিক গুহর প্রয়াণে জ্ঞানচর্চার পৃথিবীতে অপূরণীয় ক্ষতি হল।