০৪ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্পে আপ্লুত হয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিঃ মইদুল

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২২ জানুয়ারী ২০২২, শনিবার
  • / 58

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে আপ্লুত হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছি– এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক মইদুল ইসলাম। মইদুলের পড়াশোনা সুরেন্দ্রনাথ কলেজে। কেমিস্ট্রি অনার্সের স্নাতক ডিগ্রি। পরিবেশ বিদ্যায় স্নাতোকোত্তর। ডায়মন্ডহারবারে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি ছিলেন মইদুলের আব্বা মরহুম আবেদ আলি মোল্লা। ১৯৯৮ সালে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগদান করেন মইদুলের আব্বা। বরাবই ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মইদুল। নির্বাচনি ম্যানেজারের কাজও তাঁকে সামলাতে হয়েছে। এর পর সাধারণ মানুষদের পাশে দাঁড়াতে শিক্ষক আন্দোলন। ২০১৪ সালে প্রাথমিকের টেট- নিয়ে স্ট্রিং অপারেশন। এর জন্য তাঁকে দলত্যাগ করতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত–  অবহেলিত–  সমস্যায় কবলিত মানুষদের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেছি। আগামীতেও মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে।

মইদুল ইসলামের কথায়–  ২০১৮ সালে উস্থি প্রাথমিক টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হয়। এর পর ২০১৮ সালে ১৩টি সংগঠনকে নিয়ে শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ গঠিত হয়। ১ লক্ষ ১০ হাজার সদস্য রয়েছেন এই মঞ্চের। তিনি বলেন–  আমাদের একমাত্র লক্ষ্য–  সাধারণ মানুষের দাবিগুলি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ। শিক্ষক ও সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেয়।

আরও পড়ুন: ভিনরাজ্যে বাঙালিদের হেনস্তার প্রতিবাদে আজ পথে নামছেন মমতা-অভিষেক

তাঁর কথায়–  পুনরায় তৃণমূলে যোগদান করেছি– দল যেভাবে কাজ করতে বলবেন–  সেভাবেই চলব। দলের নির্দেশ কঠোরভাবে পালন করবো। পাশাপাশি বৃহত্তর শত্র&র হাত থেকে দেশকে রক্ষা করব। বাইরের রাজ্যে কোনও অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হলে সেই কাজও পালন করা হবে।

আরও পড়ুন: ২১ জুলাই নিয়ে পাকদহে তৃণমূলের সভা

তিনি বলেন–  পাঠদান একটা দায়িত্ব– তা শিক্ষকতা করতে গিয়ে বুঝেছি। পাঠদানের সঙ্গে জাতিকে বাঁচানোর দায়িত্বও আমাদের রয়েছে। তাছাড়া ‘তৃণমূলের মধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়’ই ভরসা। কারণ সারা রাজ্য তথা দেশের একটা পরিচিত ও সকলের কাছের মানুষ হিসেবে পরিচিত হয়েছেন অভিষেক।

আরও পড়ুন: ২১ জুলাই প্রস্তুতি মিটিংয়ে সুন্দরবন রক্ষার বার্তা, চারাগাছ বিতরণ

তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে মইদুল বলেন–  অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসকে আপডেট করছেন। তাই সরকারের জনমুখী প্রকল্পে সহযোগিতা করার জন্যই  তৃণমূলের পতাকা ধরেছে শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ।

সবটাই দৃষ্টি আকর্ষণের আন্দোলন ছিল। গণতান্ত্রিক ভাবে কখনও বিধানসভার গেটে বিক্ষোভ করেছি– কখনও আদি গঙ্গায় কখনও মুখ্যমন্ত্রীর কসবা সভায়। আবার সামাজিক ভাবে এনআরসি–  সিএএর বিরোধিতা করে অমিত শাহকেও কালো পতাকা দেখিয়েছি। দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সফল হয়েছি। তাই মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ব্রাত্য বসু আমাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। আলোচনা করেছেন। দাবি আদায় করতে অনেকাংশে সফল হয়েছি। সময় দিতে হবে তাঁকে। গণতান্ত্রিক ভাবে লড়াই চলছে। আগামীতেও চলবে।

মইদুল আরও বলেন–  আমার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত সংগঠনের। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিন্তাভাবনা সব মহল অভিনন্দন জানাচ্ছে। আমাদের সমস্যা আছে–  কিন্তু  দেশ ও রাজ্যের বৃহত্তর স্বার্থের কথা ভেবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেছি।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্পে আপ্লুত হয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিঃ মইদুল

আপডেট : ২২ জানুয়ারী ২০২২, শনিবার

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে আপ্লুত হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছি– এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক মইদুল ইসলাম। মইদুলের পড়াশোনা সুরেন্দ্রনাথ কলেজে। কেমিস্ট্রি অনার্সের স্নাতক ডিগ্রি। পরিবেশ বিদ্যায় স্নাতোকোত্তর। ডায়মন্ডহারবারে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি ছিলেন মইদুলের আব্বা মরহুম আবেদ আলি মোল্লা। ১৯৯৮ সালে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগদান করেন মইদুলের আব্বা। বরাবই ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মইদুল। নির্বাচনি ম্যানেজারের কাজও তাঁকে সামলাতে হয়েছে। এর পর সাধারণ মানুষদের পাশে দাঁড়াতে শিক্ষক আন্দোলন। ২০১৪ সালে প্রাথমিকের টেট- নিয়ে স্ট্রিং অপারেশন। এর জন্য তাঁকে দলত্যাগ করতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত–  অবহেলিত–  সমস্যায় কবলিত মানুষদের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেছি। আগামীতেও মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে।

মইদুল ইসলামের কথায়–  ২০১৮ সালে উস্থি প্রাথমিক টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হয়। এর পর ২০১৮ সালে ১৩টি সংগঠনকে নিয়ে শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ গঠিত হয়। ১ লক্ষ ১০ হাজার সদস্য রয়েছেন এই মঞ্চের। তিনি বলেন–  আমাদের একমাত্র লক্ষ্য–  সাধারণ মানুষের দাবিগুলি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ। শিক্ষক ও সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেয়।

আরও পড়ুন: ভিনরাজ্যে বাঙালিদের হেনস্তার প্রতিবাদে আজ পথে নামছেন মমতা-অভিষেক

তাঁর কথায়–  পুনরায় তৃণমূলে যোগদান করেছি– দল যেভাবে কাজ করতে বলবেন–  সেভাবেই চলব। দলের নির্দেশ কঠোরভাবে পালন করবো। পাশাপাশি বৃহত্তর শত্র&র হাত থেকে দেশকে রক্ষা করব। বাইরের রাজ্যে কোনও অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হলে সেই কাজও পালন করা হবে।

আরও পড়ুন: ২১ জুলাই নিয়ে পাকদহে তৃণমূলের সভা

তিনি বলেন–  পাঠদান একটা দায়িত্ব– তা শিক্ষকতা করতে গিয়ে বুঝেছি। পাঠদানের সঙ্গে জাতিকে বাঁচানোর দায়িত্বও আমাদের রয়েছে। তাছাড়া ‘তৃণমূলের মধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়’ই ভরসা। কারণ সারা রাজ্য তথা দেশের একটা পরিচিত ও সকলের কাছের মানুষ হিসেবে পরিচিত হয়েছেন অভিষেক।

আরও পড়ুন: ২১ জুলাই প্রস্তুতি মিটিংয়ে সুন্দরবন রক্ষার বার্তা, চারাগাছ বিতরণ

তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে মইদুল বলেন–  অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসকে আপডেট করছেন। তাই সরকারের জনমুখী প্রকল্পে সহযোগিতা করার জন্যই  তৃণমূলের পতাকা ধরেছে শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ।

সবটাই দৃষ্টি আকর্ষণের আন্দোলন ছিল। গণতান্ত্রিক ভাবে কখনও বিধানসভার গেটে বিক্ষোভ করেছি– কখনও আদি গঙ্গায় কখনও মুখ্যমন্ত্রীর কসবা সভায়। আবার সামাজিক ভাবে এনআরসি–  সিএএর বিরোধিতা করে অমিত শাহকেও কালো পতাকা দেখিয়েছি। দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সফল হয়েছি। তাই মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ব্রাত্য বসু আমাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। আলোচনা করেছেন। দাবি আদায় করতে অনেকাংশে সফল হয়েছি। সময় দিতে হবে তাঁকে। গণতান্ত্রিক ভাবে লড়াই চলছে। আগামীতেও চলবে।

মইদুল আরও বলেন–  আমার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত সংগঠনের। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিন্তাভাবনা সব মহল অভিনন্দন জানাচ্ছে। আমাদের সমস্যা আছে–  কিন্তু  দেশ ও রাজ্যের বৃহত্তর স্বার্থের কথা ভেবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেছি।