প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস ভারতের

- আপডেট : ৩০ অগাস্ট ২০২২, মঙ্গলবার
- / 10
পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ প্রাকৃতিক বিপর্যয় বন্যার জেরে বিধ্বস্ত পাকিস্তান।কাতারে কাতারে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।বাদ পড়ছে না গবাদি পশুরাও।এই সময় প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে আন্তরিক সমবেদনা জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ।
সূত্রের খবর, ভয়াবহ বন্যায় বিধ্বস্ত পাকিস্তানকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে ভারত সরকার।গত সোমবার সামাজিক মাধ্যমে টুইট করে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘পাকিস্তানে বন্যার ভয়াবহতা দেখে আমি অত্যন্ত দুঃখিত’।তাঁরা দ্রুতই এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসুক এই কামনা করি।এই বিপর্যয়ে যে সমস্ত পরিবার তাঁর আত্মীয়-স্বজনদের হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। পাকিস্তানকে সাহায্য করার বিষয়ে ইতিমধ্যেই শীর্ষ স্তরের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন কেন্দ্রীয় সরকার বলেই খবর।তবে এই প্রসঙ্গে সরকারি ভাবে এখনও কিছু জানানও হয়নি।
প্রসঙ্গত,অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত পাকিস্তানকে আরও ভোগাচ্ছে ভয়াবহ বন্যা।বন্যায় দেশটির এক-তৃতীয়াংশ এলাকা তলিয়ে গেছে। বিভিন্ন প্রদেশে এখনও পর্যন্ত বন্যায় মারা গেছেন ১,১৫০ জনেরও বেশি। ভেসে গেছে গবাদি পশু, রাস্তাঘাট, মাঠের ফসল। ঘরবাড়ি হারিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ আশ্রয়হীন। বিধ্বংসী এ বন্যায় এরইমধ্যে ক্ষয়ক্ষতি এক হাজার কোটি ডলার (১০ বিলিয়ন) ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পরিকল্পনামন্ত্রী। এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি। বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে পাকিস্তানের সিন্ধু, বালুচিস্তান, পঞ্জাব (দক্ষিণ) ও খাইবার প্রদেশের বন্যাদুর্গত লক্ষ লক্ষ মানুষ। বন্যায় ডুবে গেছে ঘরবাড়ি, কারও বাড়ি ভেসে গেছে জলের তোড়ে। গ্রামের পর গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
দেশটির জলবায়ু মন্ত্রী শেরি রেহমান বলেন, পাকিস্তানের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা এই মুহূর্তে পানির নিচে রয়েছে। অতীতের প্রতিটি সীমা, প্রতিটি রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে এবারের বন্যা। আগে কখনও এমন পরিস্থিতি দেখিনি আমরা।তিনি বলেন, একটি বিশাল সমুদ্রে পরিণত হয়েছে দেশ। পানি সেচে ফেলার জন্য কোনও শুকনো জমি নেই। অকল্পনীয় সংকটে পড়েছে পাকিস্তান।
কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, ৩ কোটি ৩০ লক্ষেরও বেশি নাগরিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এদিকে প্রাণহানির সংখ্যাও বেড়ে চলেছে প্রতিদিন। জলবায়ু মন্ত্রক জানিয়েছে, সোমবার পর্যন্ত প্রাণহানি ঘটেছে ১,১৩৬ জনের। এদের বেশির ভাগই শিশু। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে বন্যায় নিহতদের এক-তৃতীয়াংশ শিশু। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের চেষ্টা করছি আমরা।’
চলতি বছরের জুনে পাকিস্তানে বর্ষার শুরু থেকেই প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত এক দশকে দেশটিতে এমন ভারী বর্ষণ আর হয়নি। টানা ভারী বর্ষণে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। এই বিপর্যয়ের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করছে পাকিস্তান। বন্যার ক্ষয়ক্ষতির ভয়াবহতা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে সরকারে।