৩১ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফের ছত্তিশগড়ে খতম ২ মাওবাদী নেতা

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১২ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 105

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:  ছত্তিশগড়ের সুকমা জেলায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হল দুই মাও নেতার। তার মধ্যে একজনের মাথার দাম ছিল ৫ লক্ষ টাকা। পাশাপাশি, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক।

মঙ্গলবার দুপুর ২টো নাগাদ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সুকমা জেলার পুসগুন্না জঙ্গলে যৌথ অভিযান চালায় পুলিশ এবং ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি)। খবর ছিল, ওই এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে দু’জন মাওবাদী নেতা। এরপর এলাকা ঘিরে শুরু হয় তল্লাশি।

আরও পড়ুন: ছত্তিশগড়ে খতম ২ মাওবাদী নেত্রী

দীর্ঘক্ষণ ধরে দু’পক্ষের গুলির লড়াই চলার পর অবেশেষে মৃত্যু দুই মাও নেতার। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদের মধ্যে একজন ছিল মাওবাদীদের লোকাল অরগানাইজিং স্কোয়াডের (এলওএস) কমান্ডার। তার মাথার দাম ছিল ৫ লক্ষ টাকা।

আরও পড়ুন: ছত্তিশগড় দু’দিনের সফরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মাওবাদী নিধনে নয়া কৌশল নিতে বৈঠক শাহর

উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদমুক্ত ভারত গড়ার বার্তা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর থেকেই ছত্তিশগড়, ঝড়খণ্ডের মতো মাওবাদী অধ্যুষিত রাজ্যগুলিতে মাওবিরোধী অভিযান ব্যাপক গতি পেয়েছে। গোয়েন্দাদের মতে, বর্তমানে ছত্তিশগড় তেলেঙ্গানা সীমানাবর্তী কারেগুট্টা পাহাড়ি এলাকা মাওবাদীদের অন্যতম শক্তঘাঁটি।

আরও পড়ুন: অন্ধ্রের জঙ্গলে ধুন্ধুমার গুলির লড়াই, নিহত শীর্ষ মাওবাদী নেতা উদয়, অরুণা

এই এলাকা থেকে মাওবাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে প্রায় ৩ হাজার আধাসেনাকে নামানো হয়েছে। ২১ এপ্রিল থেকে ওই অঞ্চলে শুরু হয়েছে অভিযান। এখনও পর্যন্ত ওই এলাকাজুড়ে অভিযান চালিয়ে ৩১ জনের বেশি মাওবাদীকে হত্যা করা হয়েছে। ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র ও তেলেঙ্গানা সীমানা ঘেঁষা পাহাড় ও জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়ে থাকা ১০০০ মাওবাদীকে ধরতে নামানো হয়েছে প্রায় ২০ হাজারের বেশি যৌথ বাহিনীকে।

 

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ফের ছত্তিশগড়ে খতম ২ মাওবাদী নেতা

আপডেট : ১২ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:  ছত্তিশগড়ের সুকমা জেলায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হল দুই মাও নেতার। তার মধ্যে একজনের মাথার দাম ছিল ৫ লক্ষ টাকা। পাশাপাশি, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক।

মঙ্গলবার দুপুর ২টো নাগাদ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সুকমা জেলার পুসগুন্না জঙ্গলে যৌথ অভিযান চালায় পুলিশ এবং ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি)। খবর ছিল, ওই এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে দু’জন মাওবাদী নেতা। এরপর এলাকা ঘিরে শুরু হয় তল্লাশি।

আরও পড়ুন: ছত্তিশগড়ে খতম ২ মাওবাদী নেত্রী

দীর্ঘক্ষণ ধরে দু’পক্ষের গুলির লড়াই চলার পর অবেশেষে মৃত্যু দুই মাও নেতার। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদের মধ্যে একজন ছিল মাওবাদীদের লোকাল অরগানাইজিং স্কোয়াডের (এলওএস) কমান্ডার। তার মাথার দাম ছিল ৫ লক্ষ টাকা।

আরও পড়ুন: ছত্তিশগড় দু’দিনের সফরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মাওবাদী নিধনে নয়া কৌশল নিতে বৈঠক শাহর

উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদমুক্ত ভারত গড়ার বার্তা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর থেকেই ছত্তিশগড়, ঝড়খণ্ডের মতো মাওবাদী অধ্যুষিত রাজ্যগুলিতে মাওবিরোধী অভিযান ব্যাপক গতি পেয়েছে। গোয়েন্দাদের মতে, বর্তমানে ছত্তিশগড় তেলেঙ্গানা সীমানাবর্তী কারেগুট্টা পাহাড়ি এলাকা মাওবাদীদের অন্যতম শক্তঘাঁটি।

আরও পড়ুন: অন্ধ্রের জঙ্গলে ধুন্ধুমার গুলির লড়াই, নিহত শীর্ষ মাওবাদী নেতা উদয়, অরুণা

এই এলাকা থেকে মাওবাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে প্রায় ৩ হাজার আধাসেনাকে নামানো হয়েছে। ২১ এপ্রিল থেকে ওই অঞ্চলে শুরু হয়েছে অভিযান। এখনও পর্যন্ত ওই এলাকাজুড়ে অভিযান চালিয়ে ৩১ জনের বেশি মাওবাদীকে হত্যা করা হয়েছে। ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র ও তেলেঙ্গানা সীমানা ঘেঁষা পাহাড় ও জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়ে থাকা ১০০০ মাওবাদীকে ধরতে নামানো হয়েছে প্রায় ২০ হাজারের বেশি যৌথ বাহিনীকে।