২৬ জুলাই ২০২৫, শনিবার, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনা: ভুল দেহ পাঠানোর অভিযোগ নিয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়া

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 52

নয়াদিল্লি: আহমেদাবাদে ঘটে যাওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর ব্রিটেনে পাঠানো কিছু মরদেহ ভুলভাবে শনাক্ত করা হয়েছিল বলে দাবি করেছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইল। পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, কিছু পরিবারের হাতে আসল দেহের বদলে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির দেহাবশেষ তুলে দেওয়া হয়।

এই দাবি সামনে আসার পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীলতার সঙ্গে নিয়েছে এবং ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে যাতে সংশ্লিষ্ট উদ্বেগের সমাধান করা যায়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জায়সওয়াল বলেন, “আমরা এই প্রতিবেদন দেখেছি। যতক্ষণে বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে, আমরা ব্রিটেনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছি। দুর্ঘটনার পর সব দেহ শনাক্ত করা হয়েছিল আন্তর্জাতিক প্রোটোকল ও প্রযুক্তিগত নিয়ম মেনে। সব মরদেহই যথাযোগ্য সম্মান ও সংবেদনশীলতার সঙ্গে হস্তান্তর করা হয়েছে।”উল্লেখ্য যে, গত ১২ জুন আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ মডেলের একটি বিমান দুর্ঘটনার শিকার হয়। এতে যাত্রী ও ক্রুসহ মোট ২৬০ জনের মৃত্যু হয়। কেবলমাত্র একজন প্রাণে বেঁচে যান।

আরও পড়ুন: মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় এবার শোকপ্রকাশ পাকিস্তানি অভিনেত্রী ইয়ুমনা জায়েদীর

 

আরও পড়ুন: ২০ শিশুকে বাঁচিয়ে মৃত্যুর কোলে শিক্ষিকা মেহেরীন চৌধুরী

ডেইলি মেইল কী বলেছে?

আরও পড়ুন: দিল্লিতে অবতরণের পরেই এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে আগুন

 

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিছু ব্রিটিশ পরিবারকে যে কফিন পাঠানো হয়েছিল, তার মধ্যে ছিল অজানা ব্যক্তির দেহাবশেষ। এমনকি একটি ঘটনায় দেখা গেছে, একাধিক ব্যক্তির মিশ্র দেহাবশেষ একই কফিনে পাঠানো হয়েছিল, যা পরে আলাদা করতে হয়েছে যাতে যথাযথভাবে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়। এই অসঙ্গতি ধরা পড়ে যখন লন্ডনের ময়নাতদন্ত তদন্তকারী অফিসার ডঃ ফিওনা উইলকক্স ডিএনএ নমুনার মাধ্যমে মরদেহের সত্যতা যাচাই করতে চেষ্টা করেন।

 

দুর্ঘটনায় নিহত হন ব্রিটিশ নাগরিক আশোক ও শোভনা প্যাটেল। তাঁদের ছেলে মিতেন প্যাটেল জানান, “মায়ের কফিনে অন্য কারও দেহাবশেষও ছিল, যা আমরা বুঝতে পারি ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে।” তিনি বলেন, “এটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও বিভ্রান্তিকর অভিজ্ঞতা। এমন দুর্ঘটনায় কিছু ভুল হতেই পারে, কিন্তু এমন স্পর্শকাতর বিষয়ে আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।” তিনি প্রশ্ন তোলেন, “আমি কীভাবে নিশ্চিত হব যে, কফিনে কেবল আমার বাবা-মায়ের দেহাবশেষই ছিল?”

এই দুর্ঘটনার পর মরদেহ শনাক্তকরণ ও হস্তান্তরের ক্ষেত্রে যে ত্রুটির অভিযোগ উঠেছে, তা আন্তর্জাতিক স্তরে ভারত-ব্রিটেন কূটনৈতিক আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে এবং তদন্ত ও সংশোধনের জন্য ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনা: ভুল দেহ পাঠানোর অভিযোগ নিয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়া

আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার

নয়াদিল্লি: আহমেদাবাদে ঘটে যাওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর ব্রিটেনে পাঠানো কিছু মরদেহ ভুলভাবে শনাক্ত করা হয়েছিল বলে দাবি করেছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইল। পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, কিছু পরিবারের হাতে আসল দেহের বদলে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির দেহাবশেষ তুলে দেওয়া হয়।

এই দাবি সামনে আসার পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীলতার সঙ্গে নিয়েছে এবং ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে যাতে সংশ্লিষ্ট উদ্বেগের সমাধান করা যায়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জায়সওয়াল বলেন, “আমরা এই প্রতিবেদন দেখেছি। যতক্ষণে বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে, আমরা ব্রিটেনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছি। দুর্ঘটনার পর সব দেহ শনাক্ত করা হয়েছিল আন্তর্জাতিক প্রোটোকল ও প্রযুক্তিগত নিয়ম মেনে। সব মরদেহই যথাযোগ্য সম্মান ও সংবেদনশীলতার সঙ্গে হস্তান্তর করা হয়েছে।”উল্লেখ্য যে, গত ১২ জুন আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ মডেলের একটি বিমান দুর্ঘটনার শিকার হয়। এতে যাত্রী ও ক্রুসহ মোট ২৬০ জনের মৃত্যু হয়। কেবলমাত্র একজন প্রাণে বেঁচে যান।

আরও পড়ুন: মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় এবার শোকপ্রকাশ পাকিস্তানি অভিনেত্রী ইয়ুমনা জায়েদীর

 

আরও পড়ুন: ২০ শিশুকে বাঁচিয়ে মৃত্যুর কোলে শিক্ষিকা মেহেরীন চৌধুরী

ডেইলি মেইল কী বলেছে?

আরও পড়ুন: দিল্লিতে অবতরণের পরেই এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে আগুন

 

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিছু ব্রিটিশ পরিবারকে যে কফিন পাঠানো হয়েছিল, তার মধ্যে ছিল অজানা ব্যক্তির দেহাবশেষ। এমনকি একটি ঘটনায় দেখা গেছে, একাধিক ব্যক্তির মিশ্র দেহাবশেষ একই কফিনে পাঠানো হয়েছিল, যা পরে আলাদা করতে হয়েছে যাতে যথাযথভাবে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়। এই অসঙ্গতি ধরা পড়ে যখন লন্ডনের ময়নাতদন্ত তদন্তকারী অফিসার ডঃ ফিওনা উইলকক্স ডিএনএ নমুনার মাধ্যমে মরদেহের সত্যতা যাচাই করতে চেষ্টা করেন।

 

দুর্ঘটনায় নিহত হন ব্রিটিশ নাগরিক আশোক ও শোভনা প্যাটেল। তাঁদের ছেলে মিতেন প্যাটেল জানান, “মায়ের কফিনে অন্য কারও দেহাবশেষও ছিল, যা আমরা বুঝতে পারি ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে।” তিনি বলেন, “এটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও বিভ্রান্তিকর অভিজ্ঞতা। এমন দুর্ঘটনায় কিছু ভুল হতেই পারে, কিন্তু এমন স্পর্শকাতর বিষয়ে আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।” তিনি প্রশ্ন তোলেন, “আমি কীভাবে নিশ্চিত হব যে, কফিনে কেবল আমার বাবা-মায়ের দেহাবশেষই ছিল?”

এই দুর্ঘটনার পর মরদেহ শনাক্তকরণ ও হস্তান্তরের ক্ষেত্রে যে ত্রুটির অভিযোগ উঠেছে, তা আন্তর্জাতিক স্তরে ভারত-ব্রিটেন কূটনৈতিক আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে এবং তদন্ত ও সংশোধনের জন্য ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।