০৮ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তুরস্কে মূল্যস্ফীতি ২০ বছরে সর্বোচ্চ

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৪ মার্চ ২০২২, শুক্রবার
  • / 53

প্রতীকী ছবি

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : তুরস্কে ফের মূল্যস্ফীতি বাড়তে শুরু করেছে। জানা গেছে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারীতে দেশটিতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ দশমিক ৪৪ শতাংশে যা ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। তাছাড়া জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির পরিমাণ ছিল ৪৮ দশমিক সাত শতাংশ। লিরার দরপতন ও জ্বালানির দাম বাড়ায় দেশটির মূল্যস্ফীতিতে এই প্রভাব পড়েছে। তুর্কি পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউট জানায় ফেব্রুয়ারীতে ভোগ্যপণ্যের দাম ৪ দশমিক ৮১ শতাংশ বেড়েছে। তাছাড়া আগের মাসে উৎপাদক মূল্যসূচক বেড়ে হয় সাত দশমিক ২২ শতাংশ। জানুয়ারিতে তুরস্কের জ্বালানি আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। এতে দেশটির বাণিজ্য ঘাটতি আরও প্রকট হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: দাবানলে জ্বলছে তুরস্কের ইজমির, গ্রাম খালি, বিমানবন্দর বন্ধ

অন্যদিকে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ ও সরবরাহ সংকটের ফলে পণ্যদ্রব্যের মূল্য বেড়েছে। এদিকে তুরস্কের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক সেপ্টেম্বরে সুদ হার কমিয়ে ১৪ শতাংশ করেছে। গত বছর টার্কিশ মুদ্রার মূল্য কমে প্রায় ৪৭ শতাংশ। দেশটির সরকার ব্যাঙ্ক সুদের হার বাড়াতে অস্বীকার করায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়। মুদ্রার অস্বাভাবিক দরপতনে টার্কিশ জীবনযাত্রায় প্রভাব পড়েছে। একদিকে নাগরিকদের বেতন কমেছে অন্যদিকে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। বিদ্যুৎ-গ্যাসের উচ্চমূল্য দেশটির ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের যন্ত্রণা আরও বাড়িয়েছে। ফেব্রুয়ারী মাঝামাঝি সময়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান সুদ ও মূল্যস্ফীতি কমানোর প্রতিশ্রুতি দেন। তুরস্কের মুদ্রা সমস্যার জন্য বিদেশি ব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন তিনি

আরও পড়ুন: তুরস্কের ‘কান’ যুদ্ধবিমান কিনছে ইন্দোনেশিয়া, প্রথম আন্তর্জাতিক চুক্তি

আরও পড়ুন: তুরস্ক বয়কট, মামলা গেল দিল্লি হাইকোর্টে

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

তুরস্কে মূল্যস্ফীতি ২০ বছরে সর্বোচ্চ

আপডেট : ৪ মার্চ ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : তুরস্কে ফের মূল্যস্ফীতি বাড়তে শুরু করেছে। জানা গেছে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারীতে দেশটিতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ দশমিক ৪৪ শতাংশে যা ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। তাছাড়া জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির পরিমাণ ছিল ৪৮ দশমিক সাত শতাংশ। লিরার দরপতন ও জ্বালানির দাম বাড়ায় দেশটির মূল্যস্ফীতিতে এই প্রভাব পড়েছে। তুর্কি পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউট জানায় ফেব্রুয়ারীতে ভোগ্যপণ্যের দাম ৪ দশমিক ৮১ শতাংশ বেড়েছে। তাছাড়া আগের মাসে উৎপাদক মূল্যসূচক বেড়ে হয় সাত দশমিক ২২ শতাংশ। জানুয়ারিতে তুরস্কের জ্বালানি আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। এতে দেশটির বাণিজ্য ঘাটতি আরও প্রকট হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: দাবানলে জ্বলছে তুরস্কের ইজমির, গ্রাম খালি, বিমানবন্দর বন্ধ

অন্যদিকে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ ও সরবরাহ সংকটের ফলে পণ্যদ্রব্যের মূল্য বেড়েছে। এদিকে তুরস্কের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক সেপ্টেম্বরে সুদ হার কমিয়ে ১৪ শতাংশ করেছে। গত বছর টার্কিশ মুদ্রার মূল্য কমে প্রায় ৪৭ শতাংশ। দেশটির সরকার ব্যাঙ্ক সুদের হার বাড়াতে অস্বীকার করায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়। মুদ্রার অস্বাভাবিক দরপতনে টার্কিশ জীবনযাত্রায় প্রভাব পড়েছে। একদিকে নাগরিকদের বেতন কমেছে অন্যদিকে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। বিদ্যুৎ-গ্যাসের উচ্চমূল্য দেশটির ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের যন্ত্রণা আরও বাড়িয়েছে। ফেব্রুয়ারী মাঝামাঝি সময়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান সুদ ও মূল্যস্ফীতি কমানোর প্রতিশ্রুতি দেন। তুরস্কের মুদ্রা সমস্যার জন্য বিদেশি ব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন তিনি

আরও পড়ুন: তুরস্কের ‘কান’ যুদ্ধবিমান কিনছে ইন্দোনেশিয়া, প্রথম আন্তর্জাতিক চুক্তি

আরও পড়ুন: তুরস্ক বয়কট, মামলা গেল দিল্লি হাইকোর্টে