০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরানের কাছে ১৮ গুণ বেশি ইউরেনিয়াম, আতঙ্কে পশ্চিমারা

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ২ জুন ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 6

 

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ২০১৫ সালে বিশ্বের ছয় দেশের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিতে তেহরানকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার যে সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল, বর্তমানে ইরানের কাছে তার চেয়ে ১৮ গুণ বেশি সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম রয়েছে। সোমবার রাষ্ট্রসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থা (আইএইএ) এই কথা জানায়। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ব্যাপারে তার সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলেছে, ২০২২ সালের ১৫ মে ইরানের কাছে ইউরেনিয়াম মজুদ ছিল আনুমানিক ৩ হাজার ৮০৯ দশমিক ৩ কিলোগ্রাম। ২০১৫ সালে বিশ্বশক্তির সাথে করা চুক্তিতে মোট ২০২ দশমিক ৮ কেজি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার কথা বলা হয়েছিল। আইএইএ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান চুক্তিতে উল্লেখ করা সীমার চেয়ে বেশি মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চালিয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে ইরানে এখন ২০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদ ২৩৮ দশমিক ৪ কেজি, যা গত মার্চ মাসে তৈরি শেষ রিপোর্ট থেকে ৫৬ দশমিক তিন কেজি বেশি। অন্যদিকে, ৬০ শতাংশে সমৃদ্ধ হওয়া ইউরেনিয়ামের পরিমাণ ৪৩ দশমিক ১ কেজিতে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ, তিন মাস আগের রিপোর্টের তুলনায় ৯ দশমিক ৯ কেজি বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লেখ্য, পারমাণবিক অস্ত্রে ব্যবহারের জন্য প্রায় ৯০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের প্রয়োজন হয়। পশ্চিমা বিশ্বের চাপের মুখেও ইরান বরাবরই বলে আসছে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। তারা চিকিৎসার মতো জরুরি খাতে ব্যবহারের জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে। ইরান এবং বিশ্বশক্তির মধ্যে ২০১৫ সালে পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সে সময় মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে ছিলেন ওবামা। কিন্তু ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর ২০১৮ সালে ওই চুক্তি থেকে আমেরিকোকে প্রত্যাহার করে নেন এবং বেশ কয়েক দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এর পর থেকে ইরানও চুক্তির ধারা থেকে বাইরে বেরিয়ে আসে। বর্তমানে ভিয়েনায় পরমাণু চুক্তি টিকিয়ে রাখার আলোচনা চলছে।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইরানের কাছে ১৮ গুণ বেশি ইউরেনিয়াম, আতঙ্কে পশ্চিমারা

আপডেট : ২ জুন ২০২২, বৃহস্পতিবার

 

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ২০১৫ সালে বিশ্বের ছয় দেশের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিতে তেহরানকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার যে সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল, বর্তমানে ইরানের কাছে তার চেয়ে ১৮ গুণ বেশি সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম রয়েছে। সোমবার রাষ্ট্রসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থা (আইএইএ) এই কথা জানায়। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ব্যাপারে তার সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলেছে, ২০২২ সালের ১৫ মে ইরানের কাছে ইউরেনিয়াম মজুদ ছিল আনুমানিক ৩ হাজার ৮০৯ দশমিক ৩ কিলোগ্রাম। ২০১৫ সালে বিশ্বশক্তির সাথে করা চুক্তিতে মোট ২০২ দশমিক ৮ কেজি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার কথা বলা হয়েছিল। আইএইএ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান চুক্তিতে উল্লেখ করা সীমার চেয়ে বেশি মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চালিয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে ইরানে এখন ২০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদ ২৩৮ দশমিক ৪ কেজি, যা গত মার্চ মাসে তৈরি শেষ রিপোর্ট থেকে ৫৬ দশমিক তিন কেজি বেশি। অন্যদিকে, ৬০ শতাংশে সমৃদ্ধ হওয়া ইউরেনিয়ামের পরিমাণ ৪৩ দশমিক ১ কেজিতে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ, তিন মাস আগের রিপোর্টের তুলনায় ৯ দশমিক ৯ কেজি বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লেখ্য, পারমাণবিক অস্ত্রে ব্যবহারের জন্য প্রায় ৯০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের প্রয়োজন হয়। পশ্চিমা বিশ্বের চাপের মুখেও ইরান বরাবরই বলে আসছে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। তারা চিকিৎসার মতো জরুরি খাতে ব্যবহারের জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে। ইরান এবং বিশ্বশক্তির মধ্যে ২০১৫ সালে পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সে সময় মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে ছিলেন ওবামা। কিন্তু ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর ২০১৮ সালে ওই চুক্তি থেকে আমেরিকোকে প্রত্যাহার করে নেন এবং বেশ কয়েক দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এর পর থেকে ইরানও চুক্তির ধারা থেকে বাইরে বেরিয়ে আসে। বর্তমানে ভিয়েনায় পরমাণু চুক্তি টিকিয়ে রাখার আলোচনা চলছে।