২৩ জুন ২০২৫, সোমবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরানে মার্কিন হামলার নিন্দায় সরব জামায়াতে ইসলামি হিন্দ, মুসলিম বিশ্ব ও ভারত সরকারের কাছে পদক্ষেপের আহ্বান

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২৩ জুন ২০২৫, সোমবার
  • / 29

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ইরানে আমেরিকার হামলার তীব্র নিন্দা জানাল জামাআত-ই-ইসলামি হিন্দ। এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানিয়েছে, জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়, যেখানে ইরানের জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করার পাশাপাশি এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের সরাসরি লঙ্ঘন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

মজলিসে শুরার বৈঠকে বলা হয়, ইসরাইল ও আমেরিকার যৌথ আগ্রাসন শুধু মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য নয়, বরং গোটা মানবজাতির জন্য ভয়াবহ হুমকি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা দমননীতি ও ইসরাইলের আগ্রাসনকেই এই সংকটের জন্য মূলত দায়ী করেছে জামায়াত।

আরও পড়ুন: কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরানের 

প্রস্তাবে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এখনও পর্যন্ত ইরানের পরমাণু চুক্তি লঙ্ঘনের কোনও প্রমাণ দিতে পারনি। তা সত্ত্বেও ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে আমেরিকা হামলা চালিয়েছে। এই হামলা একটি অগ্রহণযোগ্য, বেপরোয়া ও মানবতা-বিরোধী পদক্ষেপ।

আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যে চলতি সংঘর্ষে ভারতে জ্বালানির অভাব হবে না: হরদীপ পুরী

জাময়াতে ইসলামি হিন্দের শুরা বৈঠকে এই হামলার ফলে সম্ভাব্য মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়—যার মধ্যে রয়েছে অসংখ্য নিরীহ মানুষের প্রাণহানি, পরিকাঠামোগত ধ্বংস, সাধারণ মানুষের বিপদ ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়।

আরও পড়ুন: ইরানে মার্কিন হামলায় মোদি সরকারের ‘নীরব’ অবস্থানকে নিশানা কংগ্রেসের

সংগঠনটি বলছে, ইসরাইলের একতরফা আগ্রাসনকে ‘আত্মরক্ষা’ বলা হয়। অথচ ইরানের প্রতিক্রিয়াকে ‘সন্ত্রাসবাদ’ হিসেবে প্রচার করা হয়। এই ধরনের দ্বিচারিতা বিশ্বশান্তির জন্য চরম হুমকি।

জামায়াতে ইসলামি হিন্দ ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়, যেন তারা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য সক্রিয় কূটনৈতিক উদ্যোগ নেয়, নিরপেক্ষতা বজায় রাখে। সংগঠনটির দাবি, ভারত ঐতিহাসিকভাবে যে নীতি অনুসরণ করেছে, সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা ও তৃতীয় বিশ্বের নিপীড়িতদের পাশে থাকা— সেই পথে যেন থাকে।

জামায়াত মুসলিম বিশ্বের কাছে আহ্বান জানিয়েছে, তারা যেন শুধু বিবৃতি দিয়ে দায়িত্ব শেষ না করে, বরং ঐক্যবদ্ধ হয়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করে মার্কিন ও ইসরাইলি আগ্রাসন থামাতে চাপ সৃষ্টি করে।

সবশেষে, জামায়াত ভারতের পাশাপাশি সারা বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মানুষদের আহ্বান জানিয়েছে, তারা যেন ইরানের জনগণ ও অন্যান্য নিপীড়িতদের পাশে দাঁড়িয়ে ন্যায়ের পক্ষে এবং বিশ্বশান্তির জন্য সোচ্চার হন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইরানে মার্কিন হামলার নিন্দায় সরব জামায়াতে ইসলামি হিন্দ, মুসলিম বিশ্ব ও ভারত সরকারের কাছে পদক্ষেপের আহ্বান

আপডেট : ২৩ জুন ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ইরানে আমেরিকার হামলার তীব্র নিন্দা জানাল জামাআত-ই-ইসলামি হিন্দ। এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানিয়েছে, জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়, যেখানে ইরানের জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করার পাশাপাশি এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের সরাসরি লঙ্ঘন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

মজলিসে শুরার বৈঠকে বলা হয়, ইসরাইল ও আমেরিকার যৌথ আগ্রাসন শুধু মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য নয়, বরং গোটা মানবজাতির জন্য ভয়াবহ হুমকি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা দমননীতি ও ইসরাইলের আগ্রাসনকেই এই সংকটের জন্য মূলত দায়ী করেছে জামায়াত।

আরও পড়ুন: কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরানের 

প্রস্তাবে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এখনও পর্যন্ত ইরানের পরমাণু চুক্তি লঙ্ঘনের কোনও প্রমাণ দিতে পারনি। তা সত্ত্বেও ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে আমেরিকা হামলা চালিয়েছে। এই হামলা একটি অগ্রহণযোগ্য, বেপরোয়া ও মানবতা-বিরোধী পদক্ষেপ।

আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যে চলতি সংঘর্ষে ভারতে জ্বালানির অভাব হবে না: হরদীপ পুরী

জাময়াতে ইসলামি হিন্দের শুরা বৈঠকে এই হামলার ফলে সম্ভাব্য মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়—যার মধ্যে রয়েছে অসংখ্য নিরীহ মানুষের প্রাণহানি, পরিকাঠামোগত ধ্বংস, সাধারণ মানুষের বিপদ ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়।

আরও পড়ুন: ইরানে মার্কিন হামলায় মোদি সরকারের ‘নীরব’ অবস্থানকে নিশানা কংগ্রেসের

সংগঠনটি বলছে, ইসরাইলের একতরফা আগ্রাসনকে ‘আত্মরক্ষা’ বলা হয়। অথচ ইরানের প্রতিক্রিয়াকে ‘সন্ত্রাসবাদ’ হিসেবে প্রচার করা হয়। এই ধরনের দ্বিচারিতা বিশ্বশান্তির জন্য চরম হুমকি।

জামায়াতে ইসলামি হিন্দ ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়, যেন তারা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য সক্রিয় কূটনৈতিক উদ্যোগ নেয়, নিরপেক্ষতা বজায় রাখে। সংগঠনটির দাবি, ভারত ঐতিহাসিকভাবে যে নীতি অনুসরণ করেছে, সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা ও তৃতীয় বিশ্বের নিপীড়িতদের পাশে থাকা— সেই পথে যেন থাকে।

জামায়াত মুসলিম বিশ্বের কাছে আহ্বান জানিয়েছে, তারা যেন শুধু বিবৃতি দিয়ে দায়িত্ব শেষ না করে, বরং ঐক্যবদ্ধ হয়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করে মার্কিন ও ইসরাইলি আগ্রাসন থামাতে চাপ সৃষ্টি করে।

সবশেষে, জামায়াত ভারতের পাশাপাশি সারা বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মানুষদের আহ্বান জানিয়েছে, তারা যেন ইরানের জনগণ ও অন্যান্য নিপীড়িতদের পাশে দাঁড়িয়ে ন্যায়ের পক্ষে এবং বিশ্বশান্তির জন্য সোচ্চার হন।