০৬ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে সত্ত্বেও ক্ষমা না চাওয়ায়, নূপুর শর্মার গ্রেফতারের দাবি জামায়াত-ই-ইসলামি হিন্দের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৪ জুলাই ২০২২, সোমবার
  • / 132

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: প্রাক্তন বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।সর্বোচ্চ আদালত বলেছিল, নূপুরের উচিত টেলিভিশনে বসে গোটা দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া।

নবী মুহম্মদ সা.কে নিয়ে তাঁর কুরুচিকর মন্তব্যের দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছিল। তার জেরে বিভিন্ন রাজ্যের একাধিক থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে নূপুরের নামে। এই সমস্ত এফআইআর দিল্লিতে ‘ট্রান্সফার’ করতে আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। এই আবেদন খারিজ তো হয়েছেই, নূপুরকে ভর্ৎসনা করে সুপ্রিম কোর্ট বলে, দেশের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়েছিল তাঁর জন্যই। কোনওরকম সুরাহা পেতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

আরও পড়ুন: I love Muhammad’ ব্যানারকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা অসাংবিধানিক: জামায়াতে ইসলামি হিন্দ

কিন্তু তিনি জাতির কাছে ক্ষমা চাননি। জামায়াতে ইসলামি হিন্দ এজন্যে নূপুর শর্মাকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে।

আরও পড়ুন: পাঞ্জাবে বন্যা দুর্গতদের পাশে জামাআতে ইসলামী হিন্দ 

নয়াদিল্লিতে জেআইএইচ সদর দফতরে জামায়াত-ই-ইসলামি হিন্দের সভাপতি সৈয়দ সাদাতুল্লাহ হুসাইনি এবং এর ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ সেলিম যৌথভাবে এক সংবাদিক সম্মেলনে এই দাবি জানান।

আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের ২৫ শতাংশ ডিএ দিতে বলল সুপ্রিম কোর্ট, চাপ বাড়ল রাজ্যের

এক সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মিঃ হুসাইনি বলেন, শাস্তির পরিবর্তে ক্ষমা চাওয়া হলে দেশে আদালত ও কারাগারের প্রয়োজন নেই।

জামায়াত নেতা সেই সমস্ত রাজনীতিবিদ, টিভি চ্যানেল এবং মিডিয়া হাউসগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছে যারা দেশে ঘৃণা ছড়াচ্ছে।

দুই জেআইএইচ নেতা বলেছেন, ‘উদয়পুর হত্যাকাণ্ড এবং দেশের বিভিন্ন অংশে একাধিক মব লিঞ্চিং ঘটনা – সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের রতলামে একটি ভুল পরিচয়ের ভিত্তিতে একজন বয়স্ক হিন্দুকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় রাজনীতিবিদ এবং ঘৃণা ছড়ানোর সঙ্গে জড়িত মিডিয়া এর জন্য দায়ী।

সাদাতুল্লাহ  হুসাইনি সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণকে স্বাগত জানিয়েছেন।তিনি বলেন, ধর্মনিন্দামূলক বক্তব্যের জন্য অভিযুক্ত রাজনীতিবিদরা দেশের এই গুরুতর পরিস্থিতির জন্য এককভাবে দায়ী এবং টিভি বিতর্কের নামে এই ধরনের ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচারকারী মিডিয়াও সমানভাবে দায়ী। তিনি বলেন যে এটি দুর্ভাগ্যজনক যে এমন বিপর্যয় সৃষ্টি করার পরেও অভিযুক্ত মুখপাত্র এবং টিভি অ্যাঙ্কররা এখনও স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।জনাব হুসাইনি বিভিন্ন ধর্মের ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের অবমাননাকারীদের শাস্তির জন্য একটি ব্লাসফেমি আইন প্রণয়নের দাবি জানান।

দুই জেআইএইচ নেতা দেশের সকল শান্তি ও ন্যায়প্রিয় নাগরিকদের কাছে হাত মিলিয়ে ঘৃণা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াই করার আহ্বান জানান।

অধ্যাপক সেলিম বলেন, এটি অত্যন্ত হতাশাজনক যে একটি টিভি চ্যানেলে তার বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্যের এক মাস পরেও নূপুরকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এই ঘটনায় বিদেশে ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে সত্ত্বেও ক্ষমা না চাওয়ায়, নূপুর শর্মার গ্রেফতারের দাবি জামায়াত-ই-ইসলামি হিন্দের

আপডেট : ৪ জুলাই ২০২২, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: প্রাক্তন বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।সর্বোচ্চ আদালত বলেছিল, নূপুরের উচিত টেলিভিশনে বসে গোটা দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া।

নবী মুহম্মদ সা.কে নিয়ে তাঁর কুরুচিকর মন্তব্যের দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছিল। তার জেরে বিভিন্ন রাজ্যের একাধিক থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে নূপুরের নামে। এই সমস্ত এফআইআর দিল্লিতে ‘ট্রান্সফার’ করতে আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। এই আবেদন খারিজ তো হয়েছেই, নূপুরকে ভর্ৎসনা করে সুপ্রিম কোর্ট বলে, দেশের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়েছিল তাঁর জন্যই। কোনওরকম সুরাহা পেতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

আরও পড়ুন: I love Muhammad’ ব্যানারকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা অসাংবিধানিক: জামায়াতে ইসলামি হিন্দ

কিন্তু তিনি জাতির কাছে ক্ষমা চাননি। জামায়াতে ইসলামি হিন্দ এজন্যে নূপুর শর্মাকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে।

আরও পড়ুন: পাঞ্জাবে বন্যা দুর্গতদের পাশে জামাআতে ইসলামী হিন্দ 

নয়াদিল্লিতে জেআইএইচ সদর দফতরে জামায়াত-ই-ইসলামি হিন্দের সভাপতি সৈয়দ সাদাতুল্লাহ হুসাইনি এবং এর ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ সেলিম যৌথভাবে এক সংবাদিক সম্মেলনে এই দাবি জানান।

আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের ২৫ শতাংশ ডিএ দিতে বলল সুপ্রিম কোর্ট, চাপ বাড়ল রাজ্যের

এক সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মিঃ হুসাইনি বলেন, শাস্তির পরিবর্তে ক্ষমা চাওয়া হলে দেশে আদালত ও কারাগারের প্রয়োজন নেই।

জামায়াত নেতা সেই সমস্ত রাজনীতিবিদ, টিভি চ্যানেল এবং মিডিয়া হাউসগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছে যারা দেশে ঘৃণা ছড়াচ্ছে।

দুই জেআইএইচ নেতা বলেছেন, ‘উদয়পুর হত্যাকাণ্ড এবং দেশের বিভিন্ন অংশে একাধিক মব লিঞ্চিং ঘটনা – সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের রতলামে একটি ভুল পরিচয়ের ভিত্তিতে একজন বয়স্ক হিন্দুকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় রাজনীতিবিদ এবং ঘৃণা ছড়ানোর সঙ্গে জড়িত মিডিয়া এর জন্য দায়ী।

সাদাতুল্লাহ  হুসাইনি সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণকে স্বাগত জানিয়েছেন।তিনি বলেন, ধর্মনিন্দামূলক বক্তব্যের জন্য অভিযুক্ত রাজনীতিবিদরা দেশের এই গুরুতর পরিস্থিতির জন্য এককভাবে দায়ী এবং টিভি বিতর্কের নামে এই ধরনের ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচারকারী মিডিয়াও সমানভাবে দায়ী। তিনি বলেন যে এটি দুর্ভাগ্যজনক যে এমন বিপর্যয় সৃষ্টি করার পরেও অভিযুক্ত মুখপাত্র এবং টিভি অ্যাঙ্কররা এখনও স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।জনাব হুসাইনি বিভিন্ন ধর্মের ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের অবমাননাকারীদের শাস্তির জন্য একটি ব্লাসফেমি আইন প্রণয়নের দাবি জানান।

দুই জেআইএইচ নেতা দেশের সকল শান্তি ও ন্যায়প্রিয় নাগরিকদের কাছে হাত মিলিয়ে ঘৃণা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াই করার আহ্বান জানান।

অধ্যাপক সেলিম বলেন, এটি অত্যন্ত হতাশাজনক যে একটি টিভি চ্যানেলে তার বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্যের এক মাস পরেও নূপুরকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এই ঘটনায় বিদেশে ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।