আন্দোলন নয়, যোগ্যতার ভিত্তিতেই চাকরি দেওয়া হবে: ব্রাত্য

- আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২২, সোমবার
- / 16
পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: আন্দোলন করা মানেই চাকরি পাওয়া নয়, যোগ্যতার ভিত্তিতেই চাকরি দেওয়া হবে। সোমবার আরও একবার জানিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এ দিন তিনি বলেন, ‘আন্দোলন করলেই সবাইকে চাকরি দিতে হবে, এটা হতে পারে না।
শিক্ষামন্ত্রীর প্রশ্ন, আন্দোলনের সঙ্গে চাকরির কি কোনও সম্পর্ক আছে? চাকরি হবে যোগ্যতা, মেধার ভিত্তিতে।’ চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন নিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, ‘নেট পাশ করে কি সকলে চাকরি পান? জয়েন্ট পাশ করে সবাই ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সুযোগ পান?’
পাশাপাশি ব্রাত্য বসুর সংযোজন, ‘আন্দোলন বা মামলা দিয়ে নিয়োগ ব্যাহত হলে নেগেটিভিটির জন্ম হয়। সরকারের কাজ করা মুশকিল হয়। এই বিভ্রান্তি দূর করতেই আদালতে গেছি। অতীতের ভুল শোধরাতে হবে, একদিকে সংশোধন, অন্যদিকে নতুন নিয়োগ।’ সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর মন্তব্য, ‘অধিকাংশরা চাকরি পান বিরোধীরা চাইছেন না।’
এ দিকে প্রাথমিক থেকে নবম-দ্বাদশ, সব শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যে ভূরি-ভূরি দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে এসএসসি, প্রাইমারি টেটের একাধিক পদাধিকারী এই মুহূর্তে গ্রেফতার হয়েছে।
অন্যদিকে, গান্ধিমূর্তির পাদদেশ, মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির তলদেশ-সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় বিভিন্ন চাকরিপ্রার্থীরা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁদের ধরনা-অবস্থান। চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত তাঁদের অবস্থান চলবে বলেই জানিয়ে রেখেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। হাইকোর্টে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক মামলা চলছে।
প্রসঙ্গত, জুন মাসে, শহিদ মিনার চত্বর থেকে, এভাবেই এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান তুলে দিয়েছিল পুলিশ। সম্প্রতি সল্টলেকে, টেট উত্তীর্ণ নন ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীদেরও মাঝরাতে টেনে-হিঁচড়ে সরিয়ে দেয় পুলিশ। ক’দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য, নবান্ন যেতে চেয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন ২০০৯ সালের, দক্ষিণ ২৪ পরগনার, প্রাথমিক শিক্ষক চাকরিপ্রার্থীরা।
ইতিমধ্যে আইনি জটিলতা কাটিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশন ও প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। কয়েকমাসের মধ্যে স্কুলে চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছে এসএসসি এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আধিকারিকরা।