১৬ বছর অপেক্ষা নয়, স্বৈরাচার দেখলেই প্রতিরোধ করুন: ড. ইউনূস
‘July uprising anniversary’: স্বৈরাচার যেন আর মাথাচাড়া দিতে না পারে: প্রধান উপদেষ্টা

- আপডেট : ১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 37
July uprising anniversary: বাংলাদেশজুড়ে স্মরণ সভা
পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ‘July uprising anniversary’… জুলাই অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশজুড়ে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এদিনের মহত্বকে মানসপটে পুনরজ্জীবিত করে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এদিন কঠিন ভাষ্যে জানান, স্বৈরাচার পতনে যাতে আর ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয়, সেই প্রস্তুতি ও কাজ আমরা করছি। ভবিষ্যতে কেউ স্বৈরাচার হতে চাইলে জনগণ যেন সঙ্গে সঙ্গে তার পতন ঘটায়—সেই গণচেতনাই গড়ে তোলা হচ্ছে। কারণ, জনগণ যখন রাস্তায় নামে, তখন কোনো শক্তিই তাকে থামাতে পারে না।”
মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে মাসব্যাপী ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মরণ’ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানটি সকাল ১১টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
ড. ইউনূস বলেন, “আজ আমরা শুধু আবেগে ভেসে যাচ্ছি না। July uprising anniversary’ এই ঘটনা শুধু ইতিহাস নয়, এটি একটি দীর্ঘ প্রতীক্ষা ও ত্যাগের ফল। ১৬ বছর ধরে মানুষ ধৈর্য ধরেছে, নির্যাতন সহ্য করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা রাজপথে নেমে এসেছে, স্বৈরাচারবিরোধী অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে এবং প্রাথমিক টার্গেট পূরণ করেছে। তবে এর পেছনে ছিল আরও বড় স্বপ্ন—নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়া, নতুন বাংলাদেশ গড়া।”
তিনি বলেন, “আমরা চাই না আবার ১৬ বছর অপেক্ষা করতে হোক। তাই এই কর্মসূচি আমরা প্রতি বছর পালন করব। যাতে কোথাও কোনো স্বৈরাচারী চিহ্ন দেখা দিলেই তাৎক্ষণিকভাবে আমরা তা প্রতিরোধ করতে পারি। স্বৈরাচারের বইয়ের প্রথম পাতাটি খোলার আগেই যেন আমরা তাকে রুখে দিতে পারি।”
অনুষ্ঠানে তিনি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন সেই সব সাহসী তরুণ-তরুণী, নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ, কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক, রিকশাচালকদের—যারা রাস্তায় নেমে গণতন্ত্রের পতাকা উঁচিয়ে ধরেছিলেন এবং ত্যাগ ও সাহসের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আজ আমরা যে মাসব্যাপী কর্মসূচি শুরু করছি, তা শুধুই অতীত স্মরণ নয়। এটি একটি নতুন শপথ। গত বছরের জুলাই মাসে জনগণের যেভাবে ঐক্য তৈরি হয়েছিল, আমরা চাই এবার সেই ঐক্য আরও সুসংহত হোক। আমাদের লক্ষ্য—জনগণকে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা, রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার দাবি তোলা এবং যে রক্তের বিনিময়ে এই পরিবর্তনের সুযোগ এসেছে, তা যেন ব্যর্থ না হয়।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের সামনে পথ কঠিন, কিন্তু সম্ভাবনার দ্বারও উন্মুক্ত। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, জনগণ যখন জেগে ওঠে, তখন কোনো শক্তি তাকে দমন করতে পারে না। সেই বিশ্বাস নিয়েই আমি আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি—আসুন, এই জুলাই মাসকে আমরা পরিণত করি গণজাগরণের মাসে, ঐক্যের মাসে।”