কলকাতায় নামল আঁধার, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মুষলধারে বৃষ্টি, নদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুরে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি

- আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০২৫, শুক্রবার
- / 179
পুবের কলম প্রতিবেদক: ভরা অক্টোবর মাসে যেন ফিরে এল বর্ষার দাপট। শুক্রবার দুপুরে আচমকাই কালো হয়ে এল কলকাতার আকাশ। শহরের বিভিন্ন অংশে শুরু হয় মুশলধারে বৃষ্টি, সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-এর দাপট। শুধু কলকাতা নয়, তৎসংলগ্ন অঞ্চলগুলিতেও নামে তুমুল বৃষ্টি।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই সময় ব্যাপক বাজ পড়ে। তাই সাধারণ মানুষকে খুব সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আচমকা নামা এই বৃষ্টিতে কলকাতার বহু রাস্তায় জল জমতে শুরু করায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে এবং রাস্তাতেই আটকে পড়েন বহু নিত্যযাত্রী।
কলকাতার পার্ক সার্কাস, তপসিয়া সাইনসিটি, রাজাবাজার ,চিংড়িঘাটা, কলেজস্ট্রিট, যাদবপুর ,গড়িয়া প্রভৃতি এলাকায় বিপুল পানি জমে যায়।আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আপাতত কলকাতা, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের কিছু অংশে হালকা থেকে মাঝারি বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি জারি থাকবে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে নদিয়া এবং পূর্ব মেদিনীপুর সহ একাধিক জেলায় অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। চার নম্বর ব্রিজে রাস্তায় থমকে যায় গাড়ি। মা ব্রীজের উপরেও গাড়ি আটকে যায়। রেললাইনেও পানি ধরে যায়।
চলতি বছর নির্ধারিত সময়ে বর্ষা বিদায় নিচ্ছে না। আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল, বাংলা থেকে বর্ষা বিদায়ের স্বাভাবিক সময় ১০ থেকে ১৫ অক্টোবর হলেও, দক্ষিণ বাংলাদেশ ও লাগোয়া উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করায় বিদায় পর্ব শুরু হতে দেরি হবে। খুব তাড়াতাড়ি বিদায় না নিলেও, আগামী তিন দিন পর দক্ষিণবঙ্গ থেকে বর্ষা বিদায় প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।
শনিবার দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির দাপট কিছুটা কমলেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত জারি থাকবে। বিশেষভাবে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের আটটি জেলাতেও স্থানীয়ভাবে হালকা বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে, তবে তা স্বল্প সময়ের জন্য। রবিবার থেকে আবহাওয়ার পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে। ওইদিন থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির প্রকোপ কমবে। উত্তরেও ভারী বৃষ্টির কোনো খবর নেই; আংশিক মেঘলা আকাশ থাকলেও বজ্রবিদ্যুৎ-এর সতর্কতা থাকছে না।