১৩ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

আফিয়া‌‌ নৌশিন
  • আপডেট : ২২ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 293

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: আবারও নিম্নচাপের সম্ভাবনা বঙ্গোপসাগরের উপরে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। এরপর পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেখানেই তৈরি হতে পারে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল। এর প্রভাবে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প স্থলভাগে ঢুকবে, যার জেরে আগামী কয়েক দিন দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গে বাড়বে ঝড়বৃষ্টির পরিমাণ।

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ ক্রমশ বাড়বে। বিশেষত বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল। কলকাতা-সহ দক্ষিণের জেলাগুলিতে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার সম্ভাবনায় হলুদ সতর্কতা (Yellow Alert) সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: এখনই কোন পরিবর্তন হবে না আবহাওয়ার, চলবে দুর্যোগ

কমলা সতর্কতা (Orange Alert): বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনায় এই সতর্কতা জারি হয়েছে। এসব এলাকায় ৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে।

আরও পড়ুন: কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে এখনও দুর্যোগের আশঙ্কা

দক্ষিণের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তবে তুলনায় দক্ষিণবঙ্গের পরিস্থিতি বেশি জটিল হতে পারে।

আরও পড়ুন: সপ্তাহজুড়ে বৃষ্টি মুখর পরিবেশ দক্ষিণবঙ্গে

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ঘনীভূত হওয়ায় সমুদ্র উত্তাল থাকবে। সেই কারণে মৎস্যজীবীদের পরবর্তী কয়েক দিন সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার ও আবহাওয়া দফতর থেকে উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে কড়া নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঝড়বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার ফলে গাছ পড়া, জলজট বা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার মতো সমস্যাও হতে পারে। সে কারণে নাগরিকদের নিরাপদে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সরকারি আধিকারিকরাও নজর রাখছেন পরিস্থিতির উপর।

সার্বিকভাবে, সপ্তাহের মাঝামাঝি সময় থেকেই দক্ষিণবঙ্গে শুরু হচ্ছে মৌসুমি অশান্তি। নিম্নচাপ ও ঘূর্ণাবর্তের এই প্রভাব কতটা গভীর হবে, তা নির্ভর করবে পরবর্তী কয়েক ঘণ্টার পরিস্থিতির উপর। সর্বশেষ আপডেট পেতে নজর রাখুন আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা বার্তায়।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

আপডেট : ২২ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: আবারও নিম্নচাপের সম্ভাবনা বঙ্গোপসাগরের উপরে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। এরপর পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেখানেই তৈরি হতে পারে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল। এর প্রভাবে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প স্থলভাগে ঢুকবে, যার জেরে আগামী কয়েক দিন দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গে বাড়বে ঝড়বৃষ্টির পরিমাণ।

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ ক্রমশ বাড়বে। বিশেষত বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল। কলকাতা-সহ দক্ষিণের জেলাগুলিতে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার সম্ভাবনায় হলুদ সতর্কতা (Yellow Alert) সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: এখনই কোন পরিবর্তন হবে না আবহাওয়ার, চলবে দুর্যোগ

কমলা সতর্কতা (Orange Alert): বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনায় এই সতর্কতা জারি হয়েছে। এসব এলাকায় ৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে।

আরও পড়ুন: কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে এখনও দুর্যোগের আশঙ্কা

দক্ষিণের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তবে তুলনায় দক্ষিণবঙ্গের পরিস্থিতি বেশি জটিল হতে পারে।

আরও পড়ুন: সপ্তাহজুড়ে বৃষ্টি মুখর পরিবেশ দক্ষিণবঙ্গে

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ঘনীভূত হওয়ায় সমুদ্র উত্তাল থাকবে। সেই কারণে মৎস্যজীবীদের পরবর্তী কয়েক দিন সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার ও আবহাওয়া দফতর থেকে উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে কড়া নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঝড়বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার ফলে গাছ পড়া, জলজট বা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার মতো সমস্যাও হতে পারে। সে কারণে নাগরিকদের নিরাপদে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সরকারি আধিকারিকরাও নজর রাখছেন পরিস্থিতির উপর।

সার্বিকভাবে, সপ্তাহের মাঝামাঝি সময় থেকেই দক্ষিণবঙ্গে শুরু হচ্ছে মৌসুমি অশান্তি। নিম্নচাপ ও ঘূর্ণাবর্তের এই প্রভাব কতটা গভীর হবে, তা নির্ভর করবে পরবর্তী কয়েক ঘণ্টার পরিস্থিতির উপর। সর্বশেষ আপডেট পেতে নজর রাখুন আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা বার্তায়।