লাইফ এক মাদারি কা খেল বাবুয়া…………..

- আপডেট : ১১ জুন ২০২৫, বুধবার
- / 169
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ছয়-সাত দশকের কলকাতা। কলকাতা তখনও ঘিঞ্জি হয়ে ওঠেনি। বাংলা বায়োস্কোপে কলকাতা তখন ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট। কলকাতার ভিতরে আছে আরেকটি কলকাতা। হেঁটে দেখতে শেখো। কলকাতার অলিতে-গলিতে ঘুরলে তখন মাদারিদের দেখা মিলত। মাদারি বলতে যাদের সহজ কথায় আমরা বেদে-বেদিনী বুঝি। তাদের সম্বল ছিল একটি থলি বা খেলা দেখানোর সরঞ্জাম। এই যাযাবররা রাস্তা-ঘাটে খেলা দেখিয়ে বেড়াত।

রঙ-বেরঙের তাপ্পি মারা কাপড়ের থলে থেকে বেড়াত খেলা দেখার নানান সরঞ্জাম। বর্তমানে শুধু কলকাতার অলি-গলি ছাড়িয়ে লোকাল ট্রেনেও তাদের দেখা মেলে। খেলা দেখিয়ে মানুষের মনোরঞ্জন করে নিজেদের জীবনে রঙ ভরানোর চেষ্টা করে তারা।

মাদারির জীবন নিয়ে টলিউড-বলিউডে অনেক ছবি তৈরি হয়েছে। মহানায়ক উত্তমকুমারের শেষ ছবি ‘ওগো বধু সুন্দরী’-তে মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় মাদারির খেল দেখিয়ে জীবিকা উপার্জন করতেন। ‘সীতা অউর গীতা’ ছবিতে হেমা মালিনীকে দ্বৈত ভূমিকায় দেখা যায়।

মাদারি খেলা নিয়ে যতই ছোটোবেলার নস্টালজিয়া কাজ করুক, খেলাটি কিন্তু খুব সহজ নয় । যে কোনও মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। খুদেরা পেটের তাগিদে মাদারি খেলা দেখাতে বাধ্য হয়। সরকারের তরফে কি মাদারি খেলার সঙ্গে যুক্ত শিশুদের পুনর্বাসন বা আর্থিক সাহায্যের ব্যবস্থা করা যায় না!
পুবের কলমের চিত্রগ্রাহক সন্দীপ সাহার ক্যামেরায় দুই মাদারি খেল দেখানো খুদের ছবি ধরা পড়েছে। খেলা দেখিয়ে পেট চালানোর পাশাপাশি তারা স্কুলেও পড়াশোনা করে। রানি রিষরা এবং অঙ্কিত। রানি প্রথম এবং অঙ্কিত ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। রুটি-রুজির তাগিদে এদের শৈশব হারিয়ে যেতে বসেছে।