মণিপুর গণধর্ষণ,বিবস্ত্র কাণ্ডে বাদল অধিবেশনের শুরুর দিনেই উত্তাল সংসদ, মুলতুবি কয়েক দফায়
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: অধিবেশন শুরুর আগেই মণিপুর ইস্যুতে উত্তাল সংসদ। সাময়িক সময়ের জন্য মুলতুবি হয়ে যায় উভয় কক্ষ। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে প্রয়াত সদস্যদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন জানিয়েই লোকসভা এবং রাজ্যসভা স্থগিত হয়ে যায়। পুনরায় রাজ্যসভার অধিবেশন শুরু হতেই মণিপুর ইস্যু নিয়ে আলোচনার দাবি করেন বিরোধীরা। স্বল্প সময়ের জন্য আলোচনার অনুমতি দিলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফলে দুপুর ২ টো পর্যন্ত স্থগিত হয়ে যায় সংসদের উচ্চকক্ষ। তারপর ফের সভা শুরু হলে বিরোধীরা তুমুল হট্টগোল শুরু করেন। ফলে এদিনের মতো সভা ভণ্ডুল হয়ে যায়।
এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি জানান, মণিপুরের বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। তবে হইচইের কিছু নেই, সংসদের উভয় কক্ষই এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই বিষয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এদিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও জানান, মণিপুর নিয়ে আমরা আলোচনা করব। সঠিক সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে বিস্তারিত জানানো হবে। কিন্তু, বিরোধীদের দাবি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জবাব দিতে হবে। সংক্ষিপ্ত নয়, পূর্ণাঙ্গ আলোচনার সুযোগ দিতে হবে।আর তা নিয়েই হইচই বাধে রাজ্যসভা ও লোকসভায়।
মণিপুর কাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতিক্রিয়া দাবি করেন তৃণমূল কংগ্রেস এমপি ডেরেক ও’ব্রায়েন। এদিন তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের জেরে দীর্ঘ আড়াই মাস ধরে জ্বলছে পার্বত্যরাজ্য। এক দিকে দেশের একটি রাজ্য যখন হিংসার আগুনে পুড়ছিল, অন্যদিকে নীরবতার ভূমিকা পালন করছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মণিপুরের ন্যক্কারজনক ঘটনার পর টনক নড়েছে নরেন্দ্র মোদির। কেন এত দিন নিষ্ক্রিয় ছিল প্রধানমন্ত্রী, তার জবাব চাই।