০২ জুন ২০২৫, সোমবার, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঋণে জর্জরিত হবে বহু দেশ, আশঙ্কা বিশ্বব্যাঙ্কের    

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৮ অগাস্ট ২০২২, সোমবার
  • / 28

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ করোনা ও যুদ্ধের জোর ধাক্কায় টলছে বিশ্ব অর্থনীতি। চলমান এ সংকটে বিশ্বের  উন্নয়নশীল দেশগুলোতে নজিরবিহীন পরিস্থিতির ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। ভয়াবহ এ  সংকটে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়েছে শ্রীলঙ্কা।

 

আরও পড়ুন: Pahalgam Terror Attack: জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমাল বিশ্ব ব্যাঙ্ক

তবে  এ তালিকায় দ্বিতীয় দেশ হিসেবে উঠে আসতে পারে পাকিস্তান। বিশ্বব্যাঙ্ক বলছে,  পাকিস্তানে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য ৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন  যুদ্ধের কারণে খাদ্য ও ঋণ সংকটে ভুগছে দরিদ্র দেশগুলো। গত ৪০ বছরের মধ্যে  সবচেয়ে ভয়াবহ খাদ্য ঘাটতির মুখোমুখি আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ। এছাড়া  পাকিস্তানসহ নিম্ন আয়ের অনেক দেশে মুদ্রাস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘর ছুঁয়েছে। মধ্যম  আয়ের সব দেশেই বেড়েছে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি।

আরও পড়ুন: মোদির ‘বিশ্বগুরু’র দাবি নাকচ করল ফোর্বসের রিপোর্ট

 

আরও পড়ুন: নয় বছরে মোদি সরকারের উপর ঋণ বেড়েছে ৯৭ লক্ষ কোটি

বিশ্বব্যাঙ্কের প্রকাশিত খাদ্য নিরাপত্তা  সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে নজিরবিহীন পরিস্থিতির ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। পাকিস্তানে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বেড়েছে ৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত। দুবছর আগে বেইরুটে খাদ্যশস্যের গুদামে ভয়াবহ বিস্ফোরণে দেশটির ৬৮ লক্ষ মানুষের চাহিদা পূরণের জন্য মজুত রাখা ভুট্টা এবং গম ধ্বংস হয়ে যায়। বিশ্বব্যাঙ্ক বলছে, বিস্ফোরণের পর থেকেই সবচেয়ে ভয়াবহ খাদ্য সংকটে রয়েছে লেবানন।

 

জিম্বাবুয়েতে ২৫৫ শতাংশ এবং ভেনেজুয়েলায় ১৫৫ শতাংশে পৌঁছানোর আগেই লেবাননে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি গত জুনে ৩৩২ শতাংশ ছুঁয়েছে। খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হারের শীর্ষ তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে তুরস্ক। দেশটিতে বর্তমানে খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার ৯৪ শতাংশে পৌঁছেছে। উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে উন্নত দেশগুলোও। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোও প্রায় ৭৮ দশমিক ৬ শতাংশ খাদ্যে মূল্যস্ফীতির সম্মুখীন হয়েছে।

 

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা, লাতিন আমেরিকা, দক্ষিণ এশিয়া, ইউরোপ এবং মধ্য এশিয়ার কিছু দেশ। অনেক দেশ আর্থিক এ প্রভাব মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হবে এবং পুরোপুরি ঋণ সংকটে ডুবতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্বব্যাঙ্ক।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ঋণে জর্জরিত হবে বহু দেশ, আশঙ্কা বিশ্বব্যাঙ্কের    

আপডেট : ৮ অগাস্ট ২০২২, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ করোনা ও যুদ্ধের জোর ধাক্কায় টলছে বিশ্ব অর্থনীতি। চলমান এ সংকটে বিশ্বের  উন্নয়নশীল দেশগুলোতে নজিরবিহীন পরিস্থিতির ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। ভয়াবহ এ  সংকটে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়েছে শ্রীলঙ্কা।

 

আরও পড়ুন: Pahalgam Terror Attack: জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমাল বিশ্ব ব্যাঙ্ক

তবে  এ তালিকায় দ্বিতীয় দেশ হিসেবে উঠে আসতে পারে পাকিস্তান। বিশ্বব্যাঙ্ক বলছে,  পাকিস্তানে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য ৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন  যুদ্ধের কারণে খাদ্য ও ঋণ সংকটে ভুগছে দরিদ্র দেশগুলো। গত ৪০ বছরের মধ্যে  সবচেয়ে ভয়াবহ খাদ্য ঘাটতির মুখোমুখি আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ। এছাড়া  পাকিস্তানসহ নিম্ন আয়ের অনেক দেশে মুদ্রাস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘর ছুঁয়েছে। মধ্যম  আয়ের সব দেশেই বেড়েছে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি।

আরও পড়ুন: মোদির ‘বিশ্বগুরু’র দাবি নাকচ করল ফোর্বসের রিপোর্ট

 

আরও পড়ুন: নয় বছরে মোদি সরকারের উপর ঋণ বেড়েছে ৯৭ লক্ষ কোটি

বিশ্বব্যাঙ্কের প্রকাশিত খাদ্য নিরাপত্তা  সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে নজিরবিহীন পরিস্থিতির ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। পাকিস্তানে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বেড়েছে ৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত। দুবছর আগে বেইরুটে খাদ্যশস্যের গুদামে ভয়াবহ বিস্ফোরণে দেশটির ৬৮ লক্ষ মানুষের চাহিদা পূরণের জন্য মজুত রাখা ভুট্টা এবং গম ধ্বংস হয়ে যায়। বিশ্বব্যাঙ্ক বলছে, বিস্ফোরণের পর থেকেই সবচেয়ে ভয়াবহ খাদ্য সংকটে রয়েছে লেবানন।

 

জিম্বাবুয়েতে ২৫৫ শতাংশ এবং ভেনেজুয়েলায় ১৫৫ শতাংশে পৌঁছানোর আগেই লেবাননে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি গত জুনে ৩৩২ শতাংশ ছুঁয়েছে। খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হারের শীর্ষ তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে তুরস্ক। দেশটিতে বর্তমানে খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার ৯৪ শতাংশে পৌঁছেছে। উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে উন্নত দেশগুলোও। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোও প্রায় ৭৮ দশমিক ৬ শতাংশ খাদ্যে মূল্যস্ফীতির সম্মুখীন হয়েছে।

 

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা, লাতিন আমেরিকা, দক্ষিণ এশিয়া, ইউরোপ এবং মধ্য এশিয়ার কিছু দেশ। অনেক দেশ আর্থিক এ প্রভাব মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হবে এবং পুরোপুরি ঋণ সংকটে ডুবতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্বব্যাঙ্ক।