২৫ জুন ২০২৫, বুধবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্রাম্পের আমন্ত্রণে আমেরিকা যাচ্ছেন মোদি

আবুল খায়ের
  • আপডেট : ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, শনিবার
  • / 335

নয়াদিল্লি: আমেরিকা থেকে ভারতীয়দের হাতে পায়ে শিকল পরিয়ে সেনা বিমানে ফেরত পাঠানো নিয়ে ভারতে জোর নিন্দা প্রতিক্রিয়ার মধ্যেই বিদেশমন্ত্রক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমেরিকা সফরের ‘শুভ সংবাদ’ দিয়ে দিল। ফেব্রুয়ারি মাসের ১২ এবং ১৩ তারিখ প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি শুক্রবার এই ঘোষণা করলেন। বলা হয়েছে, দ্বিতীয়বার মসনদে বসার পর পরই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু ইতিমধ্যেই ১০৪ জন ভারতীয়র সঙ্গে অমানবিক আচরণ করে ফেরত পাঠায় মার্কিন প্রশাসন। মিস্রি জানান, প্রধানমন্ত্রীর এই আমেরিকা সফর দু’দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারিত্ব আরও মজবুত হবে। চিনকে কাউন্টার করার জন্য আমেরিকা ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যে অংশীদারিত্ব সম্পর্ক বাড়িয়ে চলেছে। সেই সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী দু’টি দেশই। কিন্তু তার মধ্যেই অবৈধ অভিবাসী নিয়ে তিক্ততা শুরু হয়ে যায়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে সংসদেও তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে মোদিকে। বিদেশমন্ত্রক আপাতত ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামলেও প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে মুখ খুলছেন না। অথচ ট্রাম্পের পরম মিত্র হিসেবে উল্লেখ করে সমালোচনা করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। তাই মনে করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর এই আমেরিকা সফর শুরু হচ্ছে ঘরে-বাইরে বিড়ম্বনার মধ্য দিয়েই।

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইসরাইল

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ট্রাম্পের আমন্ত্রণে আমেরিকা যাচ্ছেন মোদি

আপডেট : ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, শনিবার

নয়াদিল্লি: আমেরিকা থেকে ভারতীয়দের হাতে পায়ে শিকল পরিয়ে সেনা বিমানে ফেরত পাঠানো নিয়ে ভারতে জোর নিন্দা প্রতিক্রিয়ার মধ্যেই বিদেশমন্ত্রক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমেরিকা সফরের ‘শুভ সংবাদ’ দিয়ে দিল। ফেব্রুয়ারি মাসের ১২ এবং ১৩ তারিখ প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি শুক্রবার এই ঘোষণা করলেন। বলা হয়েছে, দ্বিতীয়বার মসনদে বসার পর পরই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু ইতিমধ্যেই ১০৪ জন ভারতীয়র সঙ্গে অমানবিক আচরণ করে ফেরত পাঠায় মার্কিন প্রশাসন। মিস্রি জানান, প্রধানমন্ত্রীর এই আমেরিকা সফর দু’দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারিত্ব আরও মজবুত হবে। চিনকে কাউন্টার করার জন্য আমেরিকা ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যে অংশীদারিত্ব সম্পর্ক বাড়িয়ে চলেছে। সেই সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী দু’টি দেশই। কিন্তু তার মধ্যেই অবৈধ অভিবাসী নিয়ে তিক্ততা শুরু হয়ে যায়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে সংসদেও তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে মোদিকে। বিদেশমন্ত্রক আপাতত ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামলেও প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে মুখ খুলছেন না। অথচ ট্রাম্পের পরম মিত্র হিসেবে উল্লেখ করে সমালোচনা করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। তাই মনে করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর এই আমেরিকা সফর শুরু হচ্ছে ঘরে-বাইরে বিড়ম্বনার মধ্য দিয়েই।

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইসরাইল