২৩ জুন ২০২৫, সোমবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রুশ জ্বালানি নিষিদ্ধ ঘোষণা আমেরিকার পাল্টা নিষেধাজ্ঞা মস্কোর

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৯ মার্চ ২০২২, বুধবার
  • / 56

আমরা রাশিয়া থেকে সব ধরনের তেল ও গ্যাস আমদানি নিষিদ্ধ করছি। এর অর্থ, মার্কিন বন্দর ও মার্কিনিদের কাছে রুশ তেল আর গ্রহণযোগ্য নয়। -বাইডেন

 

আরও পড়ুন: রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের হুঁশিয়ারি: ‘ইরানকে পরমাণু অস্ত্র পাঠাতে প্রস্তুত একাধিক দেশ’

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : বিশ্ব অর্থনীতির আকাশে ফের একটা কালো মেঘের ঘনঘটা। ইউক্রেনে হামলার জেরে রাশিয়া থেকে তেল, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ও কয়লা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ১৩০ দশমিক ১৩ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।

আরও পড়ুন: ইরানের খামেনিকে হত্যার সম্ভাব্য প্রচেষ্টা সম্পর্কে প্রশ্ন প্রত্যাখ্যান করলেন পুতিন

 

আরও পড়ুন: ইরানের পাশে দাঁড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, ‍‌‌‌‌‌‌’আমরা রাশিয়া থেকে তেল-গ্যাসসহ সব ধরনের জ্বালানি পণ্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছি। এর অর্থ আমেরিকার বন্দরগুলো আর রাশিয়ার তেল ঢুকতে দেবে না।’ আমেরিকা তার মিত্র এবং অংশীদারদের সাথে এবং উভয় দলের কংগ্রেস সদস্যদের সাথে ঘনিষ্ঠ আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান বাইডেন। তাঁর মতে, আমেরিকা শক্তিশালী অবকাঠামোর দেশ বলেই এই সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে। রুশ জ্বালানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‍‌‌‌‌‌‌’এই আমদানি বন্ধের ফলে রাশিয়াকে চরম মূল্য দিতে হবে।

 

’ এ সময় মার্কিন গ্যাস কোম্পানিগুলোকে সতর্ক করে বাইডেন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে যদি কেউ অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধি করে তবে তাকে এর জন্য শাস্তি পেতে হবে। এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, রাশিয়ার ওপর তাদের তেল ও জ্বালানি পণ্যের নির্ভরতা কমাতে আমেরিকাসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে ব্রিটেন। এক্ষেত্রে এ বছরের শেষ নাগাদ পর্যায়ক্রমে রাশিয়া থেকে তেল এবং জ্বালানি পণ্য আমদানি বন্ধ করবে ব্রিটেন। সূত্রের খবর, আমেরিকার এই নিষেধাজ্ঞার পর রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনও রাশিয়ায় বেশ কিছু পশ্চিমা পণ্য আমদানি ও রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। বুধবার রাশিয়ার তেল-গ্যাসের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন পুতিন।

 

তবে পুতিন ঠিক কোন ধরনের পণ্য ও কাঁচামাল আমদানি ও রফতানি সীমাবদ্ধ বা নিষিদ্ধ করার আদেশ জারি করেছেন তা স্পষ্ট নয়। এর আগে, রুশ উপপ্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ইউরোপের পক্ষে রাশিয়ার তেলের বিকল্প দ্রুত খুঁজে বের করা অনেক কঠিন একটি কাজ হবে। এটা করতে অনেক সময় দরকার এবং ইউরোপের ভোক্তাদের জন্য এটা অনেক বেশি ব্যয়বহুল হবে। আর শেষ পর্যন্ত, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে তারাই। কারণ রাশিয়ার তেল প্রত্যাখ্যান বিশ্ববাজারের জন্য মারাত্মক পরিণতি বয়ে আনতে পারে।

উল্লেখ্য, রাশিয়া বিশ্বের শীর্ষ প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনকারী দেশ, অপরিশোধিত তেল উৎপাদনে তাদের অবস্থান দ্বিতীয়। রাশিয়ার মোট তেল রফতানির ৬০ শতাংশই যায় ইউরোপে। বাকি ৩৫ শতাংশ যায় এশিয়ায়।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রুশ জ্বালানি নিষিদ্ধ ঘোষণা আমেরিকার পাল্টা নিষেধাজ্ঞা মস্কোর

আপডেট : ৯ মার্চ ২০২২, বুধবার

আমরা রাশিয়া থেকে সব ধরনের তেল ও গ্যাস আমদানি নিষিদ্ধ করছি। এর অর্থ, মার্কিন বন্দর ও মার্কিনিদের কাছে রুশ তেল আর গ্রহণযোগ্য নয়। -বাইডেন

 

আরও পড়ুন: রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের হুঁশিয়ারি: ‘ইরানকে পরমাণু অস্ত্র পাঠাতে প্রস্তুত একাধিক দেশ’

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : বিশ্ব অর্থনীতির আকাশে ফের একটা কালো মেঘের ঘনঘটা। ইউক্রেনে হামলার জেরে রাশিয়া থেকে তেল, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ও কয়লা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ১৩০ দশমিক ১৩ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।

আরও পড়ুন: ইরানের খামেনিকে হত্যার সম্ভাব্য প্রচেষ্টা সম্পর্কে প্রশ্ন প্রত্যাখ্যান করলেন পুতিন

 

আরও পড়ুন: ইরানের পাশে দাঁড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, ‍‌‌‌‌‌‌’আমরা রাশিয়া থেকে তেল-গ্যাসসহ সব ধরনের জ্বালানি পণ্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছি। এর অর্থ আমেরিকার বন্দরগুলো আর রাশিয়ার তেল ঢুকতে দেবে না।’ আমেরিকা তার মিত্র এবং অংশীদারদের সাথে এবং উভয় দলের কংগ্রেস সদস্যদের সাথে ঘনিষ্ঠ আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান বাইডেন। তাঁর মতে, আমেরিকা শক্তিশালী অবকাঠামোর দেশ বলেই এই সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে। রুশ জ্বালানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‍‌‌‌‌‌‌’এই আমদানি বন্ধের ফলে রাশিয়াকে চরম মূল্য দিতে হবে।

 

’ এ সময় মার্কিন গ্যাস কোম্পানিগুলোকে সতর্ক করে বাইডেন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে যদি কেউ অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধি করে তবে তাকে এর জন্য শাস্তি পেতে হবে। এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, রাশিয়ার ওপর তাদের তেল ও জ্বালানি পণ্যের নির্ভরতা কমাতে আমেরিকাসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে ব্রিটেন। এক্ষেত্রে এ বছরের শেষ নাগাদ পর্যায়ক্রমে রাশিয়া থেকে তেল এবং জ্বালানি পণ্য আমদানি বন্ধ করবে ব্রিটেন। সূত্রের খবর, আমেরিকার এই নিষেধাজ্ঞার পর রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনও রাশিয়ায় বেশ কিছু পশ্চিমা পণ্য আমদানি ও রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। বুধবার রাশিয়ার তেল-গ্যাসের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন পুতিন।

 

তবে পুতিন ঠিক কোন ধরনের পণ্য ও কাঁচামাল আমদানি ও রফতানি সীমাবদ্ধ বা নিষিদ্ধ করার আদেশ জারি করেছেন তা স্পষ্ট নয়। এর আগে, রুশ উপপ্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ইউরোপের পক্ষে রাশিয়ার তেলের বিকল্প দ্রুত খুঁজে বের করা অনেক কঠিন একটি কাজ হবে। এটা করতে অনেক সময় দরকার এবং ইউরোপের ভোক্তাদের জন্য এটা অনেক বেশি ব্যয়বহুল হবে। আর শেষ পর্যন্ত, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে তারাই। কারণ রাশিয়ার তেল প্রত্যাখ্যান বিশ্ববাজারের জন্য মারাত্মক পরিণতি বয়ে আনতে পারে।

উল্লেখ্য, রাশিয়া বিশ্বের শীর্ষ প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনকারী দেশ, অপরিশোধিত তেল উৎপাদনে তাদের অবস্থান দ্বিতীয়। রাশিয়ার মোট তেল রফতানির ৬০ শতাংশই যায় ইউরোপে। বাকি ৩৫ শতাংশ যায় এশিয়ায়।