২৩ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিল্প সম্মেলন নিয়ে রাজ্যপালের আক্রমণাত্মক টুইট, ক্ষুব্ধ নবান্ন

মাসুদ আলি
  • আপডেট : ৯ নভেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার
  • / 37

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : বিজয়া সম্মেলনীর আসরে রাজ্যপালকে সাদরে পাশে বসিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘শিল্প সম্মেলনে দেশ-বিদেশের শিল্পপতি ও বিনিয়োগকারীদের রাজ্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাঁরা আসেন। আমি চাই, রাজ্যপাল হিসেবে আপনিও রাজ্যের এই উদ্যোগে সক্রিয় ভূমিকা নিন। আপনি বিদেশে যান। বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলুন। আমিও একই উদ্দেশ্যে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করব।’’

মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যেই সেই মধুর সমীকরণ শেষ। ফের শুরু হল নবান্ন-রাজভবন টানাপড়েন। সোমবার বিজয়া সম্মেলনীতে সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। অভ্যাগতদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময়ের মধ্যেই মুখ্যসচিবকে একান্তে ডেকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আগামী বছর বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের (বিজিবিএস) দিনক্ষণ স্থির করে নেন। তার পরেই তিনি রাজ্যপালকে বলেছিলেন শিল্প আনতে সাহায্য করার কথা ।

আরও পড়ুন: ধনকড়ের ইস্তফা মঞ্জুর

প্রত্যুত্তরে রাজ্যপালও মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘‘সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যের সার্বিক উন্নতির জন্য যেখানে যা করার, তা আমি করব। পশ্চিমবঙ্গ অগ্রগতির পথে চলেছে। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যম যথেষ্ট প্রশংসনীয়।’’

আরও পড়ুন: অসমে বিজেপির বিভেদমূলক অ্যাজেন্ডা সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করেছে,অসমবাসী রুখে দাঁড়ান: মমতা

মঙ্গলবার দুপুরে টুইট করেন রাজ্যপাল। টুইটে মুখ্যমন্ত্রীর পাঁচ বছরের শিল্প সম্মেলনের উদ্যোগকেই প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন তিনি। জোড়া টুইটে যেমন রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীর শিল্পোদ্যোগের সমালোচনা করেছেন।

আরও পড়ুন: ভিনরাজ্যে বাঙালিদের হেনস্তার প্রতিবাদে আজ পথে নামছেন মমতা-অভিষেক

প্রথম টুইটে তিনি লেখেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজিবিএস নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করার আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে সব ক্ষেত্রেই তথ্য ও স্বচ্ছতা বজায় রেখে জবাবদিহি করা যায়। এই আমাদের বাধ্যবাধতা, তাই সত্য ও পবিত্রতা যেন আমরা বজায় রাখি, কেবলমাত্র বিজ্ঞাপন ও বিবৃতি দিয়েই নিজের কাজ জাহির না করি।’

দ্বিতীয় টুইটে তিনি আরও লেখেন, ‘ এক বছর আগেই বিজিবিএস-এর পাঁচটি সম্মেলনের তথ্য চেয়েও পাওয়া যায়নি। জমিতে আসলে কেমন ফসল হয়েছে, তাতেই জমির পরিচয়। আইনের শাসন, মানবাধিকার এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাই বিনিয়োগের জন্য অপরিহার্য। এই বিষয়গুলির জন্য অনেক কিছু করা দরকার।’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শিল্প সম্মেলন নিয়ে রাজ্যপালের আক্রমণাত্মক টুইট, ক্ষুব্ধ নবান্ন

আপডেট : ৯ নভেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : বিজয়া সম্মেলনীর আসরে রাজ্যপালকে সাদরে পাশে বসিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘শিল্প সম্মেলনে দেশ-বিদেশের শিল্পপতি ও বিনিয়োগকারীদের রাজ্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাঁরা আসেন। আমি চাই, রাজ্যপাল হিসেবে আপনিও রাজ্যের এই উদ্যোগে সক্রিয় ভূমিকা নিন। আপনি বিদেশে যান। বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলুন। আমিও একই উদ্দেশ্যে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করব।’’

মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যেই সেই মধুর সমীকরণ শেষ। ফের শুরু হল নবান্ন-রাজভবন টানাপড়েন। সোমবার বিজয়া সম্মেলনীতে সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। অভ্যাগতদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময়ের মধ্যেই মুখ্যসচিবকে একান্তে ডেকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আগামী বছর বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের (বিজিবিএস) দিনক্ষণ স্থির করে নেন। তার পরেই তিনি রাজ্যপালকে বলেছিলেন শিল্প আনতে সাহায্য করার কথা ।

আরও পড়ুন: ধনকড়ের ইস্তফা মঞ্জুর

প্রত্যুত্তরে রাজ্যপালও মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘‘সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যের সার্বিক উন্নতির জন্য যেখানে যা করার, তা আমি করব। পশ্চিমবঙ্গ অগ্রগতির পথে চলেছে। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যম যথেষ্ট প্রশংসনীয়।’’

আরও পড়ুন: অসমে বিজেপির বিভেদমূলক অ্যাজেন্ডা সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করেছে,অসমবাসী রুখে দাঁড়ান: মমতা

মঙ্গলবার দুপুরে টুইট করেন রাজ্যপাল। টুইটে মুখ্যমন্ত্রীর পাঁচ বছরের শিল্প সম্মেলনের উদ্যোগকেই প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন তিনি। জোড়া টুইটে যেমন রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীর শিল্পোদ্যোগের সমালোচনা করেছেন।

আরও পড়ুন: ভিনরাজ্যে বাঙালিদের হেনস্তার প্রতিবাদে আজ পথে নামছেন মমতা-অভিষেক

প্রথম টুইটে তিনি লেখেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজিবিএস নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করার আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে সব ক্ষেত্রেই তথ্য ও স্বচ্ছতা বজায় রেখে জবাবদিহি করা যায়। এই আমাদের বাধ্যবাধতা, তাই সত্য ও পবিত্রতা যেন আমরা বজায় রাখি, কেবলমাত্র বিজ্ঞাপন ও বিবৃতি দিয়েই নিজের কাজ জাহির না করি।’

দ্বিতীয় টুইটে তিনি আরও লেখেন, ‘ এক বছর আগেই বিজিবিএস-এর পাঁচটি সম্মেলনের তথ্য চেয়েও পাওয়া যায়নি। জমিতে আসলে কেমন ফসল হয়েছে, তাতেই জমির পরিচয়। আইনের শাসন, মানবাধিকার এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাই বিনিয়োগের জন্য অপরিহার্য। এই বিষয়গুলির জন্য অনেক কিছু করা দরকার।’