২১ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুর্ঘটনা এড়াতে সতর্ক নবান্ন, ২৮ অক্টোবরের মধ্যেই প্রতিমা বিসর্জনের নির্দেশ

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 128

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়েছে কালীপুজোর বিসর্জন। ইতিমধ্যেই রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর এই মর্মে কালীপুজোর বিসর্জন নিয়ে বিশেষ নির্দেশ জারিও করেছে। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে ২৫, ২৬, ২৭ এবং ২৮ অক্টোবর কালীপুজোর প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া যাবে। তবে ২৮ অক্টোবরের মধ্যেই প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে তেমনটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে। দুর্গাপুজোর বিসর্জনকে কেন্দ্র করে হড়পা বানে জলপাইগুড়ির মালবাজারে দুর্ঘটনার জেরে এবার কালীপুজোর বিসর্জন নিয়েও বিশেষভাবে সতর্ক ও রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর।

কালীপুজোর বিসর্জনকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য প্রত্যেকটি জেলার এসপি, আইসি, ডিআইজি, আইজি পদমর্যাদার অফিসারদের ইতিমধ্যেই বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যে স্বরাষ্ট্র দফতর। যাতে সব ধরনের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ঘাটে তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে বিভিন্ন জেলা পুলিশের এসপিদের। কালীপুজোর সময় ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা ছিল দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। যদিও তা কেটে গেলেও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় নবান্ন।

আরও পড়ুন: বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ, আটকে পড়া পর্যটকদের সহায়তায় নবান্নে খোলা হল কন্ট্রোল রুম

 

আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ৪ জনকে বরখাস্ত করল নবান্ন

অন্যদিকে, বিসর্জন-প্রস্তুতি নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিব কালীপুজোর বিসর্জন ও ছটপুজোকে কেন্দ্র করে যাতে ঘাটগুলিতে বিশেষ নজরদারি চালানো হয়, তার জন্য প্রত্যেকটি জেলাশাসকদের বিশেষ নির্দেশও দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: রাজ্যকে না জানিয়ে ভিনরাজ্যের বাঙালিকে ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে পুশব্যাক নয়, কড়া বার্তা নবান্নর

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জলপাইগুড়ির মালবাজারের বৈঠক থেকেও একই বার্তা রেখে ছিলেন। গত মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিসর্জনের সময় এবার খেয়াল রাখতে হবে। আপনারা সবাই একটি নির্দিষ্ট লাইনে দাঁড়িয়ে ছটপুজোর কাজ করবেন।’

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিব গত সপ্তাহে ভিডিয়ো কনফারেন্স করে প্রত্যেকটি ঘাটে যাতে নজরদারি চালানো হয় সেই বিষয়ে বিশেষ নির্দেশ দেন। সেচ দফতরের আধিকারিকদেরও বিশেষ নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব। বিশেষত যাতে বিসর্জন চলাকালীন সময় সেচ দফতরের আধিকারিকরা কন্ট্রোল রুম খোলেন এবং বিভিন্ন সময় বান আসার সময় যাতে সঠিকভাবে নজরদারি চালানো হয় এবং আগাম পূর্বাভাস পাওয়া যায়, তার জন্য বিশেষ নির্দেশ দেন সেচ দফতরের আধিকারিকদের। যদিও জলপাইগুড়ির মাল নদীতে হড়পা বানে দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে নবান্নের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল যে এই ধরনের বানের পূর্বাভাস আগে থেকে পাওয়া সম্ভব নয়।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দুর্ঘটনা এড়াতে সতর্ক নবান্ন, ২৮ অক্টোবরের মধ্যেই প্রতিমা বিসর্জনের নির্দেশ

আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়েছে কালীপুজোর বিসর্জন। ইতিমধ্যেই রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর এই মর্মে কালীপুজোর বিসর্জন নিয়ে বিশেষ নির্দেশ জারিও করেছে। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে ২৫, ২৬, ২৭ এবং ২৮ অক্টোবর কালীপুজোর প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া যাবে। তবে ২৮ অক্টোবরের মধ্যেই প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে তেমনটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে। দুর্গাপুজোর বিসর্জনকে কেন্দ্র করে হড়পা বানে জলপাইগুড়ির মালবাজারে দুর্ঘটনার জেরে এবার কালীপুজোর বিসর্জন নিয়েও বিশেষভাবে সতর্ক ও রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর।

কালীপুজোর বিসর্জনকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য প্রত্যেকটি জেলার এসপি, আইসি, ডিআইজি, আইজি পদমর্যাদার অফিসারদের ইতিমধ্যেই বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যে স্বরাষ্ট্র দফতর। যাতে সব ধরনের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ঘাটে তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে বিভিন্ন জেলা পুলিশের এসপিদের। কালীপুজোর সময় ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা ছিল দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। যদিও তা কেটে গেলেও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় নবান্ন।

আরও পড়ুন: বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ, আটকে পড়া পর্যটকদের সহায়তায় নবান্নে খোলা হল কন্ট্রোল রুম

 

আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ৪ জনকে বরখাস্ত করল নবান্ন

অন্যদিকে, বিসর্জন-প্রস্তুতি নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিব কালীপুজোর বিসর্জন ও ছটপুজোকে কেন্দ্র করে যাতে ঘাটগুলিতে বিশেষ নজরদারি চালানো হয়, তার জন্য প্রত্যেকটি জেলাশাসকদের বিশেষ নির্দেশও দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: রাজ্যকে না জানিয়ে ভিনরাজ্যের বাঙালিকে ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে পুশব্যাক নয়, কড়া বার্তা নবান্নর

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জলপাইগুড়ির মালবাজারের বৈঠক থেকেও একই বার্তা রেখে ছিলেন। গত মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিসর্জনের সময় এবার খেয়াল রাখতে হবে। আপনারা সবাই একটি নির্দিষ্ট লাইনে দাঁড়িয়ে ছটপুজোর কাজ করবেন।’

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিব গত সপ্তাহে ভিডিয়ো কনফারেন্স করে প্রত্যেকটি ঘাটে যাতে নজরদারি চালানো হয় সেই বিষয়ে বিশেষ নির্দেশ দেন। সেচ দফতরের আধিকারিকদেরও বিশেষ নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব। বিশেষত যাতে বিসর্জন চলাকালীন সময় সেচ দফতরের আধিকারিকরা কন্ট্রোল রুম খোলেন এবং বিভিন্ন সময় বান আসার সময় যাতে সঠিকভাবে নজরদারি চালানো হয় এবং আগাম পূর্বাভাস পাওয়া যায়, তার জন্য বিশেষ নির্দেশ দেন সেচ দফতরের আধিকারিকদের। যদিও জলপাইগুড়ির মাল নদীতে হড়পা বানে দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে নবান্নের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল যে এই ধরনের বানের পূর্বাভাস আগে থেকে পাওয়া সম্ভব নয়।