০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এই প্রথম চাঁদে পা রাখতে চলেছেন মহিলা নভশ্চর ক্রিস্টিনা কোচ, ঘোষণা করল নাসা

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৪ এপ্রিল ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 12

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ঐতিহাসিক ঘটনা! এই প্রথম কোনও মহিলা নভশ্চর চাঁদে পা রাখতে চলেছেন। সোমবার মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা চন্দ্র অভিযানের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। চন্দ্রাভিযানের চার সদস্যের দলে থাকছেন মহিলা নভশ্চর ক্রিস্টিনা কোচ। এখনও পর্যন্ত, শুধুমাত্র পুরুষ মহাকাশচারীরাই চন্দ্রের কক্ষপথে এবং পৃষ্ঠে গিয়েছেন। চন্দ্র মিশনে এই প্রথমবার কোনও মহিলা এবং প্রথম কোনও আফ্রিকান-আমেরিকান মহাকাশচারীকে তালিকায় রাখা হয়েছে। শেষবার মানুষ চাঁদে পা রেখেছিল ১৯৭২ সালে। ৫০ বছর পরে আবার এই চন্দ্রাভিযান হতে চলেছে।

আগামী বছরের প্রথম দিকে চাঁদের চারপাশে প্রথম নভশ্চরসহ মিশন হবে। অ্যাপোলো মিশনের পর থেকে আর্টেমিস-২- নাসার চাঁদের প্রথম মানুষসহ অভিযানের সাক্ষী থাকতে চলেছে। নাসার মিশন কন্ট্রোল বেস জনসন স্পেস সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়।

এই প্রথম চাঁদে পা রাখতে চলেছেন মহিলা নভশ্চর ক্রিস্টিনা কোচ, ঘোষণা করল নাসা

মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা জানিয়েছে, চাঁদের চারপাশে ভ্রমণের জন্য ওরিয়ন মহাকাশযান যখন পাড়ি দেবে তখন এর কোচ মিশন বিশেষজ্ঞ হবেন ক্রিস্টিনা। কোচের সঙ্গে থাকছেন মহাকাশচারী জেরেমি হ্যানসেন, ভিক্টর গ্লোভার, রিড ওয়াইজম্যান। চাঁদের চারপাশে এই অভিযানে ১০ দিনের মিশনে যোগ দেবেন তারা।

ক্রিস্টিনা বলেন, ‘নাসা আমাকে এই মিশনের জন্য নির্বাচিত করায় আমি সম্মানিত। যখনই এই মিশনের কথা ভাবছি তখনই রোমাঞ্চকর অনুভূতি হচ্ছে। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেটে মহাকাশে পাড়ি দেব, সমস্ত সিস্টেম পরীক্ষা করা হবে এবং তারপরে আমরা চাঁদের মাটিতে পা দেব। বিশ্বের সমস্ত মানুষের আশা-আকাঙ্খা আমার মধ্যে নিয়ে আমি এই মিশনের অংশ হতে চলেছি’।

প্রসঙ্গত, ক্রিস্টিনা কোচ একজন সুদক্ষ ইঞ্জিনিয়ার। ইতিমধ্যেই একজন মহিলা হিসাবে দীর্ঘতম মহাকাশ উড়ানের রেকর্ড রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। ১৮ অক্টোবর, ২০১৯-এ, ক্রিস্টিনা এবং জেসিকা মেইর আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের বাইরে অবস্থিত একটি ডাউন পাওয়ার কন্ট্রোল ইউনিট প্রতিস্থাপন করেছিলেন। এটিই ছিল মানবসভ্যতার প্রথম, সম্পূর্ণ মহিলা সদস্যসহ স্পেসওয়াক। চন্দ্রভিযানের ক্রিস্টিনার সঙ্গে থাকছেন মার্কিন নৌবাহিনীর দক্ষ বিমানচালক ভিক্টর গ্লোভার। তিনিই হতে চলেছেন চন্দ্র মিশনে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মহাকাশচারী। এছাড়া থাকছেন মিশন বিশেষজ্ঞ কানাডার জেরেমি হ্যানসেন। পাশাপাশি আর্টেমিস-২ মিশনের কমান্ডার হিসেবে যোগ দেবেন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের অভিজ্ঞ মহাকাশচারী রিড ওয়াইজম্যান।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

এই প্রথম চাঁদে পা রাখতে চলেছেন মহিলা নভশ্চর ক্রিস্টিনা কোচ, ঘোষণা করল নাসা

আপডেট : ৪ এপ্রিল ২০২৩, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ঐতিহাসিক ঘটনা! এই প্রথম কোনও মহিলা নভশ্চর চাঁদে পা রাখতে চলেছেন। সোমবার মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা চন্দ্র অভিযানের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। চন্দ্রাভিযানের চার সদস্যের দলে থাকছেন মহিলা নভশ্চর ক্রিস্টিনা কোচ। এখনও পর্যন্ত, শুধুমাত্র পুরুষ মহাকাশচারীরাই চন্দ্রের কক্ষপথে এবং পৃষ্ঠে গিয়েছেন। চন্দ্র মিশনে এই প্রথমবার কোনও মহিলা এবং প্রথম কোনও আফ্রিকান-আমেরিকান মহাকাশচারীকে তালিকায় রাখা হয়েছে। শেষবার মানুষ চাঁদে পা রেখেছিল ১৯৭২ সালে। ৫০ বছর পরে আবার এই চন্দ্রাভিযান হতে চলেছে।

আগামী বছরের প্রথম দিকে চাঁদের চারপাশে প্রথম নভশ্চরসহ মিশন হবে। অ্যাপোলো মিশনের পর থেকে আর্টেমিস-২- নাসার চাঁদের প্রথম মানুষসহ অভিযানের সাক্ষী থাকতে চলেছে। নাসার মিশন কন্ট্রোল বেস জনসন স্পেস সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়।

এই প্রথম চাঁদে পা রাখতে চলেছেন মহিলা নভশ্চর ক্রিস্টিনা কোচ, ঘোষণা করল নাসা

মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা জানিয়েছে, চাঁদের চারপাশে ভ্রমণের জন্য ওরিয়ন মহাকাশযান যখন পাড়ি দেবে তখন এর কোচ মিশন বিশেষজ্ঞ হবেন ক্রিস্টিনা। কোচের সঙ্গে থাকছেন মহাকাশচারী জেরেমি হ্যানসেন, ভিক্টর গ্লোভার, রিড ওয়াইজম্যান। চাঁদের চারপাশে এই অভিযানে ১০ দিনের মিশনে যোগ দেবেন তারা।

ক্রিস্টিনা বলেন, ‘নাসা আমাকে এই মিশনের জন্য নির্বাচিত করায় আমি সম্মানিত। যখনই এই মিশনের কথা ভাবছি তখনই রোমাঞ্চকর অনুভূতি হচ্ছে। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেটে মহাকাশে পাড়ি দেব, সমস্ত সিস্টেম পরীক্ষা করা হবে এবং তারপরে আমরা চাঁদের মাটিতে পা দেব। বিশ্বের সমস্ত মানুষের আশা-আকাঙ্খা আমার মধ্যে নিয়ে আমি এই মিশনের অংশ হতে চলেছি’।

প্রসঙ্গত, ক্রিস্টিনা কোচ একজন সুদক্ষ ইঞ্জিনিয়ার। ইতিমধ্যেই একজন মহিলা হিসাবে দীর্ঘতম মহাকাশ উড়ানের রেকর্ড রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। ১৮ অক্টোবর, ২০১৯-এ, ক্রিস্টিনা এবং জেসিকা মেইর আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের বাইরে অবস্থিত একটি ডাউন পাওয়ার কন্ট্রোল ইউনিট প্রতিস্থাপন করেছিলেন। এটিই ছিল মানবসভ্যতার প্রথম, সম্পূর্ণ মহিলা সদস্যসহ স্পেসওয়াক। চন্দ্রভিযানের ক্রিস্টিনার সঙ্গে থাকছেন মার্কিন নৌবাহিনীর দক্ষ বিমানচালক ভিক্টর গ্লোভার। তিনিই হতে চলেছেন চন্দ্র মিশনে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মহাকাশচারী। এছাড়া থাকছেন মিশন বিশেষজ্ঞ কানাডার জেরেমি হ্যানসেন। পাশাপাশি আর্টেমিস-২ মিশনের কমান্ডার হিসেবে যোগ দেবেন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের অভিজ্ঞ মহাকাশচারী রিড ওয়াইজম্যান।