ইউক্রেনকে ‘নো-ফ্লাই জোন’ ঘোষণায় আপত্তি ন্যাটোর

- আপডেট : ৫ মার্চ ২০২২, শনিবার
- / 12
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ইউক্রেনকে নো-ফ্লাই জোন ঘোষণা না করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। এটি হলে ইউক্রেনের আকাশে রুশ যুদ্ধবিমান ওড়া নিষিদ্ধ হত। কিন্তু তাতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের শঙ্কা রয়েছে দাবি করে এই প্রস্তাবে রাজি হয়নি ন্যাটো জোট। আর এতেই বেজায় ক্ষুব্ধ ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বলেছেন, এখন থেকে ইউক্রেনে যত মানুষ মারা যাবে, তার জন্য ন্যাটো দায়ী থাকবে। এক ভাষণে জেলেনস্কি অভিযোগ করেন, পশ্চিমা নেতারা জানতেন, তার দেশে রাশিয়ার আগ্রাসন বাড়বে। তবুও পুতিন বাহিনীকে ইউক্রেনীয় শহরগুলোতে বোমা হামলা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, নতুন হামলা ও হতাহতের ঘটনা অনিবার্য জেনেও ন্যাটো ইচ্ছা করে ইউক্রেনের আকাশসীমা বন্ধ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ জোটের নেতারা ইউক্রেনকে নো-ফ্লাই জোন করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আরও বোমা হামলার সবুজ সংকতে দিয়েছেন। জেলেনস্কি বলেন, ’আজ থেকে যত মানুষ মারা যাবে, তার জন্য আপনারাও দায়ী।’ তিনি বলেন, ’আজ ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলন হয়েছে। এটি দুর্বল সম্মেলন, বিভ্রান্তিকর সম্মেলন। এই সম্মেলন দেখাল, সবাই ইউরোপের স্বাধীনতার লড়াইকে এক নম্বর লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করে না’। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট বলেন, ’ন্যাটো দেশগুলোর সব গোয়েন্দা সংস্থাই শত্রুপক্ষের পরিকল্পনা সম্পর্কে ভালোভাবে জানে। তারা নিশ্চিত করেছে, রাশিয়া আক্রমণ চালিয়ে যেতে চায়। তবুও ন্যাটো ইচ্ছা করে ইউক্রেনের আকাশসীমা বন্ধ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ জেলেনস্কির কথায়, !এটি হল ভেতরে ভেতরে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা দুর্বলদের নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা, যদিও তাদের কাছে আমাদের চেয়ে বহুগুণ শক্তিশালী অস্ত্র রয়েছে’। তার দাবি, রুশ আগ্রাগাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেন না টিকলে ইউরোপও টিকবে না। ইউক্রেন ভেঙে পড়লে ইউরোপও ভেঙে পড়বে। এর আগে, ন্যাটোর বৈঠকে জোটের মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ ইউক্রেন পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ বলে বর্ণনা করলেও তাদের বাহিনী দেশটিতে প্রবেশ করবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন।