০১ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
দাবি ইসরাইলের বিরোধী দলনেতার

জনগণের সমর্থন হারিয়েছে নেতানিয়াহু সরকার: ইয়ার লাপিদ

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার
  • / 234

পুবের কলম, তেলআবিবঃ  খোদ নিজ দেশেই বিরোধিতার মুখোমুখি হচ্ছেন তেলআবিবের কসাই নামে খ্যাত  নেতানিয়াহু। নেতানিয়াহু সরকার জনগণের সমর্থন হারিয়েছে বলে দাবি করেছেন ইসরাইলের বিরোধী দলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ। পাশাপাশি, ইসরাইলি সরকারের গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কোনো অধিকার নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রোববার সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে ইয়ার লাপিদ বলেন, ‘অনাদিকাল থেকে ইসরাইলের যুদ্ধের জন্য একটি অপরিহার্য শর্ত ছিল জনগণের সমর্থন। সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ সরকারকে সমর্থন না দিলে, রাজনৈতিক নেতৃত্বের ওপর আস্থা না রাখলে ইসরাইল রাষ্ট্র যুদ্ধ করতে পারে না।’

আরও পড়ুন: Palestinian state: এবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিচ্ছে france

তিনি আরও বলেন, ‘এই শর্তগুলোর কোনোটিই এখন পূরণ হয়নি। গাজা যুদ্ধ শেষ করার এবং জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার সময় হয়েছে।’ গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ব্যর্থতার জন্য প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের ওপর ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ চাপের মধ্যে লাপিদের এ মন্তব্য এলো।

আরও পড়ুন: ইসরাইলের হুমকিতে ভীত না হওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের 

গাজায় যুদ্ধ বন্ধ ও ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে প্রতিনিয়ত ইসরাইলের ওপর চাপ বাড়ছে। তবে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অনড় মনোভাব ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের যথাযথ মডেলের অভাবে অঞ্চলটির সার্বভৌমত্বের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বলে মত বিশ্লেষকদের। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের এক বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন অনুযায়ী, তা বাস্তবায়নের সম্ভাবনা বেশ ক্ষীণ। এর পেছনে কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, আধুনিক বিশ্বে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের মডেলের অভাব।

আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের জন্য আমেরিকা ও ইসরাইলকে জবাবদিহি করতে হবে: ইরান 

বিশ্লেষকদের মতে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই ফিলিস্তিনের অস্তিত্বে বড় একটি প্রশ্নবোধক চিহ্ন ঝুলতে থাকে। অপরদিকে, গাজা, পশ্চিম তীর ও জেরুসালেমের ওপর ইসরাইলের আধিপত্য বাড়তে থাকে। ১৯৯০ সালের অসলো অ্যাকর্ডে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ধারণা থাকলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।

এছাড়াও, প্রশাসনিক দায়িত্ব কারা পালন করবে তা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক চাপের মুখে যদি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাও হয়, তবে তার চিত্র কেমন হবে কিংবা প্রশাসনিক কাঠামো কীভাবে তৈরি হবে তা এখনও অজানা।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দাবি ইসরাইলের বিরোধী দলনেতার

জনগণের সমর্থন হারিয়েছে নেতানিয়াহু সরকার: ইয়ার লাপিদ

আপডেট : ৩ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার

পুবের কলম, তেলআবিবঃ  খোদ নিজ দেশেই বিরোধিতার মুখোমুখি হচ্ছেন তেলআবিবের কসাই নামে খ্যাত  নেতানিয়াহু। নেতানিয়াহু সরকার জনগণের সমর্থন হারিয়েছে বলে দাবি করেছেন ইসরাইলের বিরোধী দলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ। পাশাপাশি, ইসরাইলি সরকারের গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কোনো অধিকার নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রোববার সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে ইয়ার লাপিদ বলেন, ‘অনাদিকাল থেকে ইসরাইলের যুদ্ধের জন্য একটি অপরিহার্য শর্ত ছিল জনগণের সমর্থন। সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ সরকারকে সমর্থন না দিলে, রাজনৈতিক নেতৃত্বের ওপর আস্থা না রাখলে ইসরাইল রাষ্ট্র যুদ্ধ করতে পারে না।’

আরও পড়ুন: Palestinian state: এবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিচ্ছে france

তিনি আরও বলেন, ‘এই শর্তগুলোর কোনোটিই এখন পূরণ হয়নি। গাজা যুদ্ধ শেষ করার এবং জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার সময় হয়েছে।’ গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ব্যর্থতার জন্য প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের ওপর ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ চাপের মধ্যে লাপিদের এ মন্তব্য এলো।

আরও পড়ুন: ইসরাইলের হুমকিতে ভীত না হওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের 

গাজায় যুদ্ধ বন্ধ ও ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে প্রতিনিয়ত ইসরাইলের ওপর চাপ বাড়ছে। তবে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অনড় মনোভাব ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের যথাযথ মডেলের অভাবে অঞ্চলটির সার্বভৌমত্বের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বলে মত বিশ্লেষকদের। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের এক বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন অনুযায়ী, তা বাস্তবায়নের সম্ভাবনা বেশ ক্ষীণ। এর পেছনে কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, আধুনিক বিশ্বে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের মডেলের অভাব।

আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের জন্য আমেরিকা ও ইসরাইলকে জবাবদিহি করতে হবে: ইরান 

বিশ্লেষকদের মতে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই ফিলিস্তিনের অস্তিত্বে বড় একটি প্রশ্নবোধক চিহ্ন ঝুলতে থাকে। অপরদিকে, গাজা, পশ্চিম তীর ও জেরুসালেমের ওপর ইসরাইলের আধিপত্য বাড়তে থাকে। ১৯৯০ সালের অসলো অ্যাকর্ডে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ধারণা থাকলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।

এছাড়াও, প্রশাসনিক দায়িত্ব কারা পালন করবে তা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক চাপের মুখে যদি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাও হয়, তবে তার চিত্র কেমন হবে কিংবা প্রশাসনিক কাঠামো কীভাবে তৈরি হবে তা এখনও অজানা।