০১ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মায়ানমারের ওপর যুক্তরাষ্ট্র,যুক্তরাজ্য,কানাডার নয়া নিষেধাজ্ঞা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২২, শনিবার
  • / 94

প্রতীকী ছবি

পুবের কলম প্রতিবেদক : মায়ানমারের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র , যুক্তরাজ্য ও কানাডা। দেশটিতে নতুন নিয়োগ পাওয়া বিমানবাহিনীর প্রধান-সহ সামরিক কর্মকর্তা ও যারা অস্ত্র বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত তাদের লক্ষ্য করে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন চালাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কাতারের সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

 

আরও পড়ুন: ইরানের ওপর ফের রাষ্ট্রসংঘের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর

জানা গেছে, মায়ানমারের অস্ত্র ব্যবসায়ী ও তাদের কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতবছর বড়দিনের প্রাক্কালে দক্ষিণ-পূর্ব কায়াহ রাজ্যে গাড়ির মধ্যে ৩০ বেসামরিক নাগরিককে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে মায়ানমারের সেনাবাহিনীর একটি ইউনিটের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ দিকে যুক্তরাজ্যও মায়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যারা মায়ানমারের বিমানবাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ করে তাদের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। কারণ মায়ানমারের বিমানবাহিনী সেখানের গ্রামগুলোতে বোমা হামলা চালাচ্ছে। ফলে হাজার হাজার মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে মায়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞায় পিছিয়ে নেই কানাডাও। শুরু থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে মায়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে দেশটি। এবার কানাডা মায়ানমারের চার ব্যক্তিসহ দুইটি কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় নিয়ে এসেছে।

আরও পড়ুন: Palestinian state: এবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিচ্ছে france

 

আরও পড়ুন: Palestine Statehood: ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিল যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া

গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে নেয় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। তবে দেশটির সিংহভাগ জনগণ বিষয়টি মেনে নেয়নি। রাস্তায় বিক্ষোভ, সরকারি কাজকর্ম বয়কটসহ সশস্ত্র বিদ্রোহের মাধ্যমে জান্তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে তারা। স্থানীয় মনিটরিং গ্রুপগুলো বলছে, মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর সহিংসতায় এ পর্যন্ত ১৩শ -র বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

 

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মায়ানমারের ওপর যুক্তরাষ্ট্র,যুক্তরাজ্য,কানাডার নয়া নিষেধাজ্ঞা

আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২২, শনিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক : মায়ানমারের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র , যুক্তরাজ্য ও কানাডা। দেশটিতে নতুন নিয়োগ পাওয়া বিমানবাহিনীর প্রধান-সহ সামরিক কর্মকর্তা ও যারা অস্ত্র বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত তাদের লক্ষ্য করে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন চালাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কাতারের সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

 

আরও পড়ুন: ইরানের ওপর ফের রাষ্ট্রসংঘের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর

জানা গেছে, মায়ানমারের অস্ত্র ব্যবসায়ী ও তাদের কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতবছর বড়দিনের প্রাক্কালে দক্ষিণ-পূর্ব কায়াহ রাজ্যে গাড়ির মধ্যে ৩০ বেসামরিক নাগরিককে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে মায়ানমারের সেনাবাহিনীর একটি ইউনিটের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ দিকে যুক্তরাজ্যও মায়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যারা মায়ানমারের বিমানবাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ করে তাদের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। কারণ মায়ানমারের বিমানবাহিনী সেখানের গ্রামগুলোতে বোমা হামলা চালাচ্ছে। ফলে হাজার হাজার মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে মায়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞায় পিছিয়ে নেই কানাডাও। শুরু থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে মায়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে দেশটি। এবার কানাডা মায়ানমারের চার ব্যক্তিসহ দুইটি কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় নিয়ে এসেছে।

আরও পড়ুন: Palestinian state: এবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিচ্ছে france

 

আরও পড়ুন: Palestine Statehood: ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিল যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া

গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে নেয় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। তবে দেশটির সিংহভাগ জনগণ বিষয়টি মেনে নেয়নি। রাস্তায় বিক্ষোভ, সরকারি কাজকর্ম বয়কটসহ সশস্ত্র বিদ্রোহের মাধ্যমে জান্তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে তারা। স্থানীয় মনিটরিং গ্রুপগুলো বলছে, মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর সহিংসতায় এ পর্যন্ত ১৩শ -র বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।