পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ মুলায়ম-অখিলেশ তথা সমাজবাদী পার্টির ঘর ভাঙিয়ে অপর্ণা যাদবকে দলে টেনে উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের আগে বড় চমক দিয়েছিল বিজেপি। অপর্ণা যাদবের টিকিট পাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা এমনটাই মনে করেছিলেন রাজনৈতিক বিশ্বেষকরা। কিন্তু শেষপর্যন্ত টিকিট পেলেননা অপর্ণা। শুধু অপর্ণাই নন আরও বেশ কয়েকজন হেভিওয়েটকেও টিকিট দিলনা বিজেপি ।
কেন লখনৌ ক্যান্টনমেন্ট আসন থেকে টিকিট পেলেননা অপর্ণ। কি বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আসলে যোগী মুলুকে বিজেপির এমন একটা মুখ প্রয়োজন ছিল যিনি নেতা কম কিন্তু অনেকবেশি হিন্দুত্ববাদী হবেন। সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী জনসভায় গরম বিদ্বেষমূলক ভাষণ দিতে পারবেন। এক কথায় হিন্দুত্বের তাস খেলে বাজার গরম করতে পারবেন।
আসলে গোবলয়ের এই নির্বাচনমুখী রাজ্যটিতে যোগীর “হাতে রইল বিদ্বেষের” মতই অবস্থা।কি দিয়ে ভোট চাইবেন তিনি বা তাঁর দলীয় প্রার্থীরা? উন্নয়ন কে দূরবীন দিয়ে খুজতে হয় এই রাজ্যে, বরং হাতরস, লখিমপুর থেকে শুরু করে অপরাধের তালিকাটা অনেক বড়।
তাই এমন কোন প্রার্থীকে বেছে নাও যার কেরিয়ারে হিন্দুত্ব এবং হেটস্পীচ এই দুটো তাস রয়েছে। সমাজবাদী পার্টির রাজনীতি করা, যাদব পরিবারের এই বধূর সেই সমস্ত গুণাবলী কোথায়। তাই তাকে ঝেড়ে ফেলা হোক, ঠেলে দেওয়া হোক সাইডলাইনে। এখনকড়া ট্যাকল করা খেলোয়াড় চাই। অপর্ণার মত সফিস্টিকেটেড লোকজনকে শোকেস করানোর জন্যই ভালো।
মোদি জামানায় যেভাবে ব্যাকফুটে ঠেলে দেওয়া হয়েছে মানেকা- বরুণকে। প্রয়াত অরুণ জেটলি, লালকৃষ্ণ আদবানী এমন তালিকা দীর্ঘ হতেই থাকবে।এখন কেন্দ্রের মোদি সরকারের চালিকাশক্তি অবশ্যই আরএসএস। যাদের মূল অ্যাজেন্ডাই হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষ ভারতকে একটা নির্দিষ্ট ধর্মের মোড়কে ঢেকে ফেল। সেই স্ক্রিপ্টের কবলে পড়ে আসলে বলির পাঁঠা হন অপর্ণা যাদবের মত কিছু আনকোরা রাজনীতিবিদ।