২৮ জুলাই ২০২৫, সোমবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজ্যের ওবিসি সংরক্ষণ নীতি পেশ বিধানসভার আসন্ন অধিবেশনে

সুস্মিতা
  • আপডেট : ৭ জুন ২০২৫, শনিবার
  • / 285

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ সরকার নতুন ওবিসি সংরক্ষণ নীতি চূড়ান্ত করেছে। যে সিদ্ধান্ত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে মান্যতা দিয়েই গৃহীত হয়েছে। রাজ্য মন্ত্রিসভায় এই নীতি অনুমোদন পেয়েছে। যেখানে ওবিসি জনগোষ্ঠীর একটি সংশোধিত তালিকা তৈরি হয়েছে।

এই নতুন ওবিসি সংরক্ষণ নীতি রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণির মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এর ফলে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ শিক্ষা ও সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণের সুযোগ পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ওবিসি নিয়ে আদালত অবমাননা মামলায় হস্তক্ষেপ করলো না ডিভিশন বেঞ্চ

আগামী ৯ জুন সোমবার থেকে বিধানসভা অধিবেশন শুরু হচ্ছে। সেখানেই মন্ত্রিসভায় ছাড়পত্র পাওয়া ওবিসি নীতির সংশ্লিষ্ট সংশোধনী পেশ করা হবে। এই সংশোধনী বিধানসভায় পাস হওয়ার পরেই তালিকাটি আইনি বৈধতা পাবে।

আরও পড়ুন: কলেজে ভর্তির পোর্টালে ওবিসি নিয়ে আদালত অবমাননা! আজ শুনানি?

ওবিসি সংরক্ষণের বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন থাকায় একাধিক ক্ষেত্রে শূন্য পদে নিয়োগে দীর্ঘ দিনের অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। বিধানসভায় এই তালিকা অনুমোদনের অনুমোদনের পরে সেই অচলাবস্থা কাটবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: স্থগিতাদেশের পরেও কেন চালু কলেজে ভর্তির পোর্টাল? ওবিসি নিয়ে আদালত অবমাননা মামলা হাইকোর্টে

উল্লেখ্য, গত বছর কলকাতা হাইকোর্টের একটি রায়ে ২০১০ সালের পর থেকে রাজ্যের দেওয়া ওবিসি শংসাপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছিল।

২০১০ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ৭৭ টি সম্প্রদায়কে ওবিসি তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। যার মধ্যে ৭৫ টি মুসলিম ধর্মাবলম্বী গোষ্ঠী ছিল। এই অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় ২০২৪ সালের মে মাসে কলকাতা হাইকোর্টের রায় ওই অন্তর্ভুক্তিকে ‘অবৈধ’ ঘোষণা করেছিল।

রাজ্য ওবিসি কমিশনের সাম্প্রতিক সমীক্ষা ও সুপারিশের ভিত্তিতে অনগ্রসর কল্যাণ দফতরের তরফে যে সংশোধিত তালিকা পেশ করা হল সেখানে আগের জাতির সংখ্যা ৬৬ থেকে ৬৪ তে কমিয়ে এবং নতুন ৭৬ টি জাতি সংযোজিত করে মোট ১৪০ টি জনগোষ্ঠীকে অনুমোদন করেছে।

এদিকে হাইকোর্টেও সমীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে আগামী ১৯ জুন শুনানি রয়েছে। তার আগেই সংশোধিত ওবিসি তালিকায় মন্ত্রিসভার মাধ্যমে অনুমোদন দিল রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, এই সংশোধিত তালিকাসহ রাজ্য সরকারের নতুন ওবিসি সংরক্ষণ নীতি বিধানসভায় পাস করাতে চায় রাজ্য সরকার।

তবে ইতিমধ্যেই এই নতুন তালিকা নিয়ে হইচই করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বিরোধী বিধায়করাও। রাজ্য সরকার ধর্মভিত্তিক ভোটব্যাঙ্ক তৈরি করতে চাইছে বলেও বিধানসভায় আক্রমণ শানাবে বিরোধীরা। অন্যদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে মালদহ- মুর্শিদাবাদ নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনার পবিকল্পনা করা হচ্ছে।সেইসঙ্গে বিধানসভার একাধিক স্থায়ী কমিটির রিপোর্ট এই অধিবেশনে তোলা হবে জানা গিয়েছে।

পহেলগাঁও ইস্যু নিয়ে বিধানসভার বর্ষাকালীন অধিবেশন শুরু হওয়ার পরে রাজ্য সরকারের ওবিসি সংরক্ষণ নীতি পেশ এবং আরও কিছু ইস্যু নিয়ে এবার বিধানসভার অধিবেশন রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠবে বলেই মনে করছে পর্যবেক্ষক মহল।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রাজ্যের ওবিসি সংরক্ষণ নীতি পেশ বিধানসভার আসন্ন অধিবেশনে

আপডেট : ৭ জুন ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ সরকার নতুন ওবিসি সংরক্ষণ নীতি চূড়ান্ত করেছে। যে সিদ্ধান্ত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে মান্যতা দিয়েই গৃহীত হয়েছে। রাজ্য মন্ত্রিসভায় এই নীতি অনুমোদন পেয়েছে। যেখানে ওবিসি জনগোষ্ঠীর একটি সংশোধিত তালিকা তৈরি হয়েছে।

এই নতুন ওবিসি সংরক্ষণ নীতি রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণির মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এর ফলে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ শিক্ষা ও সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণের সুযোগ পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ওবিসি নিয়ে আদালত অবমাননা মামলায় হস্তক্ষেপ করলো না ডিভিশন বেঞ্চ

আগামী ৯ জুন সোমবার থেকে বিধানসভা অধিবেশন শুরু হচ্ছে। সেখানেই মন্ত্রিসভায় ছাড়পত্র পাওয়া ওবিসি নীতির সংশ্লিষ্ট সংশোধনী পেশ করা হবে। এই সংশোধনী বিধানসভায় পাস হওয়ার পরেই তালিকাটি আইনি বৈধতা পাবে।

আরও পড়ুন: কলেজে ভর্তির পোর্টালে ওবিসি নিয়ে আদালত অবমাননা! আজ শুনানি?

ওবিসি সংরক্ষণের বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন থাকায় একাধিক ক্ষেত্রে শূন্য পদে নিয়োগে দীর্ঘ দিনের অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। বিধানসভায় এই তালিকা অনুমোদনের অনুমোদনের পরে সেই অচলাবস্থা কাটবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: স্থগিতাদেশের পরেও কেন চালু কলেজে ভর্তির পোর্টাল? ওবিসি নিয়ে আদালত অবমাননা মামলা হাইকোর্টে

উল্লেখ্য, গত বছর কলকাতা হাইকোর্টের একটি রায়ে ২০১০ সালের পর থেকে রাজ্যের দেওয়া ওবিসি শংসাপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছিল।

২০১০ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ৭৭ টি সম্প্রদায়কে ওবিসি তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। যার মধ্যে ৭৫ টি মুসলিম ধর্মাবলম্বী গোষ্ঠী ছিল। এই অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় ২০২৪ সালের মে মাসে কলকাতা হাইকোর্টের রায় ওই অন্তর্ভুক্তিকে ‘অবৈধ’ ঘোষণা করেছিল।

রাজ্য ওবিসি কমিশনের সাম্প্রতিক সমীক্ষা ও সুপারিশের ভিত্তিতে অনগ্রসর কল্যাণ দফতরের তরফে যে সংশোধিত তালিকা পেশ করা হল সেখানে আগের জাতির সংখ্যা ৬৬ থেকে ৬৪ তে কমিয়ে এবং নতুন ৭৬ টি জাতি সংযোজিত করে মোট ১৪০ টি জনগোষ্ঠীকে অনুমোদন করেছে।

এদিকে হাইকোর্টেও সমীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে আগামী ১৯ জুন শুনানি রয়েছে। তার আগেই সংশোধিত ওবিসি তালিকায় মন্ত্রিসভার মাধ্যমে অনুমোদন দিল রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, এই সংশোধিত তালিকাসহ রাজ্য সরকারের নতুন ওবিসি সংরক্ষণ নীতি বিধানসভায় পাস করাতে চায় রাজ্য সরকার।

তবে ইতিমধ্যেই এই নতুন তালিকা নিয়ে হইচই করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বিরোধী বিধায়করাও। রাজ্য সরকার ধর্মভিত্তিক ভোটব্যাঙ্ক তৈরি করতে চাইছে বলেও বিধানসভায় আক্রমণ শানাবে বিরোধীরা। অন্যদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে মালদহ- মুর্শিদাবাদ নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনার পবিকল্পনা করা হচ্ছে।সেইসঙ্গে বিধানসভার একাধিক স্থায়ী কমিটির রিপোর্ট এই অধিবেশনে তোলা হবে জানা গিয়েছে।

পহেলগাঁও ইস্যু নিয়ে বিধানসভার বর্ষাকালীন অধিবেশন শুরু হওয়ার পরে রাজ্য সরকারের ওবিসি সংরক্ষণ নীতি পেশ এবং আরও কিছু ইস্যু নিয়ে এবার বিধানসভার অধিবেশন রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠবে বলেই মনে করছে পর্যবেক্ষক মহল।