২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের লোগোতে পদ্মের ব্যবহার প্রশ্নে, ‘দেশের সম্মানের বিষয় নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না’, মন্তব্য মমতার

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৫ ডিসেম্বর ২০২২, সোমবার
  • / 31

পুবের কলম প্রতিবেদক:  জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের লোগোতে পদ্মের ব্যবহার। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মমতা বললেন,  দেশের সম্মানের বিষয় তাই এই নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না। তবে এমনটা না হলেই ভালো হতো। যদিও পদ্ম আমাদের জাতীয় ফুল। তবে জাতীয় পশু আগে ছিল বাঘ এখন সিংহ বা জাতীয় পাখির ময়ূর রয়েছে। রয়েছে ন্যাশনাল এমব্লেমও। এক্ষেত্রে সেগুলিও ব্যবহার করা যেত।

প্রসঙ্গত এ দিনই কলকাতা থেকে প্রধানমন্ত্রীর ডাকে জি-টোয়েন্টি নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠকে যোগ দিতে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা থেকে রওনা হওয়ার আগে বিমানবন্দরে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেখানেই এই বিষয় নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন তিনি।

আরও পড়ুন: অসমে বিজেপির বিভেদমূলক অ্যাজেন্ডা সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করেছে,অসমবাসী রুখে দাঁড়ান: মমতা

এদিন কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জি২০-র লোগো নিয়ে প্রশ্ন করেন। এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগেও এ ধরনের লোগো আমি দেখেছি। যখন দেশের সম্মানের প্রশ্ন থাকে তখন এসব জিনিস আমরা দেখি না। এই বিষয়টি বাইরে এলে দেশের মানুষের জন্য তা কখনোই ভালো লাগবে না। কিন্তু এটাও ঘটনা যে এই লোগোর সঙ্গে কোন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের প্রতীকের মিল রয়েছে। তবে মনে রাখতে হবে পদ্ম আমাদের জাতীয় ফুল। নির্বাচন কমিশনে তো তাদের জাতীয় ফুল কে প্রতীক হিসাবে ব্যবহার করতে দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ভিনরাজ্যে বাঙালিদের হেনস্তার প্রতিবাদে আজ পথে নামছেন মমতা-অভিষেক

তবে এক্ষেত্রে জাতীয় ফুল ছাড়াও আরও অনেক জাতীয় প্রতীক ছিল সেগুলি ব্যবহার করা যেত। এক্ষেত্রে জাতীয় পশু সিংহ, জাতীয় পাখি ময়ূর বা অন্য কিছু ব্যবহার করা যেতে পারতো। মনে রাখতে হবে এর মধ্যে কুড়িটি দেশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আমি এই নিয়ে বিরোধিতা না করলেও অন্যেরা বিরোধিতা করতেই পারেন। ঠিক যেমনটি সাংবাদিকরা বলছেন। তারা প্রশ্ন করেছেন তাই বলছি। না হলে আমি দেখেও এই নিয়ে বিশেষ কিছু বলতাম না। এর সঙ্গে দেশের সম্মানের প্রশ্ন জড়িয়ে রয়েছে তাই এটাকে আলাদা করে ইস্যু করতে চাই না। কিন্তু এটাকে নন ইস্যু ভাবলে ভুল করা হবে। এটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। তাদের এই বিষয়টা নিয়ে ভাবা উচিত ছিল।

আরও পড়ুন: কলকাতার ইসকনে মুখ্যমন্ত্রী, আরতি করলেন তিনি

আগামী বছর দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে এই জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলন। তার লোগোতে পদ্ম ফুল ব্যবহার নিয়ে আগেই কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে বাগযুদ্ধ বাঁধে।

কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ ট্যুইট করেন যে এটি ‘বিস্ময়কর’ যে পদ্ম, যা ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচনী প্রতীক, জি ২০ লোগোর অংশ হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে! যদিও কংগ্রেসের এই বিরোধিতার জবাব দিয়ে বিজেপি বলছে, ১৯৫০ সালে পদ্মকে জাতীয় প্রতীক হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রের শাসক দল এই প্রতীক তার আগে থেকেই ব্যবহার করছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের লোগোতে পদ্মের ব্যবহার প্রশ্নে, ‘দেশের সম্মানের বিষয় নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না’, মন্তব্য মমতার

আপডেট : ৫ ডিসেম্বর ২০২২, সোমবার

পুবের কলম প্রতিবেদক:  জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের লোগোতে পদ্মের ব্যবহার। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মমতা বললেন,  দেশের সম্মানের বিষয় তাই এই নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না। তবে এমনটা না হলেই ভালো হতো। যদিও পদ্ম আমাদের জাতীয় ফুল। তবে জাতীয় পশু আগে ছিল বাঘ এখন সিংহ বা জাতীয় পাখির ময়ূর রয়েছে। রয়েছে ন্যাশনাল এমব্লেমও। এক্ষেত্রে সেগুলিও ব্যবহার করা যেত।

প্রসঙ্গত এ দিনই কলকাতা থেকে প্রধানমন্ত্রীর ডাকে জি-টোয়েন্টি নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠকে যোগ দিতে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা থেকে রওনা হওয়ার আগে বিমানবন্দরে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেখানেই এই বিষয় নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন তিনি।

আরও পড়ুন: অসমে বিজেপির বিভেদমূলক অ্যাজেন্ডা সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করেছে,অসমবাসী রুখে দাঁড়ান: মমতা

এদিন কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জি২০-র লোগো নিয়ে প্রশ্ন করেন। এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগেও এ ধরনের লোগো আমি দেখেছি। যখন দেশের সম্মানের প্রশ্ন থাকে তখন এসব জিনিস আমরা দেখি না। এই বিষয়টি বাইরে এলে দেশের মানুষের জন্য তা কখনোই ভালো লাগবে না। কিন্তু এটাও ঘটনা যে এই লোগোর সঙ্গে কোন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের প্রতীকের মিল রয়েছে। তবে মনে রাখতে হবে পদ্ম আমাদের জাতীয় ফুল। নির্বাচন কমিশনে তো তাদের জাতীয় ফুল কে প্রতীক হিসাবে ব্যবহার করতে দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ভিনরাজ্যে বাঙালিদের হেনস্তার প্রতিবাদে আজ পথে নামছেন মমতা-অভিষেক

তবে এক্ষেত্রে জাতীয় ফুল ছাড়াও আরও অনেক জাতীয় প্রতীক ছিল সেগুলি ব্যবহার করা যেত। এক্ষেত্রে জাতীয় পশু সিংহ, জাতীয় পাখি ময়ূর বা অন্য কিছু ব্যবহার করা যেতে পারতো। মনে রাখতে হবে এর মধ্যে কুড়িটি দেশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আমি এই নিয়ে বিরোধিতা না করলেও অন্যেরা বিরোধিতা করতেই পারেন। ঠিক যেমনটি সাংবাদিকরা বলছেন। তারা প্রশ্ন করেছেন তাই বলছি। না হলে আমি দেখেও এই নিয়ে বিশেষ কিছু বলতাম না। এর সঙ্গে দেশের সম্মানের প্রশ্ন জড়িয়ে রয়েছে তাই এটাকে আলাদা করে ইস্যু করতে চাই না। কিন্তু এটাকে নন ইস্যু ভাবলে ভুল করা হবে। এটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। তাদের এই বিষয়টা নিয়ে ভাবা উচিত ছিল।

আরও পড়ুন: কলকাতার ইসকনে মুখ্যমন্ত্রী, আরতি করলেন তিনি

আগামী বছর দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে এই জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলন। তার লোগোতে পদ্ম ফুল ব্যবহার নিয়ে আগেই কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে বাগযুদ্ধ বাঁধে।

কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ ট্যুইট করেন যে এটি ‘বিস্ময়কর’ যে পদ্ম, যা ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচনী প্রতীক, জি ২০ লোগোর অংশ হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে! যদিও কংগ্রেসের এই বিরোধিতার জবাব দিয়ে বিজেপি বলছে, ১৯৫০ সালে পদ্মকে জাতীয় প্রতীক হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রের শাসক দল এই প্রতীক তার আগে থেকেই ব্যবহার করছে।