০৮ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাঁচ বছরে কমবে দেড় কোটি চাকরি

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩ মে ২০২৩, বুধবার
  • / 19

বিশেষ প্রতিবেদন: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দিকে ঝোঁকার কারণে আগামী পাঁচ বছরে বিশ্বে দেড় কোটি কর্মসংস্থান কমতে পারে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। অন্তত ৮০০ কোম্পানির ওপর সমীক্ষা চালিয়ে রবিবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স) মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার কর্মসংস্থানে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে চলছে। বিভিন্ন খাতে মানুষের জায়গা নিতে চলেছে রোবট। প্রতি বছর সুইৎজারল্যান্ডের দাভোসে একটি বৈঠকের আয়োজন করেন বিশ্বনেতারা। বলা হয়েছে, আগামী ২০২৭ সালের মধ্যে ৬ কোটি ৯০ লক্ষ নতুন চাকরি সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অপরদিকে ৮ কোটি ৩০ লক্ষ চাকরি হারানোর শঙ্কা করা হচ্ছে। অর্থাৎ ১ কোটি ৪০ লক্ষ চাকরি হারিয়ে যাবে, যা বর্তমান কর্মসংস্থানের ২ শতাংশ।  ডব্লিউইএফ’র তথ্যমতে, ২০২৭ সালের মধ্যে চ্যাটজিপিটির মতো এআই’র ব্যবহার ৩০ শতাংশ বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এরইমধ্যে ৩৪ শতাংশ ব্যবসায়িক কাজ যন্ত্রের সাহায্যে করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক বৃদ্ধির ধীরগতি ও অত্যাধিক মূল্যস্ফীতির কারণেই চাকরিতে ছাঁটাইয়ের পরিমাণ বাড়বে। তবে এআই প্রযুক্তি পরিচালনার জন্যও নতুন কর্মী প্রয়োজন। ২০২৭ সালের মধ্যে ডাটা বিশ্লেষক, বিজ্ঞানী, মেশিন লার্নিং বিশেষজ্ঞ এবং সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ বাড়বে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে ডব্লিউইএফ।

আরও পড়ুন: ৫ বছর আইনি লড়াই করার পর শিক্ষকতায় চাকরি পেলেন ১৫ জন

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পাঁচ বছরে কমবে দেড় কোটি চাকরি

আপডেট : ৩ মে ২০২৩, বুধবার

বিশেষ প্রতিবেদন: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দিকে ঝোঁকার কারণে আগামী পাঁচ বছরে বিশ্বে দেড় কোটি কর্মসংস্থান কমতে পারে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। অন্তত ৮০০ কোম্পানির ওপর সমীক্ষা চালিয়ে রবিবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স) মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার কর্মসংস্থানে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে চলছে। বিভিন্ন খাতে মানুষের জায়গা নিতে চলেছে রোবট। প্রতি বছর সুইৎজারল্যান্ডের দাভোসে একটি বৈঠকের আয়োজন করেন বিশ্বনেতারা। বলা হয়েছে, আগামী ২০২৭ সালের মধ্যে ৬ কোটি ৯০ লক্ষ নতুন চাকরি সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অপরদিকে ৮ কোটি ৩০ লক্ষ চাকরি হারানোর শঙ্কা করা হচ্ছে। অর্থাৎ ১ কোটি ৪০ লক্ষ চাকরি হারিয়ে যাবে, যা বর্তমান কর্মসংস্থানের ২ শতাংশ।  ডব্লিউইএফ’র তথ্যমতে, ২০২৭ সালের মধ্যে চ্যাটজিপিটির মতো এআই’র ব্যবহার ৩০ শতাংশ বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এরইমধ্যে ৩৪ শতাংশ ব্যবসায়িক কাজ যন্ত্রের সাহায্যে করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক বৃদ্ধির ধীরগতি ও অত্যাধিক মূল্যস্ফীতির কারণেই চাকরিতে ছাঁটাইয়ের পরিমাণ বাড়বে। তবে এআই প্রযুক্তি পরিচালনার জন্যও নতুন কর্মী প্রয়োজন। ২০২৭ সালের মধ্যে ডাটা বিশ্লেষক, বিজ্ঞানী, মেশিন লার্নিং বিশেষজ্ঞ এবং সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ বাড়বে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে ডব্লিউইএফ।

আরও পড়ুন: ৫ বছর আইনি লড়াই করার পর শিক্ষকতায় চাকরি পেলেন ১৫ জন