ইমরান খানের গ্রেফতারি পরোয়ানা স্থগিতের আদেশ, পরবর্তী শুনানি ৩০ মার্চ
ইমামা খাতুন
- আপডেট :
১৯ মার্চ ২০২৩, রবিবার
- / 17
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা স্থগিত করেছে আদালত। সেই সঙ্গে আলোচিত তোশাখানা মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ আগামী ৩০ মার্চ নির্ধারণ করা হয়েছে। ইসলামাবাদের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জাফর ইকবাল শনিবার এ আদেশ দেন। শনিবার আদালতের বাইরে পুলিশ ও পিটিআইয়ের কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের কারণে কোনও শুনানি ছাড়াই এ আদেশ জারি করেন বিচারক। পুলিশি বাধার কারণে বিচারকের সামনে হাজির হতে না পারলেও আদালতের কয়েকটি নথিকে সই করতে হয়েছে ইমরানকে। এরপর বিচারক ইমরানকে চলে যাওয়ার অনুমতি দেন।
শনিবার সকালে লাহোরের জামান পার্কের বাসভবন থেকে ইসলামাবাদের উদ্দেশে রওনা দেন পিটিআই চেয়ারম্যান। সেসময় তার জামান পার্কের বাসভবনের গেট ভেঙে ঢুকে তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে তার বাসভবন থেকে একে-৪৭ রাইফেল উদ্ধারের দাবি করে পুলিশ। অন্যদিকে ইসলামাবাদ জুডিশিয়াল কমপ্লেক্সের বাইরে ইমরানের কনভয় পৌঁছলে পুলিশের সঙ্গে পিটিআই নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। কয়েক হাজার নেতাকর্মী সে সময় ইমরান খানের গাড়িবহরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিলেন।
পিটিআই চেয়ারম্যান নিজের বুলেট প্রুফ গাড়ির মধ্য থেকেই দেওয়া ভিডিয়ো বার্তায় অভিযোগ করেন, পুলিশ বিচারকের কাছে তাঁকে যেতে বাধা দিচ্ছে। চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। বিচারকের কামরা থেকে ১০০ গজ দূরে গাড়িতে প্রায় ১৫ মিনিট অবস্থান করেন তিনি। আদালতের বাইরে দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ ও ইমরানের উপস্থিতির জন্য পরিস্থিতি অনুকূল নয় বিবেচনা করে বিচারক ৩০ মার্চ পর্যন্ত মামলার শুনানি মুলতবি করেন।
শনিবার আদালতের বাইরের পরিস্থিতি সম্পর্কে পিটিআই দলের ফয়সল চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, ইমরান খান তার গাড়িতে আদালতের বাইরে ছিলেন, আদালতে প্রবেশের চেষ্টা করেন। কিন্তু পুলিশ বাধা দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিল। পিটিআই চেয়ারম্যানের সমর্থকদের ওপর নৃশংসভাবে হামলা চালিয়েছে পুলিশ। অনেককে গ্রেফতার করেছে তারা।
ইমরান বলেছেন, যেকোনও সময় তিনি বন্দি হতে পারেন এবং এ কারণে তিনি একটি কমিটি গঠন করেছেন যারা তার অনুপস্থিতিতে দলীয় সিদ্ধান্ত নেবে। ইমরান খান আরও বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে সবমিলিয়ে ৯৪টি মামলা রয়েছে।’ তবে কবে, কখন, কোথায় এবং কী কী অভিযোগে এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি ইমরান খান। তিনি বলেছেন, তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এবং সেনাবাহিনী তাকে যেকোনো মূল্যে আগামী জাতীয় নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে চায়। ইমরান বলেন, ‘আমার জীবন এখন আগের চেয়ে আরও বেশি হুমকির মুখে।’