২৭ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাক গ্র্যান্ড মুফতি রাফির ইন্তেকাল

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২২, রবিবার
  • / 114

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ পাকিস্তানের যশস্বী আলেম গ্র্যান্ড মুফতি আল্লামা রাফি উসমানি ইন্তেকাল করেছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় করাচিতে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তিনি বেশ কয়েক মাস ধরে অসুস্থ ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই সর্বস্তরের মানুষ শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে শুরু করে। শনিবার দারুল উলুম করাচি প্রাঙ্গণে অবস্থিত কবরস্থানে তার নামাযে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
রাফি উসমানি ১৯৩৬ সালের ২১ জুলাই ভারতের দেওবন্দ শহরের উসমানি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। প্রখ্যাত আলেম ও বুজুর্গ আশরাফ আলি থানভি তার নাম মুহাম্মদ রাফি রাখেন। তার পিতা মুহাম্মদ শফি ছিলেন দারুল উলুম দেওবন্দের গ্র্যান্ড মুফতি এবং পাকিস্তান আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব।

পরবর্তী সময়ে তিনি পাকিস্তানের গ্রান্ড মুফতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। রাফি উসমানির ছোট ভাই তাকি উসমানি একজন প্রখ্যাত ইসলামি ব্যক্তিত্ব এবং পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। মুফতি রাফি উসমানি পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় বিদ্যাপিঠ জামিয়া দারুল উলুম করাচির পরিচালক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা হাজারো আলেম তার ছাত্র। তিনি বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থেরও লেখক। তাঁকে পাকিস্তানের নেতৃস্থানীয় পণ্ডিতদের মধ্যে গণ্য করা হতো।

আরও পড়ুন: ড. মুনকির হোসেনের ইন্তেকাল

আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় দিনক্ষণ পরিবর্তন

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পাক গ্র্যান্ড মুফতি রাফির ইন্তেকাল

আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২২, রবিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ পাকিস্তানের যশস্বী আলেম গ্র্যান্ড মুফতি আল্লামা রাফি উসমানি ইন্তেকাল করেছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় করাচিতে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তিনি বেশ কয়েক মাস ধরে অসুস্থ ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই সর্বস্তরের মানুষ শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে শুরু করে। শনিবার দারুল উলুম করাচি প্রাঙ্গণে অবস্থিত কবরস্থানে তার নামাযে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
রাফি উসমানি ১৯৩৬ সালের ২১ জুলাই ভারতের দেওবন্দ শহরের উসমানি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। প্রখ্যাত আলেম ও বুজুর্গ আশরাফ আলি থানভি তার নাম মুহাম্মদ রাফি রাখেন। তার পিতা মুহাম্মদ শফি ছিলেন দারুল উলুম দেওবন্দের গ্র্যান্ড মুফতি এবং পাকিস্তান আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব।

পরবর্তী সময়ে তিনি পাকিস্তানের গ্রান্ড মুফতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। রাফি উসমানির ছোট ভাই তাকি উসমানি একজন প্রখ্যাত ইসলামি ব্যক্তিত্ব এবং পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। মুফতি রাফি উসমানি পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় বিদ্যাপিঠ জামিয়া দারুল উলুম করাচির পরিচালক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা হাজারো আলেম তার ছাত্র। তিনি বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থেরও লেখক। তাঁকে পাকিস্তানের নেতৃস্থানীয় পণ্ডিতদের মধ্যে গণ্য করা হতো।

আরও পড়ুন: ড. মুনকির হোসেনের ইন্তেকাল

আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় দিনক্ষণ পরিবর্তন