গোসাবাতে কোন রকমে সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে প্রাণে বাঁচলেন যাত্রীরা
- আপডেট : ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 157
কুতুব উদ্দিন মোল্লা : সুন্দরবনের গোসাবা ব্লক। গোসাবা ব্লকের বিভিন্ন দ্বীপের মানুষজন এক দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপে যাতায়াত করেন খেয়া পারাপারের মধ্য দিয়ে। ঠিক তেমনই খেয়া রয়েছে গদখালি-গোসাবা। যেখানে প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষজন খেয়া পারাপারের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করেন।
এছাড়াও সুন্দরবনের উল্লেখযোগ্য খোয়াঘাট গুলোর মধ্যে অন্যতম ‘গদখালি-গোসাবা’। বিগত কয়েকমাস আগে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে ডুবতে বসেছিল খেয়া পারাপারের ভুটভুটি। সে যাত্রায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন যাত্রীরা। সোমবার বিকালে বিদ্যাধরী নদীতে তখন ভাটা চলছিল। গদখালি-গোসাবা’র খেয়া চলাচল ছিল অব্যাহত। গোসাবা থেকে যাত্রী বোঝাই একটি খেয়া ভুটভুটি গদখালিতে আসছিল।
আচমকা যাত্রী বোঝাই খেয়া ভুটভুটি বিদ্যাধরী নদীর মাঝে চড়ায় আটকে যায়। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে যাত্রীবাহী ভুটভুটি। সাধারণ যাত্রীরা নদী বক্ষে ভুটভুটির মধ্যে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেকেই প্রাণ বাঁচাতে মরিয়া হয়ে ভুটভুটি থেকে নদীতে ঝাঁপ দেয়। ভাটার সময় এমন দুর্ঘটনায় নদীর স্রোত ছিল প্রবল। নদী বক্ষে থাকা অন্যান্য ভুটভুটির মাঝিদের নজরে আসে এমন ঘটনা। তাঁরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দুর্ঘটনাগ্রস্থ ভুটভুটির কাছে দ্রূততার সাথে পৌঁছে যায়।
আতঙ্কিত যাত্রীদের কে উদ্ধারের কাজে হাত লাগায়।সকলকেই অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেন। অভিশপ্ত ভুটভুটির যাত্রীদের দাবী, নদীতে ভাটা চলছিল। ভুটভুটিতে অতিরিক্ত যাত্রী তোলার জন্য এমন ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা আরো জানিয়েছেন, এদিন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অনেকেরই সলিল সমাধি ঘটে যেত বিদ্যাধরী নদীবক্ষে। বরাত জোরে সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরেছেন।’





















































