০৪ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দূষণ বাড়ছে কলকাতায়

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৫ ডিসেম্বর ২০২২, সোমবার
  • / 95

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: গত কয়েক বছরের পর এবারের কালীপুজা ও দিপাবলীতে  কমেছিল দূষণ। স্বাভাবিকভাবেই খুশি হয়েছিলেন কলকাতাবাসী। তবে শীত আসতেই, শহরে শুরু হল দূষণ বাড়ার ঘটনা। ন্যাশনাল এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের মাপ অনুযায়ী, বালিগঞ্জ, ভিক্টোরিয়া, ফোর্ট উইলিয়াম, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর, রবীন্দ্র সরোবর এলাকায় দূষণের পরিমাপ অনেকটাই বেশি। বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্ম ধূলিকণার এই বেড়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তায় পরিবেশবিদ ও চিকিৎসকরা। এ নিয়ে পরিবেশবিদ সোমেন্দ্র মোহন ঘোষ জানিয়েছেন, এটা কিন্তু খুবই উদ্বেগজনক পরিস্থিতি, এটা নিয়ন্ত্রণ করা এখনই জরুরি।

 

আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর মুখে প্রধানমন্ত্রীর কলকাতা সফর উপলক্ষ্যে একাধিক রাস্তায় নিষেধাজ্ঞা জারি লালবাজারের

বোস ইনস্টিটিউটের এক গবেষণাপত্র বলছে,  পশ্চিমবঙ্গে ২০২৩ সালে এরোসেল দূষণ ৮  শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। বোস ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ২০২৩ সালে রাজ্যে এরোসল দূষণ ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। দূষণ-মানচিত্রে পশ্চিমবঙ্গ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অর্থাৎ রেড জোনে ঢুকে পড়বে।

আরও পড়ুন: কলকাতা ও মিজোরাম রেলপথ দ্বারা খুব শীঘ্রই সংযোগ হতে চলেছে

 

আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহে কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সঙ্গে থাকছেন অজিত ডোভাল ও রাজনাথ সিং

কলকাতার বোস ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং গবেষক মনামী দত্তের গবেষণাপত্রে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের এরোসল দূষণ নিয়ে ভবিষ্যতের কী হতে চলেছে তা বলা হয়েছে। গবেষণায় আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, এরোসল পলিউশনের মাত্রা পশ্চিমবঙ্গে ২০২৩ এর মধ্যে ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। যা এওডি’তে দাঁড়াবে ০.৭৫ শতাংশ। এরোসল অপটিক্যাল ডেপ্থ-এর মাত্রা যদি শূন্য থেকে একের মধ্যে থাকে তাহলে স্বচ্ছ পরিষ্কার আকাশ দেখা যায়। আর যদি একের বেশি হয় তাহলে আকাশ ঘোলাটে হয়।

 

মনামী দত্ত বলেন, যানবাহন থেকে তৈরি হওয়া দূষণ কমার প্রধান কারণ হতে পারে ইউরো-ফোর গাড়ি রাস্তায় নামানো এবং পুরনো ইঞ্জিনের গাড়িগুলোকে আপগ্রেড করা। একইসঙ্গে ১৫ বছরের বেশি পুরনো গাড়ি চলাচল নিরপরা নিষেধাজ্ঞা জারি করা বড় কারণ। পশ্চিমবঙ্গের প্রধান শহরগুলির রাস্তার পাশের বেআইনিভাবে তৈরি হওয়া খাবারের দোকান বা রেস্টুরেন্টে চিরাচরিত জ্বালানি আধিক্য বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। তাই দূষণ নিয়ে ভয়ের কারণ রয়েছে বলেও সতর্ক করছেন বিজ্ঞানীরা।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দূষণ বাড়ছে কলকাতায়

আপডেট : ৫ ডিসেম্বর ২০২২, সোমবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: গত কয়েক বছরের পর এবারের কালীপুজা ও দিপাবলীতে  কমেছিল দূষণ। স্বাভাবিকভাবেই খুশি হয়েছিলেন কলকাতাবাসী। তবে শীত আসতেই, শহরে শুরু হল দূষণ বাড়ার ঘটনা। ন্যাশনাল এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের মাপ অনুযায়ী, বালিগঞ্জ, ভিক্টোরিয়া, ফোর্ট উইলিয়াম, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর, রবীন্দ্র সরোবর এলাকায় দূষণের পরিমাপ অনেকটাই বেশি। বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্ম ধূলিকণার এই বেড়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তায় পরিবেশবিদ ও চিকিৎসকরা। এ নিয়ে পরিবেশবিদ সোমেন্দ্র মোহন ঘোষ জানিয়েছেন, এটা কিন্তু খুবই উদ্বেগজনক পরিস্থিতি, এটা নিয়ন্ত্রণ করা এখনই জরুরি।

 

আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর মুখে প্রধানমন্ত্রীর কলকাতা সফর উপলক্ষ্যে একাধিক রাস্তায় নিষেধাজ্ঞা জারি লালবাজারের

বোস ইনস্টিটিউটের এক গবেষণাপত্র বলছে,  পশ্চিমবঙ্গে ২০২৩ সালে এরোসেল দূষণ ৮  শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। বোস ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ২০২৩ সালে রাজ্যে এরোসল দূষণ ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। দূষণ-মানচিত্রে পশ্চিমবঙ্গ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অর্থাৎ রেড জোনে ঢুকে পড়বে।

আরও পড়ুন: কলকাতা ও মিজোরাম রেলপথ দ্বারা খুব শীঘ্রই সংযোগ হতে চলেছে

 

আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহে কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সঙ্গে থাকছেন অজিত ডোভাল ও রাজনাথ সিং

কলকাতার বোস ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং গবেষক মনামী দত্তের গবেষণাপত্রে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের এরোসল দূষণ নিয়ে ভবিষ্যতের কী হতে চলেছে তা বলা হয়েছে। গবেষণায় আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, এরোসল পলিউশনের মাত্রা পশ্চিমবঙ্গে ২০২৩ এর মধ্যে ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। যা এওডি’তে দাঁড়াবে ০.৭৫ শতাংশ। এরোসল অপটিক্যাল ডেপ্থ-এর মাত্রা যদি শূন্য থেকে একের মধ্যে থাকে তাহলে স্বচ্ছ পরিষ্কার আকাশ দেখা যায়। আর যদি একের বেশি হয় তাহলে আকাশ ঘোলাটে হয়।

 

মনামী দত্ত বলেন, যানবাহন থেকে তৈরি হওয়া দূষণ কমার প্রধান কারণ হতে পারে ইউরো-ফোর গাড়ি রাস্তায় নামানো এবং পুরনো ইঞ্জিনের গাড়িগুলোকে আপগ্রেড করা। একইসঙ্গে ১৫ বছরের বেশি পুরনো গাড়ি চলাচল নিরপরা নিষেধাজ্ঞা জারি করা বড় কারণ। পশ্চিমবঙ্গের প্রধান শহরগুলির রাস্তার পাশের বেআইনিভাবে তৈরি হওয়া খাবারের দোকান বা রেস্টুরেন্টে চিরাচরিত জ্বালানি আধিক্য বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। তাই দূষণ নিয়ে ভয়ের কারণ রয়েছে বলেও সতর্ক করছেন বিজ্ঞানীরা।