০৬ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী ড. সিদ্দিকীর ইন্তেকাল, শোকজ্ঞাপন বিশিষ্টজনদের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২২ জুলাই ২০২২, শুক্রবার
  • / 48

SONY DSC

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ ভারতের বিখ্যাত এনথ্রোপলজিস্ট ড. খলিল আব্বাস সিদ্দিকী বুধবার গভীর রাতে ইন্তেকাল করেছেন তাঁর কলকাতার বাসভবনে। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইল্লাহি রাজিউন)।

দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ ছিলেন ডা. সিদ্দিকী। এসিয়াটিক সোসাইটির রিসার্চ প্রফেসরের দায়িত্ব শেষ করে তিনি যুক্ত হয়েছিলেন দিল্লির প্রখ্যাত গবেষণা সংস্থা ইনস্টিটিউট অব অবজেকটিভ স্টাডিজ-এর সঙ্গে। এই সংস্থার কলকাতা শাখার দায়িত্বশীল ছিলেন দীর্ঘ সময় ধরে। তাঁর ইন্তেকালে গভীর শোক জ্ঞাপন করেছেন আইওএস-এর চেয়ারম্যান ড. মনজুর আলমসহ ভারতের বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ।

আরও পড়ুন: প্রয়াত ঐতিহাসিক রণজিৎ গুহ, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

ডা. সিদ্দিকীর জন্ম ১৯২৯ সালে। তিনি সোসিয়োলজিতে এমএ করার পর এনথ্রোপলজিতে পিএইচডি করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উর্দুতে মাস্টার্স ডিগ্রি আইন করেন। ভারতের এনথ্রোপলজি সার্ভের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। ১৯৮৮ সালে তিনি সিনিয়র ফেলোশিপ পুরস্কার পান আইসিএসএসআর থেকে। আদিবাসী উপজাতি ও প্রান্তিকজনদের উপর তাঁর রিসার্চ এক সময় যথেষ্ট সাড়া ফেলেছিল দেশে। তাঁর বিখ্যাত বই ‘হিন্দুস্তানকে আদিবাসী’ সহ অসংখ্য বই লিখেছেন তিনি। তাঁর বই ‘মুসলিমস অব ক্যালকাটা’ দ্য দীদায়ী, ফরগোটেন ট্রাইব অব ওড়িশা, ইন্টারকাস্ট ও ‘ইন্টার কমিউনিটি রিলেশনস’ সাড়া ফেলেছিল বিদ্বজন ও সুধী সমাজে। ২০১২ সালে তাঁকে আইওএস শাহ ওয়ালিউল্লাহ পুরস্কারে ভূষিত করেছিল তাঁর সোশ্যাল এনথ্রোপলজি ও ইসলামি গবেষণার জন্য। আইওএস-এর চেয়ারম্যান সহ এই সংস্থার সমস্ত শাখা ও সংশ্লিষ্ট বিশিষ্টজনদের তরফ থেকে শোকজ্ঞাপন করা হয়েছে। আল্লাহ যেন তাঁর কাজের জন্য তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউসে স্থান দান করেন এই দোয়ার সঙ্গে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সবর দানের জন্য আল্লাহ সুবহানুতায়ালার কাছে প্রার্থনা জানিয়েছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: কাশ্মীরের পুলওয়ামায় টার্গেট কিলিং! নিহত কাশ্মীর পণ্ডিত, শোকজ্ঞাপন ওমর আবদুল্লার  

এক শোকবার্তায় সাবেক সাংসদ ও পুবের কলম-এর সম্পাদক আহমদ হাসান ইমরান মরহুম ড. এম কে সিদ্দিকী সাহেবের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, ড. সিদ্দিকী ছিলেন একজন বিশিষ্ট লেখক ও বুদ্ধিজীবী। প্রান্তিক গোষ্ঠীসমূহ আদিবাসী এবং বিশেষ করে মুসলিম সমাজের আর্থ-সামাজিক ও শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য তিনি শুধু গবেষণামূলক পুস্তকই প্রণয়ন-ই করেননি বরং নিজেও ব্যক্তিগতভাবে সমাজসেবামূলক কাজ করেছেন। বিভিন্ন সংস্থাকে অনুপ্রাণিত করেছেন। তাঁর অবদান মানুষ মনে রাখবে। ইনষ্টিটিউট অফ অবজেক্টিভ স্টাডিজের হয়ে তিনি বিভিন্ন গবেষনামূলক কার্যক্রম ও সেমিনারে অংশ নেন। তাঁর ইন্তেকালে কলকাতা ও ভারতের বুদ্ধিবৃত্তিমূলক কাজে এক বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি হল।

আরও পড়ুন: যতকান্ড গুজরাতে, পথ দুর্ঘটনায় নিহত হলেন ৯জন ,শোকপ্রকাশ শাহর

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী ড. সিদ্দিকীর ইন্তেকাল, শোকজ্ঞাপন বিশিষ্টজনদের

আপডেট : ২২ জুলাই ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ ভারতের বিখ্যাত এনথ্রোপলজিস্ট ড. খলিল আব্বাস সিদ্দিকী বুধবার গভীর রাতে ইন্তেকাল করেছেন তাঁর কলকাতার বাসভবনে। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইল্লাহি রাজিউন)।

দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ ছিলেন ডা. সিদ্দিকী। এসিয়াটিক সোসাইটির রিসার্চ প্রফেসরের দায়িত্ব শেষ করে তিনি যুক্ত হয়েছিলেন দিল্লির প্রখ্যাত গবেষণা সংস্থা ইনস্টিটিউট অব অবজেকটিভ স্টাডিজ-এর সঙ্গে। এই সংস্থার কলকাতা শাখার দায়িত্বশীল ছিলেন দীর্ঘ সময় ধরে। তাঁর ইন্তেকালে গভীর শোক জ্ঞাপন করেছেন আইওএস-এর চেয়ারম্যান ড. মনজুর আলমসহ ভারতের বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ।

আরও পড়ুন: প্রয়াত ঐতিহাসিক রণজিৎ গুহ, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

ডা. সিদ্দিকীর জন্ম ১৯২৯ সালে। তিনি সোসিয়োলজিতে এমএ করার পর এনথ্রোপলজিতে পিএইচডি করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উর্দুতে মাস্টার্স ডিগ্রি আইন করেন। ভারতের এনথ্রোপলজি সার্ভের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। ১৯৮৮ সালে তিনি সিনিয়র ফেলোশিপ পুরস্কার পান আইসিএসএসআর থেকে। আদিবাসী উপজাতি ও প্রান্তিকজনদের উপর তাঁর রিসার্চ এক সময় যথেষ্ট সাড়া ফেলেছিল দেশে। তাঁর বিখ্যাত বই ‘হিন্দুস্তানকে আদিবাসী’ সহ অসংখ্য বই লিখেছেন তিনি। তাঁর বই ‘মুসলিমস অব ক্যালকাটা’ দ্য দীদায়ী, ফরগোটেন ট্রাইব অব ওড়িশা, ইন্টারকাস্ট ও ‘ইন্টার কমিউনিটি রিলেশনস’ সাড়া ফেলেছিল বিদ্বজন ও সুধী সমাজে। ২০১২ সালে তাঁকে আইওএস শাহ ওয়ালিউল্লাহ পুরস্কারে ভূষিত করেছিল তাঁর সোশ্যাল এনথ্রোপলজি ও ইসলামি গবেষণার জন্য। আইওএস-এর চেয়ারম্যান সহ এই সংস্থার সমস্ত শাখা ও সংশ্লিষ্ট বিশিষ্টজনদের তরফ থেকে শোকজ্ঞাপন করা হয়েছে। আল্লাহ যেন তাঁর কাজের জন্য তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউসে স্থান দান করেন এই দোয়ার সঙ্গে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সবর দানের জন্য আল্লাহ সুবহানুতায়ালার কাছে প্রার্থনা জানিয়েছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: কাশ্মীরের পুলওয়ামায় টার্গেট কিলিং! নিহত কাশ্মীর পণ্ডিত, শোকজ্ঞাপন ওমর আবদুল্লার  

এক শোকবার্তায় সাবেক সাংসদ ও পুবের কলম-এর সম্পাদক আহমদ হাসান ইমরান মরহুম ড. এম কে সিদ্দিকী সাহেবের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, ড. সিদ্দিকী ছিলেন একজন বিশিষ্ট লেখক ও বুদ্ধিজীবী। প্রান্তিক গোষ্ঠীসমূহ আদিবাসী এবং বিশেষ করে মুসলিম সমাজের আর্থ-সামাজিক ও শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য তিনি শুধু গবেষণামূলক পুস্তকই প্রণয়ন-ই করেননি বরং নিজেও ব্যক্তিগতভাবে সমাজসেবামূলক কাজ করেছেন। বিভিন্ন সংস্থাকে অনুপ্রাণিত করেছেন। তাঁর অবদান মানুষ মনে রাখবে। ইনষ্টিটিউট অফ অবজেক্টিভ স্টাডিজের হয়ে তিনি বিভিন্ন গবেষনামূলক কার্যক্রম ও সেমিনারে অংশ নেন। তাঁর ইন্তেকালে কলকাতা ও ভারতের বুদ্ধিবৃত্তিমূলক কাজে এক বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি হল।

আরও পড়ুন: যতকান্ড গুজরাতে, পথ দুর্ঘটনায় নিহত হলেন ৯জন ,শোকপ্রকাশ শাহর