আদানি ইস্যুতে রাহুলের আক্রমণ, সংসদে পাল্টা জবাব মোদির, দেখে নিন একনজরে
ইমামা খাতুন
- আপডেট :
৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বুধবার
- / 14
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: আদানি বিতর্কের মধ্যেই সংসদে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী। সংসদে মোদির ভাষণের শুরুতেই হইহট্টগোল বিরোধীদের। দেখে নিন একনজরে কি কি বললেন প্রধানমন্ত্রী
১) রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা নিয়ে আলোচনা, জবাবি ভাষণ প্রধানমন্ত্রীর
২)কাল একজন বড় নেতা রাষ্ট্রপতির অপমান করেছেন। রাষ্ট্রপতির বক্তৃতার সময় তাঁকে অপমান করেছেন। নিজের রুচি অনুযায়ী মন্তব্য করেছেন।
৩) রাষ্ট্রপতি ভাষণে বলেছেন, ভারত আগে অন্যের ওপর নির্ভর ছিল। আর এখন সময় বদলেছে। ভারত এখন অন্যের সমস্যার সমাধান করছে।
৪) বড় বড় দুর্নীতি থেকে মুক্তি চাইত দেশ। আজ তা থেকে মুক্তি পেয়েছে দেশ। তবে কয়েকজনের বক্তব্যের পর পুরো ইকো সিস্টেম নড়ে গেছে।
৫) দেশে আজ দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গোটা বিশ্ব আজ ভারতকে ভরসা করে। আর্থিক বৃদ্ধিতে গোটা বিশ্বে পঞ্চম স্থানে ভারত।
৬) দেশের অর্থনীতিতে আজ স্থিতাবস্থা, স্থিতিশীল সরকার।
৭ ) জি ২০ সম্মেলনে ভারতের সভাপতিত্ব গর্বের বিষয়।
৮ ) ১৫০ বেশি দেশকে করোনা আবহের সংকটকালে মেডিসিন, ভ্যাকসিন দিয়ে সাহায্য করেছে ভারত।
৯) এত সাফল্যের মধ্যে কিছু লোকের দুঃখ হচ্ছে। ৯ বছরে ৯০ হাজার স্টার্ট আপ হয়েছে দেশে। নিরাশাই ডুবে থাকা কিছু লোক ভাল কাজ দেখতেই পায় না। যার যেমন ভাবনা সে তেমন দেখে। এই নিরাশার নেপথ্যেও কিছু কারণ আছে। নাম না করে কংগ্রেস নেতাকে তোপ দাগলেন মোদি।
১০) ২০০৪-২০১০, দশ বছরে ভারতে অর্থনীতির হাল শোচনীয় ছিল। মূল্যবৃদ্ধির হার দুই অঙ্কে পৌঁছেছিল এই ২০০৪-২০১০ দশ বছরের মধ্যে। দেশের সর্বত্রে আশার আলো, অথচ কিছু মানুষ এখনও হতাশায় ডুবে আছেন
১১) আজ ইউপিএ-র পরিচয়, প্রতিটা সুযোগকে সমস্যায় পরিণত করেছে। আগে দেশে একের পর এক জঙ্গি হামলা হয়েছে। ২০০৪-২০১০ এই কয়েক বছরে দেশে অনেক নিরীহ মানুষ জঙ্গি হামলায় প্রাণ দিয়েছেন। আজ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে লড়াই করা হয়।
১২) গণতন্ত্রে সমালোচনা দরকার। কিন্তু দশ বছরে শুধুই অভিযোগ আর অভিযোগ বিরোধীদের। গঠনমূলক সমালচনার পরিবর্তে শুধুই গালিগালাজ।
১৩) ইউপিএ জামানায় কেউ সুরক্ষিত ছিলেন না। কাশ্মীর থেকে কন্যা কুমারী জঙ্গি হামলা হত। নাম না করে কংগ্রেস জামানাকে কটাক্ষ মোদির।
১৪) স্বাধীনতা উত্তর ভারতে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি ২০০৪ থেকে ২০১৪ মধ্যে।
১৫) সেনাকে গালি, কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে গালি, আরবিআই কে গালি। তবে ইডিকে ধন্যবাদ জানানো দরকার বিরোধীদের। ভোটাররা যা করতে পারেননি, তা ইডি করে দেখিয়ে দিয়েছে। আদানি উত্তাপের মাঝেই বিরোধীদের নিশানা মোদির। ইডি আজ বিরোধীদের এক বেঞ্চে এনে দিয়েছে।
১৬) আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে কোটি কোটি ভারত দেশ বাসী উপকৃত হয়েছে। অনেকে ভাবেন মোদিকে গালি দিলেই রাস্তা মিলবে। মনে রাখবেন মোদির ওপর ভরসা দেশবাসীর । মোদি ২৫ কোটি পরিবারের জন্য কাজ করেন। মোদির বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করে লাভ নেই। কিছু লোক, নিজের জন্য, পরিবারের স্বার্থে কাজ করেন।গরীব দেশবাসী রেশনের সুবিধা পাচ্ছেন।আর কিছু লোক নিজের আর নিজের পরিবারের কথা ভাবছেন। মোদি সমগ্র দেশবাসীর পরিবারকে নিয়ে ভাবে। ১৪০ কোটি দেশবাসীর ভরসাই আমার সুরক্ষাকবচ।
১৭) ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি দেশের সামর্থ্যকে অনেক সময় বিপদে ফেলেছে। কেন্দ্রের সরকার মধ্যবিত্তের সততাকে বুঝতে পেরেছে।
১৮) ব্রিটিশরা রেলকে যে অবস্থায় ছেড়ে গিয়েছিল, তারপর থেকে বেশি কিছু হয়নি।আগে প্রায় রেল দুর্ঘটনা হত, ট্রেন মানেই ছিল লেট। এখন চিত্র বদলেছে। এছাড়া ৭০ বছরে ৭০ টি বিমানবন্দর, ৯ বছরে ৭০ টি বিমানবন্দর।
১৯) যারা এক সময় শাসক বেঞ্চে বসতো, বিরোধী বেঞ্চে তাঁরা আজ ব্যর্থ।