আইআইটিতে এত আত্মহত্যা কেন? সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে কর্তৃপক্ষ

- আপডেট : ২৮ জুলাই ২০২৫, সোমবার
- / 23
পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: এবার পড়ুয়াদের আত্মহত্যার ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়লেন আইআইটি খড়্গপুর কর্তৃপক্ষ। কেন পড়ুয়ারা আত্মহত্যা করছেন, কী সমস্যা রয়েছে আইআইটি খড়্গপুরে? তা নিয়ে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের। বলা বাহুল্য, দেশে উদ্বেগজনকহারে বাড়ছে পড়ুয়া আত্মহত্যার ঘটনা । স্কুল-কলেজে আশানুরূপ ফলাফল না হওয়া, বাবা-মায়ের চাপে অপছন্দের কোনও বিষয় বেছে নেওয়া, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব়্যাগিংয়ের শিকার, অর্থনৈতিক চাপ, সামাজিক বৈষম্য, সম্পর্কজনিত সমস্যা, ‘কারণ একগুচ্ছ’। যার নিট ফল — দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে পড়ুয়াদের আত্মহত্যার ঘটনা বেড়ে যাওয়া। পড়ুয়া আত্মহত্যার ঘটনায় বেশ কয়েকদিন ধরে শিরোনামে রয়েছে দেশের অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আই আই টি খড়্গপুর। জল গড়ায় শীর্ষ কোর্ট পর্যন্ত।
আই আই টিতে যেভাবে একের পর এক ছাত্র আত্মঘাতী হচ্ছেন তাতে বিরক্ত হন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা। সোমবার বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি আর মহাদেবন এর এক বেঞ্চ প্রশ্ন তুলেছে, খড়গপুর আই আই টিতে কোথায় গোলমাল? কেন এত ছাত্র আত্মঘাতী হচ্ছেন? কর্তৃপক্ষ কি বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভেবে দেখেছেন কখনও?
তখন ওই প্রতিষ্ঠানের আইনজীবী বলেন, হ্যাঁ স্যার, বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দিয়েই ভাবছেন। তাই ১০ বিশেষজ্ঞকে নিয়ে এক কমিটি গড়া হয়েছে। একটি কাউন্সেলিং সেন্টারও গড়া হয়েছে। সেখানে যেসব ছাত্র অবসাদে ভুগছেন তাঁদের চিহ্নিত করা হয়। তাঁদের একটি হেল্পলাইন (ফোন নম্বর) দেওয়া হয়েছে, যেখানে তাঁরা যে কোনও সময়ে ফোন করতে পারেন। সাম্প্রতিক ঘটনার পর এফ আই আর করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য, খড়্গপুর আই আই টি এবং বেসরকারি শারদা ইউনিভার্সিটিতে একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়ে চলায় সুপ্রিম কোর্ট স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে একটি মামলা করে। সেই মামলার এদিন শুনানি ছিল। শুনানিতে দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। সেইমতোই দুই প্রতিষ্ঠানের কৌঁসুলিরা হাজির ছিলেন।
বিচারপতিরা বলেন, আমরা যতটুকু জেনেছি, শারদা ইউনিভার্সিটির ঘটনার পর মৃত ছাত্রের বাবা এফ আই আর করেন। তদন্ত চলছে, চলুক। আর খড়্গপুরের ক্ষেত্রে আত্মহত্যার ৩০ মিনিটের মধ্যে ম্যানেজমেন্ট ঘটনার কথা জানতে পারে এবং পুলিশের দ্বারস্থ হন। দুটি ক্ষেত্রেই তদন্ত যেমন চলছে চলুক। অন্যদিকে দিল্লি আই আই টিতে এক ছাত্র গত ৪ জুন আত্মঘাতী হন। কর্তৃপক্ষ এখনও এফ আই আর করেনি। সেখানেও নোটিশ পাঠানো হবে। আর এই মামলা পুলিশের তদন্ত এর অগ্রগতি কী হল তা জেনে চার সপ্তাহ পর ফের শুনানি হবে।
ভারতজুড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ক্রমবর্ধমান ছাত্র আত্মহত্যায় আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এই অবস্থায় পড়ুয়াদের আত্মহত্যা প্রবণতা কমাতে ১৫টি জরুরি নির্দেশিকা বা ‘গাইডলাইন’ ও প্রকাশ করেছিল তারা।