গ্রহাণুর আঘাত থেকে পৃথিবীকে বাঁচাতে গবেষণা বিজ্ঞানীদের

- আপডেট : ১ জুলাই ২০২২, শুক্রবার
- / 14
বিশেষ প্রতিবেদনঃ কোটি কোটি বছর আগে মহাকাশ থেকে ধেয়ে আসা কোনও এক গ্রহাণুর আঘাতে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল ডাইনোসররা। পৃথিবীতে আবারও সেরকম গ্রহাণু আঘাত হানার সম্ভাবনা দেখছেন বিজ্ঞানীরা। বলা হচ্ছে, ভবিষ্যতে এমনটা হলে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে বহু সভ্যতা, ধ্বংস হবে পরিবেশ। এ কারণেই সতর্কতা অবলম্বন করছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা এখন থেকেই গ্রহাণুর আঘাত থেকে পৃথিবীকে বাঁচানোর বিভিন্ন উপায় খুঁজতে গবেষণা শুরু করেছেন। প্রায় ৪.৬ বিলিয়ন বছর আগে আমাদের সৌরজগতের গঠন থেকে অবশিষ্ট থাকা গ্রহাণুগুলির ওপর অধ্যয়ন অব্যাহত রয়েছে যেগুলি পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে, রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদ ৩০ জুনকে আন্তর্জাতিক গ্রহাণু দিবস ঘোষণার মাধ্যমে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল, যার লক্ষ্য হল গ্রহাণুর প্রভাবের ঝুঁকি সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং একটি সংকটের ক্ষেত্রে জনসাধারণকে অবহিত করা। গ্রহের চেয়ে ছোট, সৌরজগতের বেশিরভাগ গ্রহাণু বৃহস্পতি এবং মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথের মধ্যে অবস্থিত। কিন্তু তাদের মধ্যে কিছু কক্ষপথ ছেড়ে বেরিয়ে এসে পৃথিবীর কক্ষপথে প্রবেশ করতে পারে। গত বছরের নভেম্বরে, মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা একটি মহাকাশযান উৎক্ষেপণের মাধ্যমে একটি গ্রহ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পরীক্ষামূলক মিশন শুরু করে। একটি মহাকাশযান দিয়ে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা গ্রহাণুর গতিপথ পরিবর্তন করাই ছিল পরীক্ষার উদ্দেশ্য। পরীক্ষাটির নাম দেওয়া হয়, ডবল অ্যাস্টেরয়েড রিডিরেকশন টেস্ট (ডার্ট)। এই ডার্ট পরীক্ষাটি ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যানডেনবার্গ স্পেস ফোর্স ঘাঁটি থেকে স্পেস এক্সের রকেটে করে চালানো হয়।