মহাসচিবের দৌড়ে সাত নারী, ইতিহাস গড়ার পথে রাষ্ট্রসংঘ?
- আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৫, শুক্রবার
- / 97
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ২০২৬ সালের শেষে বর্তমান মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর কে হবেন রাষ্ট্রসংঘের পরবর্তী প্রধান; তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে জল্পনা তীব্র হয়েছে। যদিও মহাসচিব নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি, তবুও বেশ কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যে তাদের পছন্দের প্রার্থীর নাম ঘোষণা বা ইঙ্গিত দিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের অনানুষ্ঠানিক আঞ্চলিক আবর্তন নীতি অনুসারে, পরবর্তী মহাসচিব লাতিন আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলথেকে নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই নিয়মকে কেন্দ্র করে একাধিক প্রভাবশালী নারী প্রার্থীর নাম জোরালোভাবে উঠে আসায় বিশ্ব সংস্থাটি কি তার ইতিহাসে প্রথম কোনও নারী মহাসচিব পেতে চলেছে, সেই প্রশ্নও উঠেছে।
এই গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার দৌড়ে থাকা সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তিত্বদের মধ্যে অন্যতম হলেন মিশেল ব্যাশেলেট, যিনি চিলির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এবং রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রাক্তন হাইকমিশনার। চিলি সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর নাম মনোনয়নের ঘোষণা দিয়েছে। একই অঞ্চল থেকে আরও একজন শক্তিশালী প্রার্থী হলেন রেবেকা গ্রিনস্প্যান, যিনি কোস্টা রিকার প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমানে ইউএন কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-এর সেক্রেটারি-জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন; কোস্টা রিকা তাঁর মনোনয়ন নিশ্চিত করেছে।
এছাড়াও, বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মোটলি এবং আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার মহাপরিচালক, আর্জেন্টিনার অভিজ্ঞ কূটনীতিক রাফায়েল গ্রোসিও এই পদের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বলিভিয়া তাদের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেভিড চোকুয়েহুয়ানকা-কে মনোনীত করেছে। অন্যদিকে, আইএমএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা এবং নাইজেরিয়ার ডেপুটি সেক্রেটারি-জেনারেল আমিনা জে. মুহাম্মেদের নামও জল্পনায় রয়েছে। পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এই নির্বাচন কেবল একজন নেতা বাছাই নয়, বরং বহুপাক্ষিক বিশ্ব ব্যবস্থার ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। তবে, চূড়ান্ত মহাসচিব নির্বাচনের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্য দেশের সমর্থন (ভেটো ক্ষমতা) লাভ করা প্রার্থীদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে।
















































