উত্তরবঙ্গে টানা বৃষ্টিতে ভয়াবহ বন্যা, জলমগ্ন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক
- আপডেট : ২৯ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 421
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি জেলাগুলিতে লাগাতার বর্ষণে তৈরি হয়েছে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি। রবিবার রাত থেকে দার্জিলিং, কালিম্পং-সহ বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি। সোমবারও অব্যাহত ছিল সেই বৃষ্টিপাত। আজ, মঙ্গলবারও উত্তরবঙ্গজুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) কার্শিয়াংয়ে ৩৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। তিস্তা নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় কালিম্পংয়ের তিস্তাবাজার এলাকায় জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের (NH10) একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
ভারী বৃষ্টির জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ১৭৪ কিমি দীর্ঘ ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের যান চলাচল। এই রাস্তা দার্জিলিং, কালিম্পং ও সিকিমের মতো পর্যটনকেন্দ্রিক শহরগুলিকে সংযুক্ত করে। এখন সমস্ত যানবাহনকে ঘুরপথে পাঠানো হচ্ছে। বর্তমানে গাড়িগুলি লাভা হয়ে কালিম্পং এবং সিকিমের দিকে যাতায়াত করছে। তিস্তাবাজার এলাকার পেশক রোডও জলের তলায়, ফলে দার্জিলিং থেকেও বিকল্প পথেই চলছে যান চলাচল।
দার্জিলিং জেলার হুকার রোড, মানেভঞ্জন-বিজনবাড়ি রোডে ধস নেমেছে। ভেঙে পড়েছে একাধিক বাড়ি। দার্জিলিং শহরের বেশ কিছু অংশে রবিবার রাত থেকে শুরু হয়েছে লোডশেডিং। আজ, মঙ্গলবার ভোরে লোধামায় নতুন করে ধস দেখা দিয়েছে। শুধু তিস্তা নয়, মহানন্দা ও বালাসন নদীর জলস্তরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
বর্তমানে পাহাড়ে পর্যটকের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম, ফলে প্রাণহানির ঝুঁকি কিছুটা কম বলেই মনে করছে প্রশাসন। তবে পরিস্থিতির অবনতি হলে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে ।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এখনই পূর্ণমাত্রায় বর্ষা শুরু হয়নি পাহাড়ে। অগস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হলে বৃষ্টির মাত্রা আরও বাড়তে পারে। বর্তমানে সক্রিয় রয়েছে মৌসুমি অক্ষরেখা। নিম্নচাপ সরে গেলেও এই অক্ষরেখার প্রভাবে ফের প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। প্রশাসনকে ইতিমধ্যেই সতর্ক করা হয়েছে এবং জরুরি পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।



















































