২০ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিশ্ব মুসলিমের ঐক্যের ডাক

ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ গণহত্যা বন্ধ করা মুসলিমদের ধর্মীয় দায়িত্ব: ইরান

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১৬ মে ২০২৫, শুক্রবার
  • / 462

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: গাজায় চলমান ইসরাইলি আগ্রাসনকে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের পার্লামেন্ট স্পিকার মুহাম্মদ বাকের কালিবাফ। ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার ঐতিহাসিক ইস্তিকলাল মসজিদে শুক্রবার নামায শেষে এক ভাষণে তিনি বলেন,‘আজকের দিনে আমাদের ধর্মীয় দায়িত্ব হল একসঙ্গে দাঁড়িয়ে এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা; আমরা এই গণহত্যাকে চলতে দিতে পারি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘গাজার শিশু, নারী এবং রোগীরা আজ আমাদের দিকে চেয়ে আছে। তারা চায় আমরা তাদের পাশে দাঁড়াই, তাদের কণ্ঠস্বর হই। এখন নীরব থাকা কোনও বিকল্প পথ নয়।’

অন্যদিকে, পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন অফ দি ওআইসি মেম্বার স্টেটের ১৯তম উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে   কালিবাফ বলেন, গাজার অবরুদ্ধ অঞ্চলে ইসরায়েল ওষুধ, খাদ্য ও জলের প্রবেশও বন্ধ করে দিয়েছে। বোমা হামলার চেয়ে বড় ভয় এখন ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় মৃত্যু।

আরও পড়ুন: বোমা মারলেও ইরান শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে সরবে না, আমেরিকাকে বার্তা ইরানের বিদেশমন্ত্রীর

তিনি বলেন, ‘ইসরাইল শুধু গাজায় হামলা চালিয়েই থেমে নেই;তারা মানবতা, ইসলাম এবং শিশুদের ভবিষ্যৎকে আক্রমণ করছে।’ কালিবাফের মতে, ইসরাইল হল সেই ‘ক্যানসার টিউমার’ যার কথা ইমাম খোমেনি বলেছিলেন, এবং আজও বিশ্বের স্বাধীনতাকামী মানুষ সেই বার্তার গুরুত্ব উপলব্ধি করছে।

আরও পড়ুন: ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, আইন পাস ইরানের সংসদে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা দখলের মন্তব্যকে  ‘ভ্রান্তিমূলক’ আখ্যা দিয়ে কালিবাফ বলেন, ‘ট্রাম্প এখনও ভ্রান্তির জগতে বাস করছেন। তিনি যেন বুঝতে পারেন; প্রতিরোধ কেবল টিকে আছে নয়, এটি এখন আরও দৃঢ়, আরও সংগঠিত, এবং এটি গোটা অঞ্চলের জনগণের বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে।’

আরও পড়ুন: ইরানের সুন্নি আলেমদের ঐতিহাসিক বিবৃতি: ‘একতার ডাক’ মুসলিম উম্মাহর প্রতি

কালিবাফ বলেন, গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরাইলের দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা বোমাবর্ষণ সত্ত্বেও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রতি জনসমর্থন অটুট রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘লেবাননের সাম্প্রতিক পৌর নির্বাচনে প্রতিরোধপন্থী প্রার্থীদের জয় প্রমাণ করে জনগণ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপের মধ্যেও তাদের অবস্থান থেকে সরেনি। এই অঞ্চলের মানুষ এখন আর হুমকি বা মিথ্যা প্রচারণায় বিভ্রান্ত হয় না। তারা সুস্পষ্টভাবে প্রতিরোধের পথকেই বেছে নিয়েছে।’

কালিবাফ স্পষ্ট করে বলেন, ‘ইরান অতীতেও ফিলিস্তিনের পাশে ছিল, এখনও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। কোনও হুমকি বা আন্তর্জাতিক চাপ আমাদের সেই অবস্থান থেকে সরাতে পারবে না।’

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিশ্ব মুসলিমের ঐক্যের ডাক

ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ গণহত্যা বন্ধ করা মুসলিমদের ধর্মীয় দায়িত্ব: ইরান

আপডেট : ১৬ মে ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: গাজায় চলমান ইসরাইলি আগ্রাসনকে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের পার্লামেন্ট স্পিকার মুহাম্মদ বাকের কালিবাফ। ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার ঐতিহাসিক ইস্তিকলাল মসজিদে শুক্রবার নামায শেষে এক ভাষণে তিনি বলেন,‘আজকের দিনে আমাদের ধর্মীয় দায়িত্ব হল একসঙ্গে দাঁড়িয়ে এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা; আমরা এই গণহত্যাকে চলতে দিতে পারি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘গাজার শিশু, নারী এবং রোগীরা আজ আমাদের দিকে চেয়ে আছে। তারা চায় আমরা তাদের পাশে দাঁড়াই, তাদের কণ্ঠস্বর হই। এখন নীরব থাকা কোনও বিকল্প পথ নয়।’

অন্যদিকে, পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন অফ দি ওআইসি মেম্বার স্টেটের ১৯তম উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে   কালিবাফ বলেন, গাজার অবরুদ্ধ অঞ্চলে ইসরায়েল ওষুধ, খাদ্য ও জলের প্রবেশও বন্ধ করে দিয়েছে। বোমা হামলার চেয়ে বড় ভয় এখন ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় মৃত্যু।

আরও পড়ুন: বোমা মারলেও ইরান শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে সরবে না, আমেরিকাকে বার্তা ইরানের বিদেশমন্ত্রীর

তিনি বলেন, ‘ইসরাইল শুধু গাজায় হামলা চালিয়েই থেমে নেই;তারা মানবতা, ইসলাম এবং শিশুদের ভবিষ্যৎকে আক্রমণ করছে।’ কালিবাফের মতে, ইসরাইল হল সেই ‘ক্যানসার টিউমার’ যার কথা ইমাম খোমেনি বলেছিলেন, এবং আজও বিশ্বের স্বাধীনতাকামী মানুষ সেই বার্তার গুরুত্ব উপলব্ধি করছে।

আরও পড়ুন: ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, আইন পাস ইরানের সংসদে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা দখলের মন্তব্যকে  ‘ভ্রান্তিমূলক’ আখ্যা দিয়ে কালিবাফ বলেন, ‘ট্রাম্প এখনও ভ্রান্তির জগতে বাস করছেন। তিনি যেন বুঝতে পারেন; প্রতিরোধ কেবল টিকে আছে নয়, এটি এখন আরও দৃঢ়, আরও সংগঠিত, এবং এটি গোটা অঞ্চলের জনগণের বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে।’

আরও পড়ুন: ইরানের সুন্নি আলেমদের ঐতিহাসিক বিবৃতি: ‘একতার ডাক’ মুসলিম উম্মাহর প্রতি

কালিবাফ বলেন, গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরাইলের দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা বোমাবর্ষণ সত্ত্বেও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রতি জনসমর্থন অটুট রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘লেবাননের সাম্প্রতিক পৌর নির্বাচনে প্রতিরোধপন্থী প্রার্থীদের জয় প্রমাণ করে জনগণ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপের মধ্যেও তাদের অবস্থান থেকে সরেনি। এই অঞ্চলের মানুষ এখন আর হুমকি বা মিথ্যা প্রচারণায় বিভ্রান্ত হয় না। তারা সুস্পষ্টভাবে প্রতিরোধের পথকেই বেছে নিয়েছে।’

কালিবাফ স্পষ্ট করে বলেন, ‘ইরান অতীতেও ফিলিস্তিনের পাশে ছিল, এখনও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। কোনও হুমকি বা আন্তর্জাতিক চাপ আমাদের সেই অবস্থান থেকে সরাতে পারবে না।’