০৬ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাওড়ায় তুলোর গুদামে ভয়ঙ্কর আগুন

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২, সোমবার
  • / 139

ছবি-প্রীতম কোলে

আইভি আদক, হাওড়াঃ হাওড়ার আলমপুরে জালান কমপ্লেক্সের তুলোর গোডাউনে আগুন। সোমবার বিকেল নাগাদ হাওড়ার আলমপুরের জালান কমপ্লেক্সের একটি তুলোর গোডাউনে বিধ্বংসী আগুন লাগে। গোডাউনের ঠিক উপরেই রয়েছে গেঞ্জির কারখানা। ঘটনায় সময় সেখানে কর্মীরা কাজ করলেও দুর্ঘটনার হাত থেকে সকলেই রক্ষা পান। এদিন ঘটনাস্থলে আসে দমকলের ৬টি ইঞ্জিন।

গেঞ্জি কারখানার কর্মী সইফুদ্দিন খান জানান, আমরা প্রায় কুড়ি জন ওখানে কাজ করেছিলাম।  হঠাৎই নিচের তুলোর গোডাউনে আগুন লাগে। আমরা তড়িঘড়ি নিচে চলে আসি।

আরও পড়ুন: Fire: আনন্দপুরের গুলশান কলোনীতে আগুন

হাওড়ায় তুলোর গুদামে ভয়ঙ্কর আগুন

আরও পড়ুন: হুগলির উৎকর্ষ বাংলার প্রশিক্ষণ স্থানে অগ্নিকাণ্ড

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রাজেশ্বর জানান, আগুনের ভয়াবহতা ছিল ভালোই। তবে, আগুন নেভাতে গিয়ে দমকলের জলের সমস্যা হয়।

আরও পড়ুন: সোদপুর নির্যাতিতা কাণ্ডে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত আরিয়ান খান

এ ব্যাপারে দমকলের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, বাড়িটির নিচে তুলার গোডাউন ও রবারের গোডাউন আছে। তার উপরে গেঞ্জির গোডাউন। কি করে আগুন লাগল তা জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে শর্ট সার্কিটের কারণে আগুন লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

ঘটনাস্থলে ৬টি দমকলের ইঞ্জিন যায়। গোডাউনে কোনও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নেই। এর পাশাপাশি এলাকায় জলের কোন উৎস নেই। সেই কারণে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। আড়াই ঘন্টা পরও আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

গেঞ্জির গোডাউনের এক কর্মী জানিয়েছেন, তিনি যখন খেয়ে শুয়েছিলেন তখন হঠাৎ আগুন লেগেছে বলে বাইরে থেকে আওয়াজ শোনেন। বেরিয়ে দেখেন নিচের তুলোর গোডাউনে আগুন লেগেছে।  সেই সময় তাদের গোডাউনে প্রায় আঠারো জন কর্মী কাজ করছিলেন।  আগুন দেখে তারা সকলেই গোডাউন থেকে নেমে আসেন নিচে। এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

হাওড়ায় তুলোর গুদামে ভয়ঙ্কর আগুন

এলাকাবাসীরা বলেন, এর আগেও এই এলাকায় আগুন লেগেছিল। এই গোডাউনে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে দমকল। এই অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের কোনও খবর নেই। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে গোডাউনে প্রচুর দাহ্য পদার্থ ছিল বলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কি কারণে এই আগুন লেগেছে তা এখনও সঠিক জানা যায়নি।

তবে ইলেকট্রিকাল শর্ট সর্কিট বা অন্য কারণে এই ঘটনা তার তদন্ত করছে দমকল। দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, তুলোর গোডাউনে প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। গোডাউনের পাশেও আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল। সোমবার সন্ধ্যে পর্যন্ত শেষ পাওয়া খবরে জানা গেছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হাওড়ায় তুলোর গুদামে ভয়ঙ্কর আগুন

আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২, সোমবার

আইভি আদক, হাওড়াঃ হাওড়ার আলমপুরে জালান কমপ্লেক্সের তুলোর গোডাউনে আগুন। সোমবার বিকেল নাগাদ হাওড়ার আলমপুরের জালান কমপ্লেক্সের একটি তুলোর গোডাউনে বিধ্বংসী আগুন লাগে। গোডাউনের ঠিক উপরেই রয়েছে গেঞ্জির কারখানা। ঘটনায় সময় সেখানে কর্মীরা কাজ করলেও দুর্ঘটনার হাত থেকে সকলেই রক্ষা পান। এদিন ঘটনাস্থলে আসে দমকলের ৬টি ইঞ্জিন।

গেঞ্জি কারখানার কর্মী সইফুদ্দিন খান জানান, আমরা প্রায় কুড়ি জন ওখানে কাজ করেছিলাম।  হঠাৎই নিচের তুলোর গোডাউনে আগুন লাগে। আমরা তড়িঘড়ি নিচে চলে আসি।

আরও পড়ুন: Fire: আনন্দপুরের গুলশান কলোনীতে আগুন

হাওড়ায় তুলোর গুদামে ভয়ঙ্কর আগুন

আরও পড়ুন: হুগলির উৎকর্ষ বাংলার প্রশিক্ষণ স্থানে অগ্নিকাণ্ড

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রাজেশ্বর জানান, আগুনের ভয়াবহতা ছিল ভালোই। তবে, আগুন নেভাতে গিয়ে দমকলের জলের সমস্যা হয়।

আরও পড়ুন: সোদপুর নির্যাতিতা কাণ্ডে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত আরিয়ান খান

এ ব্যাপারে দমকলের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, বাড়িটির নিচে তুলার গোডাউন ও রবারের গোডাউন আছে। তার উপরে গেঞ্জির গোডাউন। কি করে আগুন লাগল তা জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে শর্ট সার্কিটের কারণে আগুন লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

ঘটনাস্থলে ৬টি দমকলের ইঞ্জিন যায়। গোডাউনে কোনও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নেই। এর পাশাপাশি এলাকায় জলের কোন উৎস নেই। সেই কারণে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। আড়াই ঘন্টা পরও আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

গেঞ্জির গোডাউনের এক কর্মী জানিয়েছেন, তিনি যখন খেয়ে শুয়েছিলেন তখন হঠাৎ আগুন লেগেছে বলে বাইরে থেকে আওয়াজ শোনেন। বেরিয়ে দেখেন নিচের তুলোর গোডাউনে আগুন লেগেছে।  সেই সময় তাদের গোডাউনে প্রায় আঠারো জন কর্মী কাজ করছিলেন।  আগুন দেখে তারা সকলেই গোডাউন থেকে নেমে আসেন নিচে। এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

হাওড়ায় তুলোর গুদামে ভয়ঙ্কর আগুন

এলাকাবাসীরা বলেন, এর আগেও এই এলাকায় আগুন লেগেছিল। এই গোডাউনে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে দমকল। এই অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের কোনও খবর নেই। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে গোডাউনে প্রচুর দাহ্য পদার্থ ছিল বলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কি কারণে এই আগুন লেগেছে তা এখনও সঠিক জানা যায়নি।

তবে ইলেকট্রিকাল শর্ট সর্কিট বা অন্য কারণে এই ঘটনা তার তদন্ত করছে দমকল। দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, তুলোর গোডাউনে প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। গোডাউনের পাশেও আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল। সোমবার সন্ধ্যে পর্যন্ত শেষ পাওয়া খবরে জানা গেছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।