০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রুশ হামলায় পতনের মুখে খারকিভ শহর!

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২ মার্চ ২০২২, বুধবার
  • / 11

প্রতীকী ছবি

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের খারকিভ শহরের দখল নিতে আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে রাশিয়ার বিশাল সেনা। তবে খারকিভের গভর্নর দাবি করেন, রাশিয়াকে প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে এবং শহরের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতেই রয়েছে। গভর্নর ওলেহ সিনেগুবোভ বলেন, শত্রুরা ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। কিন্তু সত্যিই কী তাই? আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় খবর, ইউক্রেনের খারকিভ শহর রুশ সেনাদের হাতে পতনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। শহরটিতে আকাশ থেকে নেমে আসছে রাশিয়ান প্যারাট্রুপার্স। এর আগে বুধবার খারকিভে আকাশপথে বোমা হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে খারকিভের একটি সামরিক হাসপাতাল বিধ্বস্ত হয়েছে। শহরটিতে এখনও সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। বেশ কিছু মানুষ নিহতও হয়েছেন। তবে যুদ্ধের প্রেক্ষিতে সেই সংখ্যা অনেকটাই কম বলা চলে। এর কারণ অবশ্যই রাশিয়ার যুদ্ধনীতি। জনবহুল এলাকা বাদ দিয়ে হামলার নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন। তিনি আশ্বস্ত করেছেন সাধারণ মানুষের কোনও ক্ষতি হবে না। ইউক্রেনকে নিরস্ত্র করাই তাঁর প্রধান টার্গেট।

খারকিভ মূলত ইউক্রেনের একটি রুশ ভাষাভাষী শহর। শহরটির জনসংখ্যা ১৪ লক্ষ। মঙ্গলবার শহরটির একটি সরকারি কার্যালয়ে মিসাইল হামলা হয়। এছাড়া শহরের একটি আবাসিক এলাকাতেও হামলার ঘটনা ঘটে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এই হামলাকে ‍‌‌‌‌‌‌’যুদ্ধাপরাধ’ বলে অভিহিত করেন। ইউরোপের বহু দেশ এজন্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। রাশিয়াকে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করার সবরকম চেষ্টাই চালাচ্ছে পশ্চিমারা।

আকাশপথে রুশ সেনা আসার বিষয়ে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী টেলিগ্রামে একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, আকাশপথে আসা রুশ সেনারা খারকিভে নেমেছে। শহরে নেমেই তারা স্থানীয় একটি হাসপাতালে হামলা চালায়। রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে ইউক্রেনীয়দের লড়াই চলছে।

এর আগে, ইউক্রেনের একটি টেলিভিশন টাওয়ারে হামলা চালানো হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। এতে অন্তত ৫ জন নিহত হন। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে রুশ কর্মকর্তারা বলেন, ইউক্রেনের নিরাপত্তা বিভাগের প্রযুক্তি কেন্দ্র ও প্রধান সাই-অপ সেন্টার টার্গেট করে হামলা চালানো হবে। এসব স্থাপনার কাছাকাছি এলাকা থেকে অসামরিক লোকজনকে দ্রুত সরে যেতে বলা হচ্ছে। এরপরই ওই হামলা চলে। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে ১৩৬ জন অসামরিক লোক নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৩ জন শিশুও রয়েছে। হামলায় আহত হয়েছে আরও ৪০০ অসামরিক লোক। উল্লেখ্য, যুদ্ধ থামাতে ফের বৈঠকে বসার কথা রয়েছে ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিদের।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রুশ হামলায় পতনের মুখে খারকিভ শহর!

আপডেট : ২ মার্চ ২০২২, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের খারকিভ শহরের দখল নিতে আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে রাশিয়ার বিশাল সেনা। তবে খারকিভের গভর্নর দাবি করেন, রাশিয়াকে প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে এবং শহরের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতেই রয়েছে। গভর্নর ওলেহ সিনেগুবোভ বলেন, শত্রুরা ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। কিন্তু সত্যিই কী তাই? আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় খবর, ইউক্রেনের খারকিভ শহর রুশ সেনাদের হাতে পতনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। শহরটিতে আকাশ থেকে নেমে আসছে রাশিয়ান প্যারাট্রুপার্স। এর আগে বুধবার খারকিভে আকাশপথে বোমা হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে খারকিভের একটি সামরিক হাসপাতাল বিধ্বস্ত হয়েছে। শহরটিতে এখনও সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। বেশ কিছু মানুষ নিহতও হয়েছেন। তবে যুদ্ধের প্রেক্ষিতে সেই সংখ্যা অনেকটাই কম বলা চলে। এর কারণ অবশ্যই রাশিয়ার যুদ্ধনীতি। জনবহুল এলাকা বাদ দিয়ে হামলার নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন। তিনি আশ্বস্ত করেছেন সাধারণ মানুষের কোনও ক্ষতি হবে না। ইউক্রেনকে নিরস্ত্র করাই তাঁর প্রধান টার্গেট।

খারকিভ মূলত ইউক্রেনের একটি রুশ ভাষাভাষী শহর। শহরটির জনসংখ্যা ১৪ লক্ষ। মঙ্গলবার শহরটির একটি সরকারি কার্যালয়ে মিসাইল হামলা হয়। এছাড়া শহরের একটি আবাসিক এলাকাতেও হামলার ঘটনা ঘটে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এই হামলাকে ‍‌‌‌‌‌‌’যুদ্ধাপরাধ’ বলে অভিহিত করেন। ইউরোপের বহু দেশ এজন্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। রাশিয়াকে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করার সবরকম চেষ্টাই চালাচ্ছে পশ্চিমারা।

আকাশপথে রুশ সেনা আসার বিষয়ে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী টেলিগ্রামে একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, আকাশপথে আসা রুশ সেনারা খারকিভে নেমেছে। শহরে নেমেই তারা স্থানীয় একটি হাসপাতালে হামলা চালায়। রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে ইউক্রেনীয়দের লড়াই চলছে।

এর আগে, ইউক্রেনের একটি টেলিভিশন টাওয়ারে হামলা চালানো হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। এতে অন্তত ৫ জন নিহত হন। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে রুশ কর্মকর্তারা বলেন, ইউক্রেনের নিরাপত্তা বিভাগের প্রযুক্তি কেন্দ্র ও প্রধান সাই-অপ সেন্টার টার্গেট করে হামলা চালানো হবে। এসব স্থাপনার কাছাকাছি এলাকা থেকে অসামরিক লোকজনকে দ্রুত সরে যেতে বলা হচ্ছে। এরপরই ওই হামলা চলে। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে ১৩৬ জন অসামরিক লোক নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৩ জন শিশুও রয়েছে। হামলায় আহত হয়েছে আরও ৪০০ অসামরিক লোক। উল্লেখ্য, যুদ্ধ থামাতে ফের বৈঠকে বসার কথা রয়েছে ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিদের।